ঢাকা, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

ক্রিকেটারদের নৈতিক স্খলন, কে কী বললেন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ আগস্ট ২৮ ০০:০৪:৪৯
ক্রিকেটারদের নৈতিক স্খলন, কে কী বললেন

মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা ঠুকে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী সামিয়া শারমিন। ক্রিকেটাররা জাতীয় বীর। তাদের নৈতিক স্খলনে ব্যথিত গোটা দেশ। কেন এমন হচ্ছে? এর সামাধানও বা কী? এ বিষয়ে কথা বলেছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিত্ব।

আমাদের সময় এসব ছিল না, খুবই দুঃখজনক: আকরাম খান

ইদানিং শুনছি কিছু ক্রিকেটার নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। আমাদের সময়ে এসব ছিল না। এটা খুবই দুঃখজনক। বাংলাদেশের এক নম্বর স্পোর্টস হলো ক্রিকেট। ক্রিকেটের দিকে আমরা সবসময় তাকিয়ে থাকি। তাই ক্রিকেটারদেরও সেভাবে জীবনযাপন করা উচৎ।

বিতর্ক থেকে দূরে থাকা উচিৎ। এগুলো তাদের নিতান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। কোনটা সঠিক কোনটা সঠিক নয় সেটা বের করাও সহজ নয়। এগুলো পারিবারিকভাবেই মীমাংসা করা উচৎ। তারপরেও বিষয়গুলো বিসিবি পর্যন্ত আসছে। বিসিবিও এ ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানে।

বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল থেকে বিসিবি এ ব্যাপারে তরুণ খেলোয়াড়দের সচেতন করে তোলার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কিন্তু তারপরেও ঘটছে। আসলে ক্রিকেটারদের ভালোর জন্য নিজেদেরকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

বিসিবিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে: খন্দকার জামিল উদ্দিন

খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ব্যাপারে অন্যদের করার আসলে খুব সামান্যই থাকে। তবে একের পর এক যেভাবে ক্রিকেটাররা নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন তাতে বিসিবির কড়া পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ধরনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে দল থেকে বাদ পড়তে হবে।

বিসিবির পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের কড়া হুশিয়ারি থাকা দরকার। পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দের এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলা। আইসিসি অ্যান্টি কারাপশন নিয়ে যেমন ওয়ার্কশপ সেমিনার করে থাকে, বিসিবিরও উচিৎ নৈতিকতার বিষয়গুলো নিয়ে উঠতি খেলোয়াড়দের সচেতন করে তোলা।

খেলোয়াড়দের ব্যাকগ্রাউন্ড কী সেটা বড় কথা নয়, তবে যখন তারা দেশের হয়ে খেলেন তখন অনেক দায় দায়িত্ব এসে যায়। তারা অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে ওঠেন। তাদের সেভাবেই চলা উচিৎ। মাশরাফি, তামিম, মুশফিক, সাকিব, রিয়াদকে নিয়ে কোনো অভিযোগ কখনও ওঠেনি। তরুণ ক্রিকেটারদের উচিৎ এদের অনুসরণ করা, আদর্শ মানা।

বিসিবি থেকে খেলোয়াড়দের নির্দিষ্ট মোবাইল দেওয়া উচিৎ: শফিকুল হক হিরা

সাম্প্রতিক সময়ে উঠে আসা ক্রিকেটারদের মধ্যে আমি সবচেয়ে ভালো মনে করেছিলাম মুমিনুল ও মোসাদ্দেককে। মুমিনুলের ব্যাপারে খারাপ কোনো কিছু অবশ্য শুনিনি।

কিন্তু ছোট্ট ছেলে মোসাদ্দেক এ কী করে বসল! ভালো ছেলের একি কাণ্ড! আমি বিস্মিত। আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। ছয় বছর আগে সে বিয়ে করেছে!এখন তার বয়স ২২। মানে তখন ১৬! এখন বুঝতে পারছি কেন এরা মাঠে পারফর্ম করতে পারে না। এরা আসলে খেলায় মন দিতে পারে না। মন থাকে অন্য জায়গায়।

বিসিবির উচিৎ এদের কড়া মনিটরে রাখা। প্রত্যেককে বিসিবির অফিসিয়াল মোবাইল দেওয়া। আরেকটা সিম নিলে সেটাও বিসিবিকে জানাতে হবে- এই নিয়ম করে দেওয়া। এতে করে ফোনকলগুলো রেকর্ড থাকবে। খেলোয়াড়রা আজেবাজে কল করার সাহস পাবে না তখন।

১৪/১৫ বছর বয়সে ক্রিকেটাররা বিয়ে করেছে। এটা হাস্যকর। ২৫/২৬ এর আগে কি বিয়ের বয়স হয়? বিসিবি ২৬ বছর বয়সে বিয়ের সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে।

বোর্ডের জন্য এটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে: বিসিবি সিইও

এটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ব্যাপার। তবে, আমাদের দিক থেকে যেটা করণীয় সেটা আমরা অবশ্যই করব। এ ব্যাপারে বোর্ডের অবস্থান খুবই কঠোর হবে। বোর্ড সভাপতি মহোদয় এখন দেশের বাইরে আছেন।

উনি যাওয়ার আগেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোসাদ্দেকের বিষয়টা আসার আগেও অন্য কিছু বিষয় ছিল যেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যেটা আপনারা খুব শীঘ্রই জানতে পারবেন। পুরো বিষয়টা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।

আপনি যদি কোনো দৃশ্যমান পেনাল্টির কথা বলতে চান সেটাও দেখেছেন হয়তো। তারপরও জিনিসটা যখন ইমপ্রুভ হচ্ছে না তখন বোর্ড হয়তো আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। এটা আমাদের জন্য বড় একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোর্ড এ ব্যাপারে খুবই কঠোর হবে

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ