ঢাকা, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১

বিশ্বকাপের ফাইনালটা বেশ আরামেই দেখতে পারবেন সাকিবরা!

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ১৫ ১৬:০০:৩৮
বিশ্বকাপের ফাইনালটা বেশ আরামেই দেখতে পারবেন সাকিবরা!

অ্যান্টিগা, কিংস্টন— এই দুটি টেস্টেই ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার যে মিছিলটা হলো, সেটি বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ আরাম করে দেখার জন্য কি না, সেই কানাঘুষা কিন্তু চলছে। আজ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলাটা যে সময়, তার সঙ্গে নিজেদের খেলার ‘সংঘর্ষ’ এড়াতেই বাংলাদেশ দল যেন তিন দিনের মধ্যেই হেরে গেল সম্ভবত!

এটা ছাড়া আর কোনো কারণ দেখানোরও নেই। প্রথম টেস্টের কথাটাই না হয় ধরুণ, মাত্র আড়াইদিনেই শেষ টেস্টটি। দ্বিতীয় টেস্ট তবু তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে! এ রকম অদ্ভুত কান্ডে তাই ফুটবল বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ আসতেই পারে।

আরেকটি কারণও দাঁড় করানো যায়। সেটা হলো অনেকটা এমন, প্রযুক্তির এই যুগে কীভাবে ফিফার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই আইসিসি কীভাবে অ্যান্টিগা টেস্টের সময়সূচি ঠিক করল? নইলে টেস্ট শুরুর আর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল শুরুর সময়টা একই হয় কীভাবে? ক্রিকেটারদেরও তো পছন্দের দল আছে! তাঁদেরও তো প্রিয় দলের খেলা দেখতে ইচ্ছে করে!

শেষ আটে ব্রাজিলের ম্যাচটা টেস্টের তৃতীয় দিনে (বাংলাদেশ সময়) রাত ১২টায় শুরু হওয়ায় তা-ও একটু সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব-তামিমরা। কারণ, সেদিনের খেলা শুরুর সময় ছিল রাত ৮টা (বাংলাদেশ সময়)। আমাদের ‘ফুটবলপ্রেমী’ (অনুশীলনেও যেহেতু ফুটবল চলে) ক্রিকেটারেরা তাই ব্রাজিল ম্যাচ শুরুর আগে কীভাবে খেলাটা শেষ করা যায়, তার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন!

বেরসিক শুধু নুরুল হাসান সোহান। তিনি সম্ভবত আর্জেন্টিনার সমর্থক! নইলে, ব্রাজিল-বেলজিয়াম ম্যাচ শুরুর আগেই দলের সিনিয়ররা যখন উইকেট থেকে ফিরেছেন ড্রেসিং রুমে, সোহান তখনো বুক চিতিয়ে লড়েন কীভাবে! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঠিক এসব প্রশ্নই উঠেছে। কাল যেমন ছিল বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই কিংস্টন টেস্ট শেষ করার তোড়জোড়।

সমর্থকদের এই হিসাবটাও বেশ সহজ। জয়ের (!) জন্য ৩৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। খেলাটা চতুর্থ দিনে গড়ালে কী ভজকটই না লেগে যেত। মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনাল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। ঠিক একই সময়ে স্যাবাইনা পার্কে শুরু হতো চতুর্থ দিনের খেলা। টেস্ট লাঞ্চ পর্যন্ত গড়াতে গড়াতে ফাইনালের ‘খেলা ফাইনাল’ হয়ে যেত। সেই ঝুঁকিটা আর নিতে হলো না। স্যাবাইনা পার্কে টেস্ট-গল্পের ‘নটে গাছ’টা কাল তৃতীয় দিনেই মুড়িয়ে দিয়েছেন সাকিবরা।

সমর্থকদের কাছে তাই কিংস্টনেও সাকিবদের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের সমীকরণটা সহজ। বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখা যায় চার বছর পরপর। আর টেস্ট তো বছরে এমনিতেই চার-পাঁচটা খেলা যায়। দু-একটা ম্যাচের বয়সের গলা টিপে ধরলে কিচ্ছুটি যায় আসে না! বিশ্বকাপের ফাইনালটা তাই আরামেই দেখবেন সাকিবরা!

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে