ঢাকা, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

সর্বোচ্চ রাজ্যাভিষেকে' দেশমের কণ্ঠে তারুণ্যের জয়গান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ১৬ ১২:০৭:৪৪
সর্বোচ্চ রাজ্যাভিষেকে' দেশমের কণ্ঠে তারুণ্যের জয়গান

২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে মস্কোতে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে কোচ দেশমের তরুণ দলটা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এই দেশম যখন অধিনায়ক তখন সেই ১৯৯৮ বিশ্বকাপটা ঘরের মাঠে ফ্রান্স জিতেছিল। ওটা ছিল তাদের প্রথম বিশ্ব জয়। ব্রাজিলের মারিও জাগালো ও জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পর ইতিহাসের তৃতীয় খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড এখন দেশমের। কিন্তু ওসব নয়, এটা এমন একটি তরুণ দল যেটিতে আছে ১৯ বছরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়ও! এটাই অভিভূত করে রাখলো রোববারের ফাইনালের পর ইতিহাস গড়া কোচকে।

'এটা একেবারে তরুণ এক দল যারা এখন বিশ্বে সবার উপরে। এদের কেউ কেউ মাত্র ১৯ বছর বয়সেই চ্যাম্পিয়ন। খুব তরুণ দল আমার। এদের ১৪ জনের জন্য বিশ্বকাপ আবিষ্কারের যাত্রা ছিল এটি। কিন্তু মান আছে ওদের। আমার গর্ব, মনটাকে ঠিক রাখতে জানে। বারবার শুধু ওদের বলেছি, কখনো হাল ছেড়ো না, কোনো কিছুতেই হাল ছেড়ো না।' ৪৯ বছর বয়সী কোচ জাগালো ও বেকেনবাওয়ারের পর তার কীর্তির প্রসঙ্গ এড়িয়ে প্রশংসা ও কৃতিত্ব দিয়ে দেন তারুণ্যে টগবগ দলটাকে। বলেন, 'এটা আমার কিছু না', সাথে যোগ করেন, 'এটা খেলোয়াড়দের জন্য যারা খেলা জিতিয়েছে।'

প্রথমে ১-০ গোলের লিড। তারপর ১-১ এ সমতা। এরপর বিতর্কিত পেনাল্টির গোলে ২-১ এ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা। বিরতি থেকে ফিরেই ৬ মিনিটে দুই গোলে ৪-১ গোলের লিড! আর কে পায়! এর ৪ মিনিট পর ব্যবধান রূপকথার গল্প লিখে প্রথমবার ফাইনালে উঠে আসা ক্রোয়াটরা ৪-২ করে বটে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের ওখানেই থামতে হয়।

দেশম সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে খেলাটাই চোখের সামনে রাখেন। আর ঘোষণা করেন, ফ্রান্সের 'এই জয় প্রাপ্য ছিল'। বলে যান, 'আমরা খুব যে খেলেছি তা না কিন্তু মানসিক মানের পরিচয় দিয়েছি। আর যাই হোক, গোল তো আমরা চারটা করেছি তাই না। ৫৫ দিনে আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। ফ্রেঞ্চ হিসেবে আমরা গর্বিত, ব্লুজ হিসেবে গর্বিত।'

লা ব্লুজরা অতীতের ব্যর্থতা ভোলে না বলেই ভবিষ্যতের সাফল্য তুলে নিতে জানে কঠোর আত্মনিবেদনে। সেটাই বলে দিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কোচ, 'এই দলটা যে খেটেছে আর একসাথে আমরা পার করেছি কঠিন সব সময়। দুই বছর আগে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের হারটা আমাদের কষ্ট দিয়েছিল বটে কিন্তু ওটা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছেও।' সেই শেখার উপহার চার বছরের জন্য বিশ্ব ফুটবলের মুকুট।

কিন্তু ফুটবলপ্রেমীদের মন ভরিয়ে কি তারা সেরা?

'পারফেকশন ছিল না আর এদিন সবকিছু ঠিকও হচ্ছিল না কিন্তু আমাদের মনস্তাত্বিক জোরটা এই বিশ্বকাপের জন্য নির্ধারক হয়ে গেল। ফাইনালের প্রথমার্ধে আমাদের জন্য তেমন কিছু না থাকলেও আমরা ২-১ গোলের লিডে ছিলাম।' এবার জেনে নিন দেশমের কঠিন এক সত্য উচ্চারণ, 'একটা প্রশ্ন নিশ্চয়ই সবসময় আসবে : ফ্রান্স কি সৌন্দর্য্যময় এক চ্যাম্পিয়ন? আসলে, আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং আগামী চার বছর ফ্রান্সই সবার উপরে থাকবে। এটাই আমাদের মনে রাখতে হবে।'

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে