ঢাকা, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

মেয়েরা জিতেই যাচ্ছে আর ছেলেরা হেরেই যাচ্ছে

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ আগস্ট ১৫ ১৪:৫৪:১৪
মেয়েরা জিতেই যাচ্ছে আর ছেলেরা হেরেই যাচ্ছে

শুধু ফুটবল র‌্যাংকিংয়ে নয়, উজবেকিস্তান গুনে-মানে এতটাই যে বাংলাদেশ ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি। পুরো দল মিলে রক্ষণভাগ প্রহরা দিয়েও পারেনি গোল ঠেকাতে। এর মধ্যে গোলরক্ষক আশরাফুল রানার আছে কয়েকটি দারুণ সেভ। এর পরও ১৯৯৪ এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ীরা বাংলাদেশের জালে বল পাঠিয়েছে তিনবার। তাই নতুন কোচ জেমি ডে-র অভিষকটাও হয়েছে তেতো, ‘আমরা চেষ্টা করেছি; কিন্তু পারিনি।

উজবেকিস্তান অনেক শক্তিশালী দল। আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তুলনা করলে তারা প্রত্যেকে অনেক এগিয়ে। ম্যাচের আগে থেকেই তারা ফেভারিট ছিল। আমরা চেষ্টা করেছিলাম সেরাটা খেলে তাদের চমকে দিতে। সত্যটা হলো তাদের মানের সঙ্গে আমরা কুলিয়ে উঠতে পারিনি।’ লড়াই করতে হলে প্রথমে ওই পর্যায়ে পৌঁছতে হবে। জামাল-তপুদের ফুটবল উজবেকিস্তানের মানের কাছাকাছিও নয়, তাই লড়াই হয়নি। ১১ জন মিলেও পারেননি উজবেকিস্তানের আক্রমণে বাঁধ দিতে।

২৩ মিনিটে উরিনবোয়েবের গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ। বক্সের ডান দিক থেকে তুলে দেওয়া বলে হেড করে তিনি পরাস্ত করেন গোলরক্ষক আশরাফুল রানাকে। প্রথমার্ধে আরো কয়েকবার কঠিন পরীক্ষায় ফেলেও উজবেকিস্তান ব্যবধান বড় করতে পারেনি। বিরতির পর ৫৭ মিনিটে আবার রক্ষণভাগ পরাস্ত দ্রুতগতির মুভমেন্টে। বাঁদিক থেকে পাঠানো সিদিকভের ক্রসটি আনমাকর্ড দোস্তোনবেক বক্সের ডান কোনা থেকে জালে জড়িয়ে দেন।

৬৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন ইকরেমিয়ন আলিবায়েভ। প্রথমে জালালউদ্দিন মাশারিপভের শট ফিরিয়ে ফিরতি শটে অসহায় রানা। তাতে টানা তিন এশিয়ান গেমসে ৩-০ গোলের হারের কলঙ্ক লেখা হয়। অবশ্য সিনিয়র দলের হারগুলো আরো লজ্জাকর। এ পর্যন্ত উজবেকিস্তানের বিপক্ষে সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-২৩ দল মিলে ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই হেরেছে। আরো লজ্জাকর হলো উজবেকিস্তানের জালে একটি গোলও নেই বাংলাদেশের।

গতকাল সেই লজ্জা ঘোচানোর সুযোগ হলেও সাদউদ্দিনের এক ফাউলে তা নষ্ট হয়। ২৪ মিনিটে রহমতের লম্বা থ্রো-ইনে ফাহাদের ভলি জালে পৌঁছলেও আগের মুহূর্তে অফ দ্য বল ফাউল করেন সাদ। রেফারির বাঁশিতে তাই ফাউলের বাঁশিই বেজে ওঠে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে থাইল্যান্ডের।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে