ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

যে কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের জন্মদিন পালন করেন না মাশরাফি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ০৬ ১১:০০:৪৮
যে কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের জন্মদিন পালন করেন না মাশরাফি

এই ব্যাপারে মাশরাফির মা বলেন আমি চাই ওকে যেন সারাজীবন মানুষ মনে রাখে। ও এখন যেমন সবার প্রিয় মাশরাফি হয়ে আছে আজীবনও যেন এভাবেই বেঁচে থাকে। আমি আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এমনই দেখতে চাই ওকে।

তিনি আরও বলেন- ও যতদিনই বেঁচে থাকে ততদিন যেন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে। আমার বিশ্বাস কৌশিক দেশকে অনেক কিছু দেবে আগামীতে। দেশের মানুষ যেন আমার কৌশিকের জন্য দোয়া করেন।

তাছাড়া একি দিনে গত ২০১৪ সালের এই ৫ অক্টোবরেই তার ঘর আলো করে আসে ছেলে সাহেল মর্তুজা। ফলে বাবা মাশরাফি ৩৫ থেকে ৩৬ আর ছেলে সাহেল ৪ থেকে ৫- এ পা দিলেন।

যেটি মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমির শুভেচ্ছায় ফুটে উঠেছে, সিনিয়র ৩৫+জুনিয়র ৪ = মি ৩৯। মাশরাফিকে ডাকা হয় নড়াইল এক্সপ্রেস। ডান হাতি এই পেসারের ক্রিকেট জীবন ঘিরে রয়েছে নানা সংগ্রাম। হাঁটুতে একের পর এক অস্ত্রোপচারের পরও তার খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে ক্রিকেটবোদ্ধারাই অবাক।

অবশ্য জীবন দর্শনে সব সময় অনবদ্য মাশরাফির যুক্তি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন দিয়েছেন। গুলি শরীরে বহন করেও পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন। তাদের তুলনায় এই যন্ত্রণা খুবই নগন্য। মাশরাফি ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের মহিষখোলায় জন্মগ্রহণ করেন।

বাবা গোলাম মর্তুজা স্বপন, মা হামিদা বেগম বলাকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাশরাফি বড়। ছোট ভাই সিজার মাহমুদও ক্রিকেট নিয়েই সময় কাটান। মাশরাফি ২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নড়াইল শহরের আলাদাতপুরের মৃত সিরাজুল হকের মেয়ে সুমনা হক সুমির সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।

শাশুড়ি হোসনে আরা সিরাজ স্কুলশিক্ষিকা। মাশরাফির অনীহার কারণে অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে তার জন্মদিন পালন করেন না, পরিবারেও থাকে না বিশেষ কোনো আয়োজন।

তাছাড়া আজ শুধু মাশরাফি বিন মুর্তজার একার জন্মদিন নয়। তাঁর ছেলে সাহেল মুর্তজারও জন্মদিন। মা হামিদা মুর্তজার কোল আলোকিত করে কৌশিক দুনিয়াতে এসেছিলেন ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর। আর ছেলে সাহেলও এসেছে একইদিনে ২০১৪ সালে।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ