ঢাকা, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

আমি মুশফিককে দেখে অনেক কিছু শিখেছি : ইমরুল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ২২ ০৯:১২:৫৫
আমি মুশফিককে দেখে অনেক কিছু শিখেছি : ইমরুল

দেশের মাটিতে ৩৭ ম্যাচে তার হাফ সেঞ্চুরি ছিল ৯টি। আর সেঞ্চুরি ছিল মাত্র একটি। যার সাত হাফ সেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরি এই মাঠে। তামিম নেই, লিটন দাসের সাথে ইমরুলের অভিজ্ঞতা এবং ঘরের মাঠে ভাল খেলার রেকর্ডটাই মূল্যায়তি হলো। তাই নাজমুল হোসেন শান্তকে বসিয়ে রেখে ইমরুলকেই খেলানোর সিদ্ধান্ত হলো।

যদিও ভবিষ্যতের কথা ভেবে শান্তর কথাও ভাবা হয়েছিল। সকালে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর কথায় মিলেছিল তেমন ইঙ্গিত; কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইমরুলে আস্থা। আর শেষ পর্যন্ত তাতেই রক্ষা। ইমরুল খেললেন। দলের সংকটে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ন হলেন। আস্থা-আত্ববিশ্বাসের প্রতিমূর্তি হয়ে জিম্বাবুইয়ান বোলারদের সব বোলিং প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিলেন।

তার সাহসী, শুধু দলের বিপদে শক্ত হাতে হাল ধরা, চাপের মুখে ঝুঁকিপূর্ণ শটস খেলার বদলে রয়েসয়ে সিঙ্গেলস-ডাবলসে খেলে খেলে পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে এক সময় খোলস পাল্টে বেশ কিছু চটকদার ও ‘বিগ শটস’ হাঁকিয়ে মাঠ গরম করে ভক্ত ও সমর্থকদের প্রচুর আনন্দও দিলেন।

পরিসংখ্যান সে সাক্ষীই দিচ্ছে। ইমরুল পঞ্চাশে পা রাখলেন ৬৪ বলে। শতক পূর্ণ করতে খেললেন ১১৮ বল। এবং শেষ ২২ বলে করলেন ৪৪। সব মিলে ১৪০ বলে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।

তবুও এই ইমরুল বাজে ফর্মের কারণে দল থেকে কয়েকবার বাদ পড়েছেন। তবে হতাশ হননি। বারবার দলে আসা-যাওয়া নিয়ে জাতীয় দলের এ ওপেনার বলেন, ‘আসলে টিম ম্যানেজমেন্ট যখন মনে করেছে আমার চেয়ে অন্যরা বেটার তারা নিয়েছেন। হয়ত তারা সুযোগ পেয়ে ভালো করেছে। তবে আমি হতাশ হইনি। আমি মুশফিকুর রহিমকে দেখে অনেক শিখেছি, উনি কষ্ট করে মুশফিক হয়েছেন। আমিও সেই কষ্ট করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’

জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে মিলে ৬টি সেঞ্চুরি করা ইমরুল আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে অনেক প্লেয়ারের অভিষেক হয়েছে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, দেশকে এখনও আমার অনেক কিছু দেয়ার আছে। তবে যে সময় জাতীয় দলে খেলার সুযোগ থাকবে না, তখন আমি নিজেই ধন্যবাদ বলে দেব।’

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ