ঢাকা, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১

মিরপুরে ১০০ টাকার টিকিট ১২০০ টাকা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ২২ ১৫:২৪:৪৬
মিরপুরে ১০০ টাকার টিকিট ১২০০ টাকা

গতকাল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের টিকিটের একটি ঘটনা একজন ক্রিকেট ভক্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে…এই লেখাটি তুলে ধরা হল…

:মামা টিকেট আছে?: না, নেই। ম্যানেজ করার চেষ্টা করতেছি।

: লাগবে?: হ্যাঁ, আপনি জানেন কোথায় পাওয়া যাবে?: আমার কাছে আছে? কয়টা লাগবো?

: লাগবে কয়েকটা। কোনটা আছে? এবং দাম কত পড়বে?

: উমুক স্ট্যান্ড (নাম বলে), ১০০ টাকার টা মামা, তবে নাম দাম একটু বেশি পড়বে। সহজে পাবেন না। অনেক দাম।

: কত পড়বে?: মামা চাইলে ১২০০ টাকা ও পাওয়া যাবে, ১০০০ টাকা দিলেও চলবে।

: এত্ত দাম, এর নিচে পারবেন না?: না মামা, নিতে অনেক কষ্ট হইছে। ৮০০ টাকা নিতে পারবেন; নিবেন??

এর পর একটি বড় দীর্ঘ শ্বাস…

যারা নিয়মিত মাঠে বসে টাইগারদের জয়ের উদযাপন করতে যান তাদেরকে হয়ত বুঝতে কষ্ট হবে না উপরের কথা গুলোর মর্ম। একশ টাকার টিকেট তিনশো, পাঁচশো, আটশো, আবার সময় ও পরিস্থিতি বুঝে একহাজার কিংবা দেড় হাজার। এই কালোবাজারি অহরহ চলছে স্টেডিয়াম গুলোর বাইরে। নিয়মিত-ই এমন বাঝে পরিস্থিতি’র স্বীকার হতে হচ্ছে অনেক অনেক টাইগার ভক্তদের।

বুকে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি/বাসা থেকে বের হয় টাইগারদের সাথে জয়ের উদযাপন করবে অথবা হারে একসাথে চোখের জল ফেলবে। ৮, ১০, ১৫, ২০ কেউ বা ৭০ উর্ধ্ব কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চোখে স্বপ্ন নিয়ে আসে টাইগারদের সমর্থন দিতে। কিন্তু এই স্বপ্নটা মাঠের প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত বুকে লালন করে হাজারো ক্রিকেটপ্রেমী। তবে, স্বপ্নটার কবর দিতে হয় যখন টিকেট ম্যানেজ করতে যায়। এপাড় থেকে ওপাড় উন্মাদের মত ছুটাছুটি করতে থাকে টাইগারদের সমর্থন দিতে ভিতরে প্রবেশের জন্য।

কাউন্টারে টিকেটের জন্য গেলে ফিরতে হয় খালি হাতে, শুনতে হয় অনেক আগেই শেষ টিকেট বিক্রি। কিন্তু স্টেডিয়ামের বাইরে আসলে দেখা যায় টিকেটের জন্য ছুটাছুটি করছে হাজারো ক্রিকেটপ্রেমীর। তখন মনের অজান্তেই নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি এত্ত টিকেট গেল কই??

নিজেকে করা নিজের প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই দেখা যায় একজন এসে বলে মামা টিকেট লাগবে? দাম বেশি দিতে হবে। তখনই বুঝতে বাকি নেই দেশটা ডিজিটাল হলেও কালোবাজারি এখনো কমেনি।

এমন চওড়া দাম দিয়ে টিকেট ক্রয়করা সম্ভব হয়ে উঠে না অনেক ক্রিকেট ভক্তদের। শত ছুটাছুটির পর টিকেট না নিয়ে একবুক হতাশা নিয়ে ফিরতি গাড়ির দিকে তাকিয় থাকতে হয়, কখন আসবে গাড়িটা।

গাড়িতে উঠার পর ভাবে এত কষ্ট করে এতদূর পাড়ি দিয়ে লাভ কি হলো? যে পথে আসতে একটু বিরক্ত হয়না, সে পথে বাড়িতে যেতে প্রতিটা জ্যামেই চলে আসে বিরক্তির চাপ। প্রতিটা স্টোপিজ হয়ে উঠে বিরক্তির কারন। এভাবে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় হাজারো ক্রিকেটখোরদের।

এই দায় থেকে কিছুতেই নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা “বাংলাদেশ ক্রিকেটবোর্ড” (বিসিবি)। যেদেশের মানুষ ডাল ভাতের সাথে ক্রিকেট খায় তাদের কে আপনারা খেলার একদিন আগে টিকেট ছেড়ে কিভাবে দমিয়ে রাখবেন? আপনারা কি কখনো দেখেছেন এদেশের গ্যালারী গুলো কখনো ফাঁকা থাকতে?

অনলাইন সেবা এতবেশি শক্তিশালী হওয়া সত্বেও তার সঠিক ব্যবহার করছেন না কেন?প্রশ্ন রেখে গেলাম।

লেখা: নাজিম উদ্দিনবি:দ্র: লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগ্রৃহিত।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ