ঢাকা, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

অপয়া ২৭ তারিখ : কোনো সেঞ্চুরি নেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ আগস্ট ২৭ ২২:২৪:২১
অপয়া ২৭ তারিখ : কোনো সেঞ্চুরি নেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের

১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের জাদুকরী সংখ্যা স্পর্শ করেন মেহরাব হোসেন অপি। সেই যে শুরু, এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বমোট ৯৪টি সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।

ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ, টেস্টে বাংলাদেশের ২০ জন ব্যাটসম্যান এখনও পর্যন্ত সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। তবে এই ২০ জনের ব্যাট থেকে এসেছে মোট ৪৯টি সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪ জন মিলে ৪৪ বার ব্যাট উঁচিয়ে ধরতে পেরেছেন শতক হাঁকিয়ে। আর ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের এখনো পর্যন্ত করা ৯৪টি সেঞ্চুরির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, কেবল মাসের ২৭ তারিখটিই টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য অপয়া একটি দিন। কেননা মাসের ৩১টি দিনের মধ্যে বাকি ৩০ দিনই কমপক্ষে ১টি করে হলেও সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা; কিন্তু মাসের ২৭ তারিখে এখনো পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলা কোন ক্রিকেটার।

মাসের ২৭ তারিখে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। ২০০৩ সালে পাকিস্তান সফরে পেশোয়ার টেস্ট শুরু হয়েছিল ঠিক আজকের তারিখ তথা ২৭ আগস্টে। সেদিন ম্যাচের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বাশার; কিন্তু দিনের প্রায় ২০ ওভার বাকি থাকতেই সেদিন বাশার সাজঘরে ফেরেন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে। সাব্বির আহমেদের বলে বাশার সেদিন লেগ বিফোরের ফাঁদে না পড়লে ১৫ বছর আগেই ২৭ তারিখের ফাঁড়া কাটিয়ে ফেলতে পারতো বাংলাদেশ।

২৭ তারিখে মাত্র তিন রানের জন্য ব্যর্থ হন বাশার, পরের দিন অর্থাৎ ২৮ তারিখেই সেঞ্চুরি তুলে নেন জাভেদ ওমর বেলিম। সেঞ্চুরি ভাগ্য হিসেবে ২৭ তারিখটা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য যতটা কৃপণ, ২৮ তারিখ যেনো ঠিক ততটাই উদার। মাসের ২৮ তারিখেই সর্বোচ্চ ৮টি সেঞ্চুরি (৪টি করে ওয়ানডে ও টেস্ট সেঞ্চুরি) হাঁকিয়েছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা।

এছাড়া ৯ ও ১৭ তারিখে ৬টি করে সেঞ্চুরি এসেছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে। তারিখভেদে সেঞ্চুরির তালিকায় সবচেয়ে অনন্য তারিখ, শ্বাশত অপয়া হিসেবে পরিচিত ‘১৩’ তারিখটাই। কেননা মাসের ১৩ তারিখেই কেবল তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই সেঞ্চুরি পেয়েছে বাংলাদেশ।

এ তো গেলো, তারিখভেদে সেঞ্চুরির খুঁটিনাটি। এবারে আলোচনা করা যাক, মাসভেদে সেঞ্চুরির কথা। বছরের ১২ মাসের প্রতিটিতেই ন্যূনতম ১টি হলেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সেঞ্চুরি করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সৌভাগ্যময় মাস হচ্ছে মার্চ। কেবলমাত্র মার্চেই তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি পেয়েছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা।

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ১৪টি সেঞ্চুরি হয়েছে মার্চ মাসে। ২০১৬ সালের বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের একমাত্র সেঞ্চুরিটা হয়েছিল এই মাসেই। এছাড়াও ৮টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি হয়েছে সেপ্টেম্বরে।

এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাস ১৩টি (৫টি ওয়ানডে ও ৮টি টেস্ট) এবং নভেম্বর মাস টাইগার ব্যাটসম্যানদের ১২টি সেঞ্চুরি (৩টি ওয়ানডে ও ৯টি টেস্ট) উপহার দিয়ে মার্চের ঠিক কাছাকাছিই অবস্থান করছে।

টাইগার ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কৃপণ মাস সেপ্টেম্বর। এ মাসে ৯৪টি সেঞ্চুরির মধ্যে মাত্র ২টি সেঞ্চুরি পেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। দুটিই আবার টেস্ট ক্রিকেটে। প্রথমটি ২০০১ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড, পরেরটি ২০১৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মুশফিকুর রহীমের লড়াকু সেঞ্চুরি।

তারিখভেদে টাইগার ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরির তালিকা

বি.দ্র : টেস্ট সেঞ্চুরির ক্ষেত্রে যে তারিখে ব্যাটসম্যান ১০০তম রান নিয়েছেন সেই তারিখ ও মাস হিসেব করা হয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ