ঢাকা, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

বিশ্বকাপের ফাইনালে এতো রেকর্ড!

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ১৬ ১২:১৪:০২
বিশ্বকাপের ফাইনালে এতো রেকর্ড!

১. দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জোড়া গোল করার মধ্য দিয়েই ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের একটা কীর্তিকে মনে করিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। গড়েন পেলের পর দ্বিতীয় সর্বোকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের এক ম্যাচে জোড়া গোল করার কীর্তি। ফরাসি তরুণ পেলেকে স্মরণ করালেন ফাইনালেও। ফ্রান্সের ৪-২ গোলের জয়ে চতুর্থ গোলটি করেছেন ১৯ বছর বয়সী এমবাপে। এর মধ্য দিয়ে গড়লেন পেলের পর সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করার রেকর্ড। তিনি গোল করলেন ১৯ বছর ২০৭ দিন বয়সে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে পেলে গোল করেছিলেন ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে।

২. কোচ ও অধিনায়ক হিসেবে ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়লেন গড়লেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এর আগে এই কীর্তি ছিল শুধু জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের। ১৯৭৪ সালে অধিনায়ক ও ১৯৯০ সালে কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। অধিনায়কত্বের বাইরে খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন আরও একজন। ব্রাজিলের মারিও জাগালো। তিনি অবশ্য খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতেন দুবার, ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে। ১৯৭০ সালে জেতেন কোচ হিসেবে।

৩. বিশ্বকাপের ফাইনাল আত্মঘাতী গোল দেখল এই প্রথম। রোববার আত্মঘাতী গোল করে ক্রোয়েশিয়ান ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ তাই গড়লেন অনন্য কীর্তি! আত্মঘাতী গোলের প্রায়শ্চিত্যও অবশ্য করেছেন মানজুকিচ। ক্রোয়েশিয়ার দুই গোলের একটি করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে ইতিহাসের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ও বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়লেন তিনি। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন ফেরেঙ্ক পুসকাস, জ্লাতান জিবর, জার্ড মুলার ও জিনেদিন জিদান।

৪. ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতলেন এমবাপে। তার চেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ জিতেছেন পেলে (১৭ বছর) ও ইতালির জিউসেপে বারগামি (১৮ বছর)। এমবাপে জিতলেন ১৯ বছর বয়সে।

৫. এ নিয়ে সর্বশেষ ৪টি বিশ্বকাপেরই ফাইনালে খেললেন ফরাসি ক্লাব মোনাকোর গোলরক্ষক। দুঃখজনক হলো, ৪ বারই মোনাকোর গোলরক্ষককে ফাইনালে হেরে কাঁদতে হয়েছে। ২০০৬ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের গোলরক্ষক ফাবিয়ান বার্তেজ, ২০১০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের মার্তেন স্তেকেলেনবার্গ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সার্জিও রোমেরো।

৬. লুঝনিকির ফাইনালে দুই দল মিলিয়ে গোল করেছে ৬টি। বিশ্বকাপের ফাইনালে এ নিয়ে চতুর্থ বার ৬ গোল হলো। ১৯৩০, ১৯৩৪ ও ১৯৬৬ বিশ্বকাপেও হয়েছিল ৬টি করে গোল। সর্বোচ্চ ৭ গোল হয়েছে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে। সেবার স্বাগতিক সুইডেনকে ৫-২ গোলে হারিয়ে ইতিহাসে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল।

৭. ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোনো দল ফাইনালে কম পক্ষে ৩ গোল দিল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপেও এই ফ্রান্সই ব্রাজিলকে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে।

৮. ইতিহাসের ষষ্ঠ দল হিসেবে একাধিকবার বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়ল ফ্রান্স। এর আগে এই কীর্তি আছে ব্রাজিল (৫ বার), ইতালি (৪ বার), জার্মানি (৪বার), উরুগুয়ে (২ বার) ও আর্জেন্টিনার (২ বার)। এছাড়া একবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন। মানে মোট ৮টি দল বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে