ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

মুশফিকুর নাকি মাহমুদুল্লাহ কে হচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ অক্টোবর ০৫ ১৯:২২:৪৬
মুশফিকুর নাকি মাহমুদুল্লাহ কে হচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক

এতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মুশফিকুর রহিম কে সরিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট দলের দায়িত্ব দেয়া হয় সাকিব আল হাসানের উপর। কিন্তু হাতের অপারেশনের কারণে তিন থেকে চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ টেস্ট দলে এখন দায়িত্ব উঠবে কার হাতে এটা নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন ভুগছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

বলার অপেক্ষা রাখে না, পরিসংখ্যানকে মানদণ্ড ধরলে মুশফিক সন্দেহাতীতভাবেই বাংলাদেশের সফলতমত টেস্ট অধিনায়ক। এ দেশের টেস্ট ইতিহাসের তিন তিনটি বড়, অবিস্মরনীয় ও ঐতিহাসিক অর্জন তার নেতৃত্বেই।

মুশফিকের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বশক্তির বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় লঙ্কানদের বিপক্ষে শততম টেস্টের অবিস্মরনীয় ও ঐতিহাসিক জয়ের মিশনেও মুশফিকুর রহীমই ছিলেন অধিনায়ক।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, টেস্ট অধিনায়কের আর্মব্যাজ পরে ব্যাটসম্যান মুশফিকও টেস্টে অনেক বেশি সফল। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের মোট রানের ৬০ ভাগেরও বেশি করেছেন অধিনায়ক হয়ে খেলার সময়। অধিনায়কত্ব ছাড়া মুশফিক ২৮ টেস্টে ৫৫ ইনিংসে তিনবার অপরাজিত থেকে করেছেন ১৩৭৮ রান। শতরান মাত্র একটি। অর্ধশতক সাতটি। গড় ২৬.৫০।

অন্যদিকে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের পরিসংখ্যান অনেক সমৃদ্ধ। তার টেস্ট রান; ৩৪ টেস্টে ৬১ ইনিংস পাঁচবার নটআউট সহ ২৩২১। একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ সর্বোচ্চ ২০০। গড় অনেক বেশি; ৪১.৪৪। মোট পাঁচ শতকের চারটি অধিনায়ক হিসেবেই। ১২টি হাফ সেঞ্চুরিও আছে। অার তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কিছু সদস্য ও চাচ্ছেন মুসফিকুর রহিমকে।

অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টেস্ট পরিস্যখ্যান ওয়ানডের মতো উজ্জ্বল নয়। ৩৯ টেস্টে (৭৪ ইনিংসে চারবার নটআউট থেকে) রান ২০৮৪। সর্বোাচ্চ ১১৫। গড় ২৯.৭৭। শতরান মাত্র একটি। হাফ সেঞ্চুরি ১৫টি।

শতরান পেয়ে গিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্টেই; কিন্তু ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতরান করার পর ৩৪ টেস্টে আর শতরান নেই। এ বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবার টেস্টে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে রিয়াদ চার ইনিংসে করেছেন (২৮*+৮৩*+১৭+৬) ১৩৪ রান।

টেস্টে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে তেমন উজ্জ্বল না রিয়াদ। ৩৯ টেস্টে উইকেট পেয়েছেন ৪০টি। সেরা বোলিং ৫/৫১। ম্যাচসেরা ফিগার ৮/১১০। সেটাও ৯ বছর আগে ২০০৯ সালের জুলাই মাসে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটাউনে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে; কিন্তু অভিষেকে বল হাতে নৈপুণ্য দেখানোর পর রিয়াদ আর কখনও তারপর টেস্টে পাঁচ উইকেট বহুদুরে চার উইকেটও পাননি।

কাজেই পারফরমেন্সের বিচারের মাহমুদউল্লাহর চেয়ে মুশফিক অনেক এগিয়ে। কাজেই মাশরাফি ও সাকিবের মতো সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার পারফরমারকেই যদি সাকিবের বদলে টেস্ট ক্যাপ্টেন করা হয়, তাহলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নন, প্রথম পছন্দ হবেন মুশফিক। তাইতো ভিতরে ভিতরে তার কথাই ভাবা হচ্ছে বেশি।

সেই জায়গা এবং ভূমিকায় সাকিব ছাড়া তামিম হতে পারতেন, ভালো বিকল্প। টেস্টে তামিমের পারফরমেন্স বরাবরই ভালো; কিন্তু এবার তো সাকিবের সাথে তামিমও নেই। তাই মাহমুদউল্লাহর বদলে অন্য কারো কথা ভাবা হলে সবার আগে চলে আসছে মুশফিকুর রহীমের নাম।

খেলা - এর সব খবর

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ