ঢাকা, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

‘অর্থনৈতিক কারণে কোনো কাজের মানুষ রাখা আমার অসম্ভব ছিলো’

বিনোদন ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ১৪ ১৪:১২:৪৫
‘অর্থনৈতিক কারণে কোনো কাজের মানুষ রাখা আমার অসম্ভব ছিলো’

তিনি লিখেছেন, ‘তোদের ছোটবেলায় আমি একা ছিলাম তোদের নিয়ে, কেউ এসে একদিনের জন্য পাশে এসে দাঁড়ায়নি। এখনো একা ছোটবেলার একা থাকা, এখনকার একা থাকার ভেতর বিস্তর ব্যবধান। তখন খুবই অসহায় লাগতো তোদের কেন্দ্র করে। মনে হতো কিছু একটা হয়ে গেলে একা কি করবো আমি ? অর্থনৈতিক কারণে কোনো কাজের মানুষ রাখা আমার অসম্ভব ছিল।’

‘সারাদিন তোদের পাহারা দিয়ে বসে থাকতাম, একটু যখন ঘুমাতি, তখন দৌড়ে দশভূজা দুর্গার মতো সব কাজ করে নিতাম, আবার তোদের আগলে নিতাম।পৃথিবীর সব মা-বাবাই তার সন্তানের জন্য করে, কিন্তু তোদের মা-বাবার করতে হয়েছে অকল্পনীয়ভাবে। আজও তা করছি সেই অসম্ভবের হাত ধরে বিরামহীনভাবে।’

‘তখন না ছিল লোকোবল, না অর্থবল।আমাদের এসব অসহায়ত্বের কারণে তোদের জন্মক্ষন থেকে পুরো সময়টা তোদের ঢেলে দিয়েছি,যা অন্য বাচ্চারা ভাবতেও পারবে না। তোদের সব প্রয়োজনের অগ্রীম বন্ধু হয়ে যায় আমরা, আমাদেরও তোরা।এখনো তাই। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তোদের প্রয়োজনের রকম ফের হচ্ছে।’

‘ভয় করে খুব বাবা, সর্বত্র আর আমাকে লাগছে না। প্রকৃতির নিয়মে এই যে বদলে যাওয়া, তা দেখে কেন জানি মনে হয় আমার/আমাদের কাছে তোদের শতেক প্রয়োজন না থাকলে তো গরীব হয়ে যাবো আমি, যে গরীব আমি কোনোদিন চরম অর্থ কষ্টেও হইনি। তোদের প্রয়োজন আমার ঐশ্বর্য্য, তোদের এই লেগে থাকা আমার সম্রাজ্য। হাত ছাড়িস বাবা, সাথ ছাড়িস না।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে