ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কফি হাউসের সেই আড্ডা এখনো আছে

২০১৮ জুলাই ২৬ ১৪:০১:২১
কফি হাউসের সেই আড্ডা এখনো আছে

গুগল ম্যাপ বলছে, এখান থেকে কফি হাউসে হেঁটে যেতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট। রাস্তার পাশেই খোলা ফাস্ট ফুডের দোকান। সহযাত্রী ডা. অনিক ‘সুন্দর দেখে’ দু'টি আলুর চপ নিলেন। মুখে দিতেই বোঝা গেল, সুন্দর হলেই সুস্বাদু হয় না।

সবুজ দেশি পেয়ারার পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানি। কেজি হিসেবে বিক্রি হলেও পিস হিসেবেই কিনছেন সবাই। ৫ রুপি করে আমরাও কিনে নিলাম। দারুণ সুস্বাদু।

পেয়ারা খেতে খেতে পৌঁছে গেলাম কলেজ স্ট্রিটে। চারদিকে বই আর বই। মনে হতেই পারে, আপনি পুরান ঢাকার বাংলাবাজার চলে এসেছেন। এই দুপুরে একমুখি রাস্তায় তীব্র যানজট। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা হেঁটেই চলছে। সাথে অভিভাবকও আছেন।

বইয়ের দোকান পেরিয়ে পুরোনো একটি ভবন। এটিই কফি হাউস। গান শুনে মনে হয়েছিল কফি হাউসের চারদিক হবে খোলামেলা। সবুজের ছায়ায় মিলবে কফির পেয়ালায় চুমুক দেওয়ার সুযোগ।

সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠতেই আড্ডা। নানা বয়সের মানুষের আড্ডা। এসেছেন পর্যটকরাও। দরজা দিয়ে ঢুকতেই মুখোমুখি কাউন্টার। পেছনে বিশাল বোর্ডে খাবারের দরদাম।

চারজনের টেবিল। সবগুলোতেই ভিড়। খাওয়া আর আড্ডায় ব্যস্ত সবাই। অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর ফাঁকা টেবিল পেলাম।

সাদা শার্ট-প্যান্ট, কোমরে লাল বেল্ট, মাথায় টুপি পরিহিত ওয়েটাররাও অনেক ব্যস্ত। একজন এসে মেনুটা দিয়ে গেলেন।

কফি হাউসে এসেছি আর কফি খাবো না তা কি করে হয়। কফির সাথে অর্ডার দিলাম কাটলেট আর ক্লাব স্যান্ডউইচ। খাবারের জন্য অপেক্ষা।

নিয়ন আলোয় আলোকিত ‘ডুপ্লেক্স’ কফি হাউজ। চলছে তিন পাখার ফ্যান। কেউ কেউ ফটোগ্রাফি করছেন। কেউ আবার ঘুরে দেখছেন এদিক সেদিক।

উপর তলায় বসলে কফি হাউসের পুরো ভিউটা একসাথে দেখা যায়। সন্ধ্যায় নাকি আড্ডা বেশি জমে। চারপাশের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আর পর্যটকরাই এখন কফি হাউসের আড্ডার প্রাণ।

ভেবেছিলাম কফি হাউসের কফিটা কফির মত হবে। কিন্তু এতো দেখি পুরোটাই উল্টো। চায়ের সাথে কফি মেশানো বললেও ভুল হবে না। ক্লাব স্যান্ডউইচ ভালো ছিল। কিন্তু কাটলেট খেতে খেতে মনে পড়লো বাসায় বানানো ঝাল পিঠার কথা। রেটিংয়ে কফি হাউসের খাবারের মান ৫/১০।

মান্না দে’র গানের সেই কফি হাউসের স্মৃতিটা সাথে নিয়ে বিদায় জানালাম কফি হাউসকে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে