ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

সাকিব-তামিমের ধীর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ?

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ২৬ ১০:১২:১৫
সাকিব-তামিমের ধীর গতির ব্যাটিংয়ের কারণে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ?

নাটকীয় ভাবে শেষ ওভারের ম্যাচ হেরে গেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শিমরন হ্যাটমিয়ার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ২৭২ রানের টার্গেট দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দল।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ২৯ রানের জুটি গড়েন এভিন লুইস এবং ক্রিস গেইল। নিজের চতুর্থ ওভারে এসে এভিন লুইস কে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এভিন লুইস ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। পরের উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

২৯ রান করা ক্রিস গেইলকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৭৭ রানের মাথায় শাই হোপকে ২৫ রানে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট করেন সাকিব। এদিন আবারো নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন রুবেল হোসেন।

১২ রান করা জেসন মোহাম্মদকে দলীয় ১০২ রানের মাথায় আউট করেন রুবেল। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শিমরন হ্যাটমিয়ার এবং রভম্যান পাওয়েল ১০৩ রানের পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন রুবেল হোসেন। দলীয় ২০৫ রানের মাথায় ৪২ রান করা রভম্যান পাওয়েলকে বোল্ড করেন রুবেল হোসেন।

তবে একই ওভারে আরেকটি ভুল করে বসেন সাকিব আল হাসান। ৭৯ রান করা হ্যাটমিয়ারের ক্যাচ ছেড়ে দেন সাকিব। কিন্তু পরের ওভারে এসেই উইকেট তুলে নেন সাকিব। জেসন হোল্ডারকে ৭ রানে আউট করেন তিনি। এরপর দলীয় ২৩৬ রানের মাথায় অ্যাশলি নার্সকে ৩ রানে আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

পরের ওভারে ৪ রান করা কেমো পলকে অাউট করেন রুবেল। তবে অন্য প্রান্ত থেকে ৮৪ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন শিমরন হ্যাটমিয়ার। ৪৮ তম ওভারে ইনিংসের নবম এবং নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। ৪৯.৩ ওভারে ২৭১ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হ্যাটমিয়ার ৯৩ বলে ১২৫ রান সংগ্রহ করেন

২৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিধ্বংসী রূপে ব্যাট করতে থাকেন আনামুল হক বিজয়। তবে বেশীক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি তিনি। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ৯ বলে ২৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। তবে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল।

৪.৪ বলে ৫৩ রান তোলে বাংলাদেশ। ১৪.৫ ওভারে দলীয় শতরান পূরণ করেন সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। কিন্তু এরপরই যেন কোথায় হারিয়ে যান সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। তবে পরে ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান নেয় সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। আর তার ফলেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। ৭১ বলে ক্যারিয়ারের ৪২ তম ফিফটি তুলে নেন তামিম ইকবাল।

৮৫ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তামিম। দলীয় ১২৯ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৬২ বলে ৫০ রান করে সাকিব আল হাসান। দলীয় ১৪৬ রানের মাথায় ৭২ বলে ৫৬ রান করে আউট হয়ে যান সাকিব আল হাসান। এরপরে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মুশফিকুর এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

কিন্তু দলীয় ২৩২ রানের মাথায় ৩৯ রান করে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলের তখন প্রয়োজন ২৯ বলে ৪০ রান। তবে ৫৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ১৪ রানের।

ব্যাটিং এর তখন সাব্বির রহমান এবং মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ৮ রান বাকি থাকতেই ১২ রান করে আউট হয়ে যান সাব্বির রহমান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ৮ রানের। কিন্তু ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়েই আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহিম। ৬৬ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। কিন্তু মোসাদ্দেক ৪ বলে ৩ রার নিলে শেষ বলে যার জন্য প্রয়োজন হয় ৫ রানের।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে