ঢাকা, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১

লাইসেন্স নেই, গোলাপ ফুলে আটকে গেল ডিআইজির গাড়ি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ আগস্ট ০৩ ০১:৩৩:৫৮
লাইসেন্স নেই, গোলাপ ফুলে আটকে গেল ডিআইজির গাড়ি

শিক্ষার্থীরা বিনয়ের সঙ্গে চালকের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাইলেন। দেখাতে পারলেন না। পুলিশের পরিচয়পত্র দেখালেন। তাতে ছাড় পেলেন না। এরপর গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলেন তারা। তাও দেখাতে পারলেন না। মুহূর্তেই শিক্ষার্থীরা গাড়িটি ঘিরে ফেললেন। দাঁড় করালেন সড়কের পাশে। দু’জন ছাত্রী গিয়ে গোলাপ ফুল গেঁথে দিলেন গাড়িটির সামনে। আটকে গেল ডিআইজির গাড়ি।

গাড়ি থেকে চালক নেমে এলেন। নামলেন অন্য যাত্রীরাও। আধা ঘণ্টা দেন দরবার। ক্ষমা মিলল না। ডিআইজির গাড়ি আটকা! মোড়ে দায়িত্বে থাকা ডজন খানিক পুলিশ তাকিয়ে থাকলেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে এলেন না। উপায়ন্তুর না পেয়ে চালক পুলিশ সদর দফতর খবর পাঠান কাগজপত্র আনতে।

ডিআইজির গাড়ি আটকানোর আগে একই অভিযোগে আটকে দেয়া হয় এক বিচারপতির গাড়িও। খানিক পরই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ব্যবহৃত আরেকটি দামি গাড়ি ধরা পড়ল শিক্ষার্থীদের হাতে। চালকের কাছে লাইসেন্স নেই। গাড়ি থেকে নেমে কোথায় যেন মিলিয়ে গেলেন চালক। উৎসুক শিক্ষার্থীরা মার্কার দিয়ে দিয়ে লিখে দিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, লাইসেন্স কোথায়?’

এর আগে লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে পুলিশের একটি রেকারভ্যানও আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। আটকে দেয়া হয় নেত্রকোণা পৌরসভার মেয়রের গাড়ি। চালকের লাইসেন্স না থাকার কারণে আটকে দেয়া হয় মেয়রের গাড়ি। তবে এ সময় মেয়র গাড়িতে ছিলেন না।

তেজগাঁও কলেজ থেকে এসে শিক্ষার্থীদের তল্লাশি অভিযানে অংশ নেন তামান্না। এই শিক্ষার্থী বলেন, আমরা অভিযানে অংশ নিয়ে দেখতে পেলাম, পরিবহন খাতের নৈরাজ্য। কেউ আইন মানছে না। এমনকি যারা আইন তৈরি করেন, আইন বাস্তবায়ন করেন, তারাও আইন মানে না। রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা নেই বলেই এমনটি হচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে