ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

ফাইনালের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশের মেয়েরা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ০৬ ২০:৫৯:২৯
ফাইনালের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশের মেয়েরা

শুক্রবার দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ। প্রথম সেমি ফাইনালে ফেভারিট ভারতকে টাইব্রেকারে হারায় নেপাল। যে নেপালকে গ্রুপে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তারাই ফাইনালে কৃষ্ণা-সানজিদাদের সামনে ফের মুখোমুখি। গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৭-০ গোলে হারায় বাংলাদেশের মেয়েরা। তিন ম্যাচে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা গোল করেছে মোট ২২টি। বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ১টি। এমনকি টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজেয় দলটি বাংলাদেশ।

ফাইনালের লড়াইয়ে নামার আগে পরিবর্তন ডটকমকে ভুটান থেকে বাংলাদেশ কোচ জানালেন তার প্রত্যাশার ও পরিকল্পনার কথা। ভুটান থেকে মুঠোফোনে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। সবাই সুস্থ আছে। স্বপ্না পুরোপুরি ফিট। ওকে আমরা ফাইনালে পাচ্ছি। আমরা পূর্ণ শক্তি নিয়েই এ ম্যাচে মাঠে নামবো।’

নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কিছুটা চোট পেয়েছিলেন ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না। যে কারণে ভুটানের বিপক্ষে সেমি ফাইনালে তাকে বিশ্রাম দেন কোচ। দুই ম্যাচে এই তারকার গোল ৭টি। পাকিস্তানের বিপক্ষে একাই করেন ৬ গোল (অফিসিয়ালি ৭ গোল লেখা হলেও মূলত একটি গোল ছিল সানজিদার)। নেপালের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও করেন একটি গোল। সেই স্বপ্না পুরোপুরি ফিট বলে বাড়তি প্রেরণা পাচ্ছে দল।

নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের জয়টি এম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের এগিয়েই রাখার কথা। সেই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ বেশি কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রম দিয়েও দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ। যদিও শেষ মূহুর্তে একটি গোল হজম করায় জয়টি আসে ২-১ ব্যবধানে।

তবে বাংলাদেশ কোচ আগের ম্যাচের কোনো স্মৃতিই এম্যাচে সামনে আনতে চান না। ছোটন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ নতুন একটি ম্যাচ। ওই ম্যাচে কি হয়েছে সেটা নিয়ে ভাবছে না মেয়েরা। আমাদের সে ম্যাচে জেতা প্রয়োজন ছিল, আমরা জয় লাভ করেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে এখন ফাইনালে আমাদের জিততে হবে। আমাদের ভাবনা এখন সেটিই।’

ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে আসা নেপালকে সমীহই করছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘নেপাল শক্তিশালী টিম। সেমি ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে তারা অনেক ভালো খেলেছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দেশ বাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি। আশাকরি আমারা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেই ফিরতে পারবো।’

এই মেয়েদের হাত ধরেই দেশের নারী ফুটবলে এসেছে একের পর এক সাফল্য। নেপালে ২০১৪ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। নারী ফুটবলের যে কোনো পর্যায়ে সেটিই বাংলাদেশের প্রথম শিরোপা। যে দলের অধিনায়ক ছিলেন কৃষ্ণা রানী সরকার। সেই দলের সহ অধিনায়ক মিসরাত জাহান মৌসুমীই এবারের অনূর্ধ্ব-১৮ দলটির নেতৃত্বে।

সেই সাফল্যের পর একে একে সাফল্য ধরা দিয়েছে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক ফুটবলে আরেকবার চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। বয়সের কারণে কৃষ্ণা-সানজিদা-মৌসুমীরা খেলতে না পারলে মারিয়া-তহুরারা অনূর্ধ্ব-১৫ সাফের প্রথম আসরের শিরোপা জয় করে ইতিহাস গড়ে। কৃষ্ণা, সানজিদা, মৌসুমী, স্বপ্নাদের হাত ধরে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের মূল পর্বে খেলেছে বাংলাদেশ। কৃষ্ণা-সানজিদারা তাই আরেকটি প্রথমের সামনে দাঁড়িয়ে।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ