ঢাকা, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

মাঠে নামার আগে সবাইকে যা বলেছিলেন মাশরাফি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ২৩ ১৩:১৯:৪৪
মাঠে নামার আগে সবাইকে যা বলেছিলেন মাশরাফি

তবে শুধু দলেরই নয়, মাশরাফি এবার পাল্টে দিয়েছেন পুরো ক্রিকেট অঙ্গনের পরিবেশই। অধিনায়ক হিসেবে তার বিচক্ষণতা আর এই বয়সে এসেও দুর্দান্ত ধারাল বোলিং বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে স্বস্তির এক জয়। ফলে সফরকারীরা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।

কী এমন জাদু করলেন মাশরাফি, যাতে হুমড়ি খেয়ে পড়া দলের এই আকাশে ওড়ার পারফরম্যান্স? মাশরাফির মুখনিঃসৃত কোন প্রেরণা ফের বদলে দিল দলকে? ম্যাচ শেষে ওয়ানডে অধিনায়কের উত্তর, ‘বিশেষ কিছু বলিনি। স্রেফ বলেছি, হৃদয় উজাড় করে খেলতে, দেশের জন্য খেলতে। (টেস্ট সিরিজে) যা হয়েছে, তা তো হয়ে গেছেই। এটা নতুন সিরিজ। শুরুটা ভালো করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সেই ‘শুরুর ভালো’ কিংবা হৃদয় উজাড় করে খেলাটা রোববার হয়েছে যথার্থভাবে। মাশরাফির প্রত্যাশা, দল ধরে রাখবে এর ধারাবাহিকতা, ‘আজ ঠিক সেটাই হয়েছে। আশা করি এই পারফরম্যান্স আমরা ধরে রাখতে পারব।’

২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই গায়ানাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মহাকাব্যিক এক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে এসে দলের দুঃসময়ের ফাঁড়া কাটান জয়টিও একই ভেন্যুতে। মাশরাফি জানালেন, গায়ানার উইকেটে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে বাংলাদেশ, ‘২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় এখনও মনে আছে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলছি। এখানকার উইকেট আমাদের ধরনের সঙ্গে বেশ মানিয়ে যায়।’

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস। বৃষ্টি শেষে ধীর পিচ আর আউটফিল্ডে ব্যাট করতে একটু বেগ পেতেই হচ্ছিল তামিক ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে। তবুও ঠাণ্ডা মাথায় খেলে গেছেন দুজন, গড়ে দিয়েছেন বড় সংগ্রহের ভিত্তি। শেষদিকে তান্ডব চালিয়ে মুশফিকুর রহিম এনে দিয়েছেন সম্মানজনক সংগ্রহ। মাশরাফির কণ্ঠে এর সারমর্ম, স্বস্তির সুরে।

তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং আজ শুরুতে চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু তামিম ও সাকিব দারুণ ব্যাট করেছে। সুরটা বেধে দিয়েছে। শেষে মুশির ছোট্ট ইনিংসটি ছিল অসাধারণ।’

উইন্ডিজকে দ্রুত আটকানর জন্য বল হাতে ভালো শুরু চেয়েছিল বাংলাদেশ। দুই বিপজ্জনক ওপেনার ক্রিস গেইল ও এভিন লুইসকে ফিরিয়ে ভালো শুরু সম্ভব হয়েছে। মাশরাফিও জানালেন তা, ‘আমরা জানতাম, শুরুতে ভালো বোলিং করলে এখানে ২৮০ রান তাড়া করা কঠিন। আমাদের চাওয়া ছিল গেইল ও লুইসকে দ্রুত ফেরানো। সেটি হয়েছে। এরপর আমরা চাপটা ধরে রেখেছি।’

যে মাশরাফির ছোঁয়ায় দলের এই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ পরিবর্তন, সেই মাশরাফি সফরে যেতে পারবেন না- একটা সময় এমনটাই ভেবে নেওয়া হচ্ছিল। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে ক্রিকেট থেকেই বলতে গেলে দূরে ছিলেন। উইন্ডিজ সফরের আগে মাশরাফি-পত্নী সুস্থ হয়ে যাওয়ায় অবশেষে ক্যারিবীয় সফরে আসতে পেরেছেন মাশরাফি, তবে সেটিও সতীর্থদের সফরের অনেক পর। আর এই কারণে প্রস্তুতিও নিতে পারেননি ঠিকমতো। তবে মাশরাফির পারফরম্যান্স বা ডেডিকেশন দেখে কে বলবে সেটি! উইন্ডিজদের বিপক্ষে বাংলাদেশি পেসারদের সেরা বোলিং ফিগার নিয়ে দিনশেষে তামিমের মত ম্যাচের নায়ক যে তিনিও।

অনুশীলনের ঘাটতির কারণেই ম্যাচে দ্বিতীয় স্পেলে বল করেছেন ছোট রানআপে। এমন মাশরাফিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা গেলেও সচরাচর দেখা যায় না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তথা একদিনের ক্রিকেটে। তবে সেই কৌশলী ক্রিকেটেও দিনশেষে মাশরাফি জয়ী দলের অধিনায়ক।

মাশরাফি বলেন, ‘গত ২-৩ মাসে সেভাবে বোলিং করতে পারিনি। লম্বা রান আপে অনুশীলনও সেভাবে করতে পারিনি। এমন সময় আসতেই পারে। ম্যাচে কাজটা এমনিতেও সবসময় কঠিন। তবে আমি মাঠে উপভোগ করেছি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে