ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

‘আমি সাব্বিরের ৭ মাসের সন্তান গর্ভে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি’

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ২১ ১৩:৪১:০৯
‘আমি সাব্বিরের ৭ মাসের সন্তান গর্ভে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি’

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) রাতে মাদারীপুর সদর থানায় সাব্বিরকে প্রধান আসামি করে চার জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছে। তবে আসামিরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি বলে জানা গেছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে করা মামলা সূত্রে জানা যায়, ছোট বেলায় ওই কিশোরীর বাবা-মা মারা যায়। তারপর থেকেই ওই কিশোরী তার নানা বাড়িতে থাকত। নির্যাতিতা কিশোরী অভিযুক্ত সাব্বিরের ছোট বোনের সমবয়সী হওয়ায় সে মাঝেমধ্যে সাব্বির সরদারের বাড়িতে যাওয়া আসা করত এবং রাতে তার বোনের সঙ্গেই ঘুমাতো ওই কিশোরী। এভাবে প্রায় ২ বছর ধরে তাদের বাড়ি যাওয়া আসার এক পর্যায় সাব্বির ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

কিন্তু, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ সাল রাতটি ওই কিশোরীর জীবনে নেমে আসে কালো অধ্যায়। ওই রাতে সাব্বিরের বোনের সঙ্গে অন্যান্য দিনের মতো ওই কিশোরী ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু ভোরে তার প্রাইভেট থাকায় সে ঘুম থেকে উঠে চলে যায়। আর এই সুযোগে সাব্বির ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে ওই কিশোরীকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয় সাব্বির। এরপর থেকেই ওই কিশোরীকে ভালবাসা ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে সে।

নির্যাতিতা ওই কিশোরী বলেন, ‘আমাকে প্রথমে হত্যার হুমকি দিয়ে করে ধর্ষণ করেছে। এরপর একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই কাজ করছে। আমি যখন ওর সন্তানের মা হতে চলেছি তখন অনেকবার অনুরোধ করেছি আমাকে বিয়ে করার জন্য। আমার আত্মীয়-স্বজন দিয়েও অনেকবার বলেছি। এখন আমি সাব্বিরের ৭ মাসের সন্তান গর্ভে নিয়ে অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করতে হয়েছে। আমি ও আমার সন্তানের সামাজিক স্বীকৃতি চাই।’

ওই কিশোরীর বড় বোন বলেন, ‘আমার বাবা-মা কেউ বেচে নেই, তাই বাধ্য হয়ে নানা বাড়িতে আমার বোন ও ভাইকে রেখে পড়াশুনা করিয়েছিলাম। তবে অভাবের কারণে বোনের পড়াশুনা করতে পারেনি। আমার বোনের যে অবস্থা তাতে আমাদের মান-সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা দায়। এখন আমার বোনকে স্ত্রী হিসাবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে হবে।’

এ ঘটনায় সাব্বিরের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। তবে এটাতো ধর্ষণ না, এটা দুইজনের মতামতে হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে কেন তারা মামলা করেছে। এখন আমরা কীভাবে আলোচনা করবো।’

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল হাসান জানান, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটির তদন্ত করে দ্রুতই আমরা অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করবো।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে