এভাবেও হারা যায়!

বৃহস্পতিবার এক ম্যাচ হাতে রেখে আইপে বাংলাদেশ বনাম উইন্ডিজ সিরিজের শিরোপা নিজেদের করে নেওয়া হলো না বাংলাদেশের। বাড়ল অপেক্ষা।
আক্ষেপের শুরু হয়েছিল আরও আগে। যখন ৮ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। অথচ, হাতে তখনও ৬ উইকেট। কিমো পলের ফুলটসে মাত্র ১ রান নিতে পারলেন মুশফিক। ওভারের পরের বলটি ছিল শেষ বল। সেটিও ছিল ফুলটস। কিন্তু ক্যাচ তুলে দিলেন সাব্বির। আগের ম্যাচে ৩ রান করা সাব্বির এবার ১২ রান করলেন বটে, বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন আক্ষেপের পারদ।
পরের ওভারের প্রথম বলেও কুপোকাত বাংলাদেশ! দলের সবচেয়ে সেট ব্যাটসম্যান মুশফিকও ক্যাচের ফাঁদেই ফিরলেন। পরপর ২ বল ২ উইকেট হারিয়ে বদলে গেল ম্যাচের গতি। তারপরও বাংলাদেশ হারবে, এটা অবিশ্বাস্য। ম্যাচ জেতাতে মাঠে নেমে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
দূর্ভাগ্য যেন সাথে করেই এনেছিলেন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক। পরপর দুই বলে কোন রানই তুলতে পারলেন না! অথচ বল বাকি আর ৩টি। শেষ ৩ বলে জিততে হলে দরকার ৮ রান। হলো না। ২, ১, ১; এই ছিল শেষ তিন বলে বাংলাদেশের স্কোর। শেষ ১ বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রানের। দূর্ভাগ্যের পচা দড়িতে আটকে গেল বাংলাদেশ। যেন জোর করে বুঝিয়ে দিল, এভাবেও হারা যায়!
২০০৯ সালের পর বিদেশের মাটিতে এটাই হতে পারতো বাংলাদেশের দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়। উইন্ডিজের বিপক্ষেও। ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সত্যি হতে পারতো সেই স্বপ্নের পূরণ। কিন্তু হলো না। গায়ানার যে প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ, সেখানে এবার শেষ বলে গিয়ে হারলো বাংলাদেশ দল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬৮ রান তুলে থামল দলের ইনিংস।
উইন্ডিজের দেওয়া ২৭২ রানের লক্ষ্য জয় করতে নেমে তামিম-বিজয়ের ওপেনিং জুটিতে ৩২ রান পায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়া বিজয় এদিন ৯ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নিজের নামের সাথে কিছুটা সুবিচার অবশ্য করেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে আবারও তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের জুটি। প্রথম ম্যাচে ২০৭ রানের জুটির পর এবার হলো ৯৭ রানের জুটি। দুজনেই পেলেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। তামিম দলীয় ১২৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৪ রানে আউট হওয়ার পর ১৬ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন সাকিব।
দ্রুত দলের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর দলের ভেঙ্গে পড়া দেয়ালে ইট-সুরকি দিয়েছিল মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি। তাদের ব্যাটে আসা ৮৭ রানের অসাধারণ এক জুটি বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। সেই জুটি ভাঙল মাহমুদউল্লাহর আউট হওয়ার মধ্যে দিয়ে। ৩৯ রানে ফিরলেন তিনি।
এরপর বাংলাদেশের দলীয় রান যখন ২৬৪, তখনই পরপর ২ উইকেট হারিয়ে স্বপ্ন জয়ের পথ থেকে ক্রমশ পেছনে পড়তে থাকে সফরকারীরা। সাব্বির রহমান ১২ রান তুলে ফিরে যান, ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিম। পরের গল্পটা সবার জানা।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। বল হাতে একটি করে উইকেট নিয়েছেন জোসেফ, হোল্ডার, নার্স, ক্রিস পল ও বিশু।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশ আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলে ব্যাটিং শুরু করে উইন্ডিজ। হেটমায়ারের সেঞ্চুরিতে (১২৫ রান) ভর করে ৪৯.৩ ওভারে ২৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। বল হাতে বাংলাদেশের পেসার রুবেল হোসেন একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান দুটি ও বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মাশরাফি ও মিরাজ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- আবারও বাড়লো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- একাধিক গণমাধ্যমে দাবি ‘নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনার মৃত্যুর’ জানা গেল খবরের সত্যতা
- ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যু, জানা গেল সত্যতা
- চরম দু:সংবাদ: ভিসা বন্ধ ঘোষণা
- পিলখানার হত্যাকাণ্ড কোনো সেনাসদস্য ঘটায়নি সরাসরি যাকে দুষলেন সেনাপ্রধান
- আফগানিস্তান ইংল্যান্ডকে হারানোর পেছনের নায়ক বাংলাদেশের বুলবুল
- নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর সারজিস আলমের ঘোষণা
- নাহিদের পদত্যাগে নতুন বিতর্ক, ভারতীয় সাংবাদিকের পোস্টে তোলপাড়
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- বাংলাদেশের একটি শক্তির কারণে যুদ্ধে জড়াবে না ভারত
- নাহিদ ইসলামের জায়গাতে নতুন উপদেষ্টা হচ্ছেন যিনি
- আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আত্মপ্রকাশ করছে ৩টি বড় রাজনৈতিক জোট
- কঠিন সমীকরণ: শেষ ম্যাচ না জিতেও সেমি ফাইনাল খেলবে আফগানিস্তান
- মাসের শুরুতেই কমলো সৌদি রিয়াল রেট বিনিময় হার
- নতুন উপদেষ্টা হলেন মাহফুজ আলম