প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে কথা হলো মিমের বাবার

আলাপকালে মিমের বাবা জাহাঙ্গীর তার এই অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১০টি দাবি করেছি। বিশেষ করে ঢাকা শহরের স্কুল-কলেজের সামনে ওভারব্রিজ অথবা অান্ডারপাস দেয়ার কথা বলেছি। ঢাকার ভেতরে এবং বাইরের কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য অালাদা বাস সার্ভিস, দ্বিতলবিশিষ্ট বাস সার্ভিস দাবি করেছি। এটা হলে অভিভাবকদের অার কোনো টেনশন থাকবে না।
‘প্রধানমন্ত্রী অামাকে বলেছেন, ড্রাইভার ও মালিককে অাটক করা হয়েছে। ওনাদের বিচার হবেই। ইতোমধ্যে গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করেছি।’
'অামি প্রধানমন্ত্রীকে অারও বলেছি, লাইসেন্স ছাড়া কোনো ড্রাইভার যেন গাড়ি না চালায়, ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে লেগুনা চালানো হয়, যাদের বডির ফিটনেস গাড়ির ফিটনেস ও লাইসেন্স কোনোটাই নেই। যতদিন স্কুল-কলেজের সামনে ফুটওভারব্রিজ না হবে ততদিন বিশেষ ট্রাফিক পুলিশ শিক্ষার্থীদের পার করে দেবে। অামার মেয়ে দিয়া ও অপর শিক্ষার্থী করিম যে জায়গায় অ্যাকসিডেন্ট করেছে, সেখানে দ্রুত একটি ওভারব্রিজ করলে অার দুর্ঘটনা ঘটবে না। যে ১০টি দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে করেছি তার প্রত্যেকটি দাবি মেনে নেবেন বলে অামাকে কথা দিয়েছেন তিনি',- বলেন মিমের বাবা।
এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর বলেন, শেখ হাসিনা গ্রামের মানুষ, মাটির মানুষ, তার ব্যবহারে খুব খুশি হয়েছি। অাল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘায়ু দান করুক।
অারেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অামি যে সন্তান হারিয়েছি তাকে তো অার ফেরত পাবো না। তবে অামার মেয়ের সহপাঠীরা যারা অান্দোলন করছে, তাদের বলবো বাবারা তোমরা ফিরে যাও। তোমাদের অান্দোলনে কেউ ঢুকে অন্য কারও মায়ের কোল খালি হোক তা অামি চাই না। তোমাদের যে দাবি, অামি প্রধানমন্ত্রীকে সব বলেছি। প্রধানমন্ত্রী অামাকে অাশ্বাস দিয়েছেন। তোমরা ঘরে ফিরে গিয়ে লেখাপড়ায় মনোযোগ দাও। অার অামার মিম ও করিমের জন্য দোয়া কোরো। আল্লাহর রহমতে অামরা ভালো বিচার পাবো। অামি এক সন্তান হারিয়েছি। যারা অাছে তাদের যেন মানুষ করতে পারি এজন্য প্রধানমন্ত্রী অামাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অামাদের দুই পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র কিনে দিয়েছেন। গুলশানের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করে দিয়েছেন। ওখান থেকে প্রতি মাসে ১৮ হাজার টাকা পাবো, যা দিয়ে অামার সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারবো। এ ছাড়া অামার বাকি সন্তানরা লেখাপড়া শেখার পর চাকরির অাশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাহাঙ্গীর বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, অামাকে এত সময় দেবেন ভাবতেই পারিনি। এছাড়া অামাদের জন্য দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। অামার এই দুঃসময়ে অামাদের দুটি পরিবারের পাশে উনি যেভাবে দাঁড়িয়েছেন তাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।
জাতীয় - এর সব খবর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আ.লীগকে ৭৫% মানুষ সমর্থন করছে জাতিসংঘের জরিপ, জানা গেল সত্যতা
- নির্বাচনী আসন ভাগাভাগি করলো এনসিপির প্রার্থীরা
- মেহেদী হাসান মিরাজের নতুন নাম দিল আইসিসি
- মাগুরার আছিয়ার বোনের বক্তব্য: শোনেন আসল সত্যিটা (ভিডিওসহ)
- নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার
- বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- শান্ত বাদ, তবে নতুন অধিনায়ক মিরাজ নয়
- স্বাস্থ্য খাতে বড় সংস্কার: ২৬ মেডিকেল কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সরাসরি জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
- দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন নাহিদ ইসলাম
- বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- আজ সামান্য বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে ৩ ক্রিকেটার