ঢাকা, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১

ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ!

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ আগস্ট ০৭ ১৪:১২:৩৪
ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ!

গোবিনাথনের বাবা-মা দুইজনেরই জন্ম মালয়েশিয়ায়। তার দাদা-দাদী ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার। ভিন্নধর্মী হলেও গোবিনাথনের মেলা-মেশা বেশি ছিল মুসলমান বন্ধুদের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে মিশেমিশেই এক সময় মনস্থির করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের। ২০১৪ সালে তিনি মুসলমান হয়েছেন।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণে কেউ তাকে উদ্ভুদ্ধ করেননি উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রধান কোচ বলেন,‘আমার বন্ধুদের বেশিরভাগই মুসলমান। তাদের সঙ্গে মিশেই আমার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছে জাগে। সেই ইচ্ছে থেকেই এখন আমি মুসলমান।’

২০১৪ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তি নামের আগে যোগ করেন ইমান। এখন তার পুরো নাম ইমান গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পরের বছর তিনি বিবাহ করেন মুসলমান পরিবারের মেয়ে। তার স্ত্রীর নাম জুরা। ২০১৬ সালে গোবিনাথন ও জুরার সংসারে এসেছেন নতুন অতিথি। তাদের পুত্র সন্তানের বয়স এখন ২ বছর। তার নাম রেখেছেন আমিন। বাবার নামের শুরুতে ইমান, ছেলের নাম আমিন।

-বাবা-মা দুইজনই গোবিনাথনদের ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেছেন। বাবা কৃষ্ণমূর্তি মারা গেছেন ১৯৯৯ সালে, মা থাইয়ানায়াগি মারা গেছেন ২০১২ সালে। ধর্ম বদলালেও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আগের মতোই সম্পর্ক ইমান গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তির। গোবিনাথন থাকেন কুয়ালালামপুর, ভাই-বোনেরা অন্য শহরে। তিন ভাই ও এক বোন আলাদা বাস করলেও যোগাযোগ সেই আগের মতোই আছে তাদের।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পরের বছরই বিয়ে করেছেন মুসলিম পরিবারে। আপনার স্ত্রী কী পূর্ব পরিচিতা? ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পেছনে তিনি কী কোনো কারণ? গোবিনাথনের উত্তর ‘না। আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী আগে পরিচিত ছিলেন না। তার কারণে আমি মুসলমান হয়েছি তাও নয়। মুসলমান বন্ধুদের সঙ্গে চলাফেরা এবং ইসলাম ধর্ম ভালো লাগার কারণেই আমার এ সিদ্ধান্ত।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে