ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

অবশেষে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সেই কথার জবাবে দিলেন অাশরাফুল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ আগস্ট ১৩ ১৭:৫৮:৩১
অবশেষে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সেই কথার জবাবে দিলেন অাশরাফুল

অবশেষে আজ থেকে সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন আশরাফুল। ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক লীগসহ বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন। তবে এখনই বাংলাদেশ জাতীয় দলে দেখা যাবে না এই কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান কে। এমনকি গতকাল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্ননু বলেন, ‘আশরাফুলকে নিয়ে এখন আমাদের চিন্তা ভাবনা নেই।’

অবশ্য মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এই কথার সাথে একমত প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। লন্ডন থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নিউজ সাইট জাগো নিজকে কে মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘নাহ নান্নু ভাইয়ের কথা শুনে মন খারাপ হয়নি। তিনি যা বলেছেন, সেটা মিথ্যে নয় একচুল।

খুবই স্বাভাবিক। নান্নু ভাই প্রধান নির্বাচক, তার অবস্থান থেকে অমন কথা শতভাগ সত্য এবং বাস্তব। আমি এখন টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক ও বোর্ডের চিন্তায় নেই। থাকার কথাও নয় সেটাই সব থেকে বড় সত্য। পাঁচ বছর জাতীয় দলের বাইরে আমি। খুব স্বাভাবিকভাবে সময়ের প্রবাহতায় একটা জাতীয় দলের সেট আপ গড়ে উঠেছে।

একেক ফরম্যাটে একেক রকম লাইন আপ হয়েছে। কোন দলে কারা থাকবে, কারা খেলবে, টিম কম্বিনেশন কেমন হবে? এগুলো মোটামুটি ঠিক করাই হয়ে গেছে। সেখানে নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হয়েছি বলেই যে আমি হুট করে ঢুকে যাব, এমন নয়। আমি জানি আমাকে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়েই দলে ঢুকতে হবে।’

তিনি আরও জানান, ‘এটা একটা দীর্ঘ মেয়াদী ব্যাপার। রাতারাতি কিছু হবেনা। সেই কৈশোর পার করেই জাতীয় দলে ঢুকেছি একটানা ১২ বছর তিন ফরম্যাটে খেলেছি। এ দীর্ঘ সময় জাতীয় দলে খেলার কারণে শুধু আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাই হয়নি। অনেক কিছু দেখেছি, জেনেছি ও শিখেছি। অভিজ্ঞতাও হয়েছে প্রচুর। সেই থেকেই বলছি আমি খুব ভাল করেই জানি, আমার জাতীয় দলে ঢোকা সহজ হবেনা।’

জাতীয় দলে ফিরতে হলে যে নিজেকে আরও অনেক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে সেই কথা জানেন আশরাফুলও। প্রাথমিকভাবে ফিটনেস টেস্টে পাশ করতে হবে, পরে দেখাতে হবে পারফরম্যান্স। এসব শর্ত পূরণ করে তবেই যে জাতীয় দলে ফিরতে সেটিও ভালোভাবেই জানা আশরাফুলের।

‘আমাকে আবার সব কিছু নতুন করে শুরু করতে হবে। ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ফিটনেস লেভেলকে নিয়ে যেতে হবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। পারফরমেন্সটাও হতে হবে সেইরকম। তারপর বিবেচনায় আসার প্রশ্ন। এখন হুট করে আমাকে নেয়া হবে, আমি তা স্বপ্নেও ভাবিনা, কল্পনাতেও নেই। কাজেই আমার কানে যখন আসে, ‘আশরাফুল তো আমাদের চিন্তাভাবনাতেই নেই’ তখন মন খারাপ হয়না। দুঃখও লাগেনা। তবে একটা অন্যরকম বোধ ও অনুভব হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমিতো বলিনি এখনই দলে নেয়া হোক। এমন কথা বলা বহুদুরে, আমার ভাবনায়ও নেই তা। আমি খুব ভাল করেই জানি , কখন কি কি করলে তারপর ডাক পেতে পারি। সবচেয়ে বড় কথা আমি সেই ২০১৩ সালে (৮ মে জিম্বাবুয়ের সাথে বুলাওয়েতে) জাতীয় দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছি। এ দীর্ঘ সময়ে সব ফরম্যাটে দলের রুপ রেখা তৈরী হয়ে গেছে।

একটা সেট আপও চুড়ান্ত হয়ে গেছে। কে কে ওপেন করবে, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয় ও দশ নম্বরে কে কে ব্যাট করবে, কজন পেসার, কজন স্পিনার খেলবে? অলরাউন্ডার থাকবে কজন- এসব ঠিক করাই আছে। সেখানে আমি হুট করে ঢুকতে পারবোনা। সেটা আমার খুব ভাল জানা ও বোঝা।

কাজেই আমি যে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের চিন্তায় নেই, সেটাই স্বাভাবিক। তাই প্রধান নির্বাচক নান্নু ভাইয়ের মুখে ঐ কথা শুনে দুঃখ পাইনি। আর তিনিতো বলেছেন, হ্যা নিষেধাজ্ঞা আগে উঠুক। আশরাফুল খেলুক। তারপর দেখা যাবে।’

‘তাই মন খারাপ হয়নি। হতোদ্যম হবার প্রশ্নই আসেনা। আমি সামর্থের শেষ বিন্দু দিয়ে জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টা করে যাব। সেটাও একটা প্রক্রিয়ায় হবে। যা রাতারাতি বা একদিন দুদিনের নয়। একটু সময় সাপেক্ষ। এ বোধ-অনুভব ও উপলব্ধি আছে আমার। আর তা আছে বলেই আমিও হিসেব কষে, ভেবে চিন্তে আগানোর কথা ভাবছি

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে