ঢাকা, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

শেষ ওভারে তিন ছক্কা খেয়েও জয়ের নায়ক শরিফুল

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ১৭ ২০:২০:৩০
শেষ ওভারে তিন ছক্কা খেয়েও জয়ের নায়ক শরিফুল

তারপরও জয়, জয়ই। আজ সিলেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ‘এ’ দল মাত্র ২ রানের অতি ছোট্ট ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলকে হারিয়েছে। চার দিনের আন-অফিসিয়াল টেস্টে তিন দিনে ইনিংসে হেরে বসার পর ৫০ ওভারের প্রথম ম্যাচে জয় তাই অন্ধকারে আশার আলো। ক্রিকইনফোর স্কোর কার্ড জানাচ্ছে, শেষ ওভারে লঙ্কান এ দলের ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান সেহান মাদুসংকাকে আউট করে জয়ের নায়ক বাংলাদেশ ‘এ ’ দলের পেসার শরিফুল ইসলাম।

সেটা ঠিকই আছে; কিন্তু তার আগেও কিছু ঘটনা আছে। যা জানার পর শরিফুলের কপালে বাহবা জুটবে না। তার বদলে বরং ‘ধুয়ো’ ধ্বনিও উঠতে পারে। শেষ ওভারেই স্রেফ ম্যাচটায় বাংলাদেশকে ডোবাতে বসেছিলেন এই শরিফুলই।

কারণ, ম্যাচের ১০০ নম্বর তথা লঙ্কান ইনিংসের শেষ ওভারে সফরকারীদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রানের। নিশ্চিত, বিশাল লক্ষ্য। অসম্ভব সেই লক্ষ্য পূরণ করা। শরিফুল ওই ওভারের প্রথম পাঁচ বলে হজ করলেন তিন ছক্কা। রান দিলেন ১৯টি। জয়ের মুখ থেকে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ ‘এ’ দলণ।

তবে, শেষ বলে এসে শরিফুলই আবার উদ্ধার করলেন দলকে। শেষ বলে লঙ্কান দ্রুত গতির বোলার মাদুসংকা উইকেটের পিছনে অধিনায়ক মিঠুনের গ্লাভসে ক্যাচ দিলে স্বস্তির জয় পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

শেষ ওভারে শরিফুলের করা প্রথম বলে সিঙ্গেলস নেন শেষ ব্যাটসম্যান নিশান পেরিস। স্ট্রাইক পেয়ে প্রথম বলে রান নিতে পারেননি মাদুসংকা; কিন্তু এরপরের তিন বলে টানা তিনটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন এ লঙ্কান। পুরো সিলেট স্টেডিয়ামে তখন কবর নিস্তবদ্ধতা নেমে আসে। হারের কাছাকাছি চলে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

শেষ বলে তিন রান দরকার থাকা অবস্থায় বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে আর মাঝ ব্যাটে আনতে পারেননি মাদুসংকা। ব্যাটের বাইরের কোনা ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটের পিছনে কিপার এবং অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে।

একদম শেষ বলে জয় ধরা দিলেও এ ম্যাচের ফল আরও একবার প্রমাণ করলো শুধু জাতীয় দল নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্মও দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের চেয়ে একদিনের সীমিত ওভারের ফরম্যাটে তুলনামূল সাবলীল ও দক্ষ।

চার দিনের তৃতীয় ও শেষ আন-অফিসিয়াল টেস্টে লঙ্কান ‘এ’ দলের কাছে তিনদিনে ইনিংসে হেরে বসা মোহাম্মদ মিঠুনের দল আজ প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলতে নেমে পূর্ব ব্যর্থতার ধাক্কা সামলে প্রথম সেশনে ২৮০ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে যায়।

ওপেনার সৌম্য সরকার ( ৩৪ বলে ২৪) আর জাকির হাসান ( ২৬ বলে ১৮) ছাড়া প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই রান পেয়েছেন। সবেচেয়ে বেশি ৬৭ রান (১০৭ বলে) আসে ওপেনার মিজানুল রহমানের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন ফজলে মাহমুদ (৬৩ বলে )।

এছাড়া পাঁচ ও ছয় নম্বরে অধিনায়ক মিঠুন ( ৪৪ বলে ৪৪) আর আরিফুল হকের (২২ বলে চার ছক্কা ও তিন বাউন্ডারিতে ৪৭) একজোড়া চল্লিশোর্ধ ইনিংসই স্বাগাতিক এ দলকে ২৮০’র ঘরে পৌছে দেয়।

দুই পেসার খালেদ আহমেদ আর শরিফুল ইসলাম মিলেই লঙ্কানদের জয়ের পথে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান। তাদের নৈপুণ্যেই স্বাগতিকরা স্বস্তির জয় উপহার পেলো। এই দুই পেসার মিলেই লঙ্কানদের ৭ উইকেট ভাগ করে নেন। বল হাতে শুরু করা দ্রুত গতির খালেদ আহমেদ ৪ উইকেট পেলেও রান দিয়ে ফেলেছেন ৭২।

তবে শেষ ওভারে মাদুসাংকার হাতে তিন ছক্কা হজম করার আগ পর্যন্ত বেশ সুনিয়ন্ত্রিত ও সমীহ জাগানো বোলিং করেছেন শরিফুল। শেষ ওভারে ১৯ রান না দিলে তার স্পেলটি আরও উজ্জ্বল থাকতো। ৯ ওভারে ৩৫ রান দেয়া শরিফুলের বোলিং ফিগার ৩/৫৪।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে