বার বার ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন আনার কারণে বড় সমস্যা দেখছেন ইমরুল কায়েস

শাহরিয়ার নাফীস, নাজিমউদ্দিন, জুনায়েদ সিদ্দিকুর, ইমরুল কায়েস, অনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, তুষার ইমরান, শামসুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, এবং সর্বশেষ লিটন কুমার দাস। তবে এদের মধ্যে কেউ তামিমের সাথে ঠিকভাবে টিকে থাকতে না পারলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার জুটি তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস।
শুধু তাই নয় বিশ্বের ১৫ তম সেরা ওপেনার জুটি বাংলাদেশের তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে এই দুই ওপেনার ১১২ ইনিংসে ওপেনিং করেছেন। এই ১১২ ইনিংসে এই দুইজন মিলে ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে যোগ করেছেন ৪১১৯ রান। ৩৭ গড়ে এই দুই ব্যাটসম্যান ৬ টি সেঞ্চুরি এবং ১৯ টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
ওপেনিং জুটিতে এই দুইজনের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ ৩১২ রান। এক সময় ইমরুল কায়েসকে তামিমের যোগ্য উত্তরসূরি মানা হলো বর্তমান সময়ে আবারও হারিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে বাংলাদেশে জলে ওপেনিং জুটিতে এখন প্রতিদ্বন্দ্বীতা বেড়েছে বহুগুণ। আনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হাসান শান্ত, সৌম্য সরকার সহ ইমরুল কায়েস।
তবে তামিমের সাথে ওপেনিং পার্টনারশিপ আবারো নিজেকে প্রমাণ করতে চান ইমরুল কায়েস। দুই একটি ম্যাচ পরই একজন খেলোয়াড়কে ছুঁড়ে ফেলে দিলে, পিছিয়ে পড়েন ওই ক্রিকেটার। এমনটাই মনে করেন টাইগার ওপেনার ইমরুল কায়েস।
পারফর্ম করতে চাইলে দলে নিয়মিত সুযোগ পাওয়া জরুরি বলেই মনে করেন তিনি। বিগত ১০ বছরের তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিং পার্টনারশিপ দেখা গিয়েছে ১৮ জন ব্যাটসম্যান। এতো পরীক্ষা নিরীক্ষা, যাচাই বাছাইটাই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো!
এ বিষয়ে ইমরুল কায়েস বলেন, এক জায়গায় অনেক দিন থাকলে একজন খেলোয়াড় সেট হয়ে যায়। কাউকে সরানো হলে সেটা কিছুটা সমস্যার তৈরি করে। কোনো খেলোয়াড়ই সবসময় ভালো খেলতে পারেন না।
গেল কয়েকবছরে তামিমের সঙ্গী হয়েছেন যারা তাদের মধ্যে এই ইমরুল কায়েসই সবচে ধারাবাহিক। সবশেষ এগারো ওয়ানডে ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটি সহ করেছেন ৪১৩ রান। গড় ৩৭ এরও বেশি। যদিও ক্যারিয়ার গড় ৩০ এরও নিচে এই অভিজ্ঞ ওপেনারের।
ওয়ানডে ক্যারিয়ার বিবেচনায় তামিমের সাম্প্রতিক পার্টনারদের মধ্যে এগিয়ে সৌম্য সরকার। ক্যারিয়ার গড় প্রায় ৩৫ তবে সম্প্রতি বাজে সময়ই কাটছে এই ওপেনারের। সবশেষ ১০ ওয়ানডেতে রান মাত্র ২৩৩। সবশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন গেলবছরের মাঝামাঝিতে।
চলতি বছরে বাংলাদেশের ৮টি ওয়ানডের সাতটিতেই খেলেছেন এনামুল হক বিজয়। এই সাত ইনিংসে তার সংগ্রহ সবমিলিয়ে ৮৮ রান। গোল্ডেন ডাক দুই ইনিংসে, গড়টা না হয় নাই বললাম। আরেক ওপেনার লিটন দাস ১২টি ম্যাচ খেললেও এখনো দেখা পাননি কোনো ফিফটি।
ওপেনিংয়ের পাইপালাইনে আছেন এদের সবাই। এই প্রতিযোগিতাটাও দলের পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলে মনে করেন ইমরুল কায়েস। সে যাই হোক। টাইগারদের হয়ে উদ্বোধন করতে যিনিই আসুন, দেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই ওপেনিং সমস্যাটা কাটাতে হবে দ্রুতই।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- বিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ ৫ জন
- প্যারোলে মুক্তি পেল আওয়ামী লীগ নেতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- সুখবর: দীর্ঘ অপেক্ষার পর আরব আমিরাতের ভিসা চালু
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনা ও মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের তুলসীর বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- বড় সুখবর পেল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা