ঢাকা, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যে মামলায় হানিফ পরিবহনের মালিকের ফাঁসির আদেশ

২০১৮ অক্টোবর ১২ ২১:২২:১৬
যে মামলায় হানিফ পরিবহনের মালিকের ফাঁসির আদেশ

বুধবার (১০ অক্টোবর) পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ রায় ঘোষণা করেন।

হানিফের আইনজীবী আদালতকে জানান, এ মামলার প্রথম এজাহারে যেমন হানিফের নাম নেই, তেমনি পরে আরো যে তিনটি এজাহার দাখিল করা হয়, যা মতিঝিল থানা জিডি হিসেবে গ্রহণ করে, তাতেও হানিফের নাম নেই। যে অভিযোগপত্রে ২২ জনকে আসামি করে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়, তাতেও হানিফের নাম ছিল না। রাষ্ট্রপক্ষ ১৬১ ধারায় যে ৪০৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় যেসব আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, তাদের একজনও হানিফের নাম বলেননি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট আদালত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি অধিকতর তদন্তের অনুমতি দেন। এ পর্যায়ে সিআইডির তত্কালীন বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দের তদন্তে মুফতি হান্নান নতুন জবানবন্দি দেন। ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল দেয়া ওই জবানবন্দিতে মুফতি হান্নান বলেন, ১৮ আগস্ট আমি, আহসানউল্লাহ কাজল ও মাওলানা আবু তাহের আবদুস সালাম পিন্টুর ধানমন্ডির বাসায় যাই। সেখানে পিন্টু, বাবর, মাওলানা তাজউদ্দিন, কমিশনার আরিফ এবং হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পিন্টু ও বাবর বলেন, আরিফ ও হানিফ সাহেব আপনাদের সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবেন এবং আপনাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।

বুধবার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী চৈতন্য হালদার বলেন, হানিফ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফের একই অপরাধ ছিল। অথচ হানিফকে মৃত্যুদণ্ড ও আরিফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। হানিফ বর্তমানে বিদেশে পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে