ঢাকা, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

আজও অম্লান তামিমের সেই অবিশ্বাস্য কীর্তি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ আগস্ট ১৬ ১৩:৪৬:৩৭
আজও অম্লান তামিমের সেই অবিশ্বাস্য কীর্তি

কিন্তু তামিম ইকবালের অসামান্য এক সেঞ্চুরিতে সেদিন ম্যাচটি জিতে নেয় সাকিব আল হাসানের দল। তার সেদিনের ১৫৪ রানের ইনিংস ওয়ানডেতে আজও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। ওই ম্যাচে কভেন্ট্রির সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন তামিম।

ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১২ রান করে জিম্বাবুয়ে। এদিন কভেন্ট্রি ১৫৬ বল খেলে অপরাজিত ১৯৪ রান করে সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ড স্পর্শ করেন। তার ইনিংসটিতে ছিল ৭টি ছক্কা ও ১৬টি চারের প্রদর্শনী।

তখন বাংলাদেশের স্টার ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু ওইদিন মাত্র ১০ রানেই আউট হয়ে যান তিনি। বড় রানের লক্ষ্যে সেদিন একাই দলের হাল ধরেন তামিম। জুনাইদ সিদ্দিকের সাথে ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৮ রান। যার মধ্যে ২৬ রান তামিমের। ব্যক্তিগত ৩৮ রানে জুনাইদ আউট হয়ে গেলে মাঠে নামেন আশরাফুল। কিন্তু এদিন তিনি ব্যর্থ হন। ২৮ বল খেলে করেছিলেন ১০ রান।

এরপর রাকিবুল হাসানকে নিয়ে ১১৮ বলে ১১৯ রানের একটি জুটি গড়েন তামিম। যেখানে তামিমের অবদান ছিল ৭৪ রান, ৬৩ বলে। আর ৫৫ বল খেলে রাকিবুল করেছিলেন ৩৫ রান। রাকিবুল আউট হলে তামিমের সাথে এসে যোগ দেন সাকিব। দুইজন মিলে ২২ বলে ৩৩ রান যোগ করেন বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে। ব্যক্তিগত ১৯ রানে (১২ বলে) আউট হয়ে যান সাকিব। ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহীম। এই দুইজনের জুটিতেও আসে ৩৩ রান। যেখানে তামিমের অবদান ছিল ১৮ বলে ২৫।

অবশেষে ব্যক্তিগত ১৫৪ রানে আউট হন তামিম। মহাকাব্যিক এই ইনিংস খেলেছেন তিনি ১৩৮ বলে। যেখানে ছিল ৬টি ছক্কা ও ৭টি চারের মার। তার মানে তামিমের ১৯১ মিনিটের ওই ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে আসে ৬৪ রান। বাকি ৯০ রানই নিয়েছেন দৌড়ে। তবে তামিম আউট হলেও ততক্ষণে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে যায় বাংলাদেশ। টাইগারদের তখন প্রয়োজন ছিল ৩৩ বলে ৩৪ রান। যা সহজে করে ফেলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা।

তামিমের সেই অবিশ্বাস্য ইনিংসের সুবাদে প্রথমবারের মতো তিনশোর্ধ রান তাড়া করে জেতে বাংলাদেশ। সেই থেকে বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা হয়ে আছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। শুধু তাই নয়, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের শীর্ষ ৫টি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মধ্যে ৪টিই তামিমের।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস :

১। তামিম ইকবাল : ১৫৪ রান— বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে, ২০০৯।

২। সাকিব আল হাসান : ১৩৪*— বনাম কানাডা, সেন্ট জোন্স, ২০০৭।

৩। তামিম ইকবাল : ১৩২— বনাম পাকিস্তান, ঢাকা, ২০১৫।

৪। তামিম ইকবাল : ১৩০*— বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, প্রোভিডেন্সি, ২০১৮।

৫। তামিম ইকবাল : ১২৯— বনাম আয়ারল্যান্ড, ঢাকা, ২০০৮।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে