আবারো, আতঙ্কে মালয়েশিয়ার অবৈধ অভিবাসীরা
সংবাদ সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, জাতীয়ভাবে পরিচালিত এই অভিযানে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও নেপালের মতো দেশগুলোর শ্রমিকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এদিকে অধিকারকর্মীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এমন অভিযানে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরা এবং কাগজপত্র ছাড়া শ্রমিকরা হয়রানির শিকার হতে পারে।
মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ অভিবাসীদের নামমাত্র জরিমানা দিয়ে আত্মসমর্পণ করার সুযোগ করে দেয়। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় এখন পর্যন্ত আট লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছে। তবে মালয়েশিয়া সরকার সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বেঁধে দেয়।
গত বৃহস্পতিবারই ওই ডেডলাইন শেষ হয়। তবে এই সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী। তিনি বলেন, সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হবে না। মুস্তাফার আলী বলেন, শুক্রবার থেকেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের সাড়াশি অভিযান শুরু হবে।
সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ১৭ লাখ বৈধ শ্রমিক রয়েছে। তারা বলছে, আরও প্রায় ১০ লাখের বেশি অভিবাসী দেশটিতে অবৈধভাবে কাজ করছে। সরকার মাঝে মধ্যেই এই অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। চলতি বছরের শুরু থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ নয় হাজারের বেশি অভিযান চালিয়েছে।
তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন, এ ধরনের অভিযানে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আর হয়রানির শিকার হবে বৈধ কাগজপত্র থাকা অভিবাসীরাও।
কুয়ালালামপুরভিত্তিক অভিবাসী অধিকার গ্রুপ তেনাগানিতার পরিচালক অ্যাজিল ফার্নান্দেজ বলেছেন, সরকার তাদের ভুক্তভোগী হিসেবে নয় বরং অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করে, এটি অন্যায়।
তিনি বলেন, সরকার কেন অভিবাসীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে যখন মালয়েশিয়ার জন্য তাদের অবদান অনেক? অপরাধীদের কেন ধরা হচ্ছে না?
জাকার্তাভিত্তিক হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ওয়াচের দেউয়ি খলিফা এই অভিযান বন্ধ করে মানব পাচারকারী ও চাকরিদাতাদের টার্গেট করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরা অপরাধী নয়। মালয়েশিয়া সরকারের উচিত সেইসব চাকরিদাতাদের গ্রেপ্তার করা যারা আইন না মেনে শ্রমিক নিয়োগ দেয়।
তবে মালয়েশিয়ার সরকার চলতি বছরের শুরুর দিকে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা মানব পাচাররোধে একটি বিশেষ আদালত গঠন করবে।
গৃহকর্মী এবং শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও নেপালের জনশক্তির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল মালয়েশিয়া। কিন্তু মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে প্রায়ই বাংলাদেশি, ইন্দোনেশিয় ও বার্মিজ শ্রমিকরা আটক হন। দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর জেল, বেত্রাঘাত এবং দেশের ফেরত পাঠানোর মতো বিষয় ঘটে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছে পরিবর্তন, বাদ পড়ছেন যে ক্রিকেটার
- সৌদি রিয়াল রেটের লম্বা লাফ, জেনেনিন আজকের রেট কত
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশাল সুখবর, আসলো নতুন ঘোষণা
- সমন্বয়ক সারজিস আলমের পরিবারে শোকের ছায়া
- বিপিএল-এ ফিক্সিং নিয়ে আলোচনা: সন্দেহভাজন ১০ ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ
- এক ম্যাচের জন্য যত টাকা নিলেন রাসেল-জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড
- ব্রেকিং নিউজ: নিষিদ্ধ হলেন তানজিম সাকিব
- এক পরিবর্তন নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা, দেখেনিন কপাল পুড়লো যার
- বিপিএলের ৮ ম্যাচে ফিক্সিং সন্দেহ, ফিক্সিংয়ে সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ
- কমতেই আছে সৌদি রিয়াল রেট, জেনেনিন আজকের রেট কত
- ফরচুন বরিশালের একাদশ
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- বিপিএল মাতাতে আসছেন রাসেল, নারিন, ওয়ার্নার, টিম ডেভিড ও পাকিস্তানের আসিফ আলি
- আরব আমিরাতের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর, আসলো নতুন ঘোষণা