ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

৯ নম্বর স্বামীকে ফেলে ৪ নম্বর স্বামীর ঘরে মেরিনা

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুলাই ০৮ ১১:২৫:৫৪
৯ নম্বর স্বামীকে ফেলে ৪ নম্বর স্বামীর ঘরে মেরিনা

মামলার বিবরণে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আন্ডাচর গ্রামের আমিনুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে শিহাব উদ্দীনের সঙ্গে ইসাহাক নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে মেরিনার পরিচয় হয়।

পরে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জেরে প্রেমিক শিহাবের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ৫ লাখ টাকা নেন মেরিনা। কিছুদিন পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।

বিয়ের পর শিহাব উদ্দীন জানতে পারেন, মেরিনা ইতিপূর্বে আরও আটজনকে বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাদের তালাক দিয়েছেন।

গত ৭ মে মেরিনা ঢাকাতে স্বামীর বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার বোন বেলী সেখানে যান এবং তার মেয়ের চাকরির কথা বলে ধার হিসেবে আরও ২ লাখ টাকা নেন।

ওই দিনই মেরিনা ও বেলী জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। তারা যাওয়ার সময় শিহাবের ঘর থেকে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে যান। মেরিনা তার বাবার বাড়িতে এসে স্বামী শিহাব উদ্দীনের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।

এ অবস্থায় কোনো উপায় না দেখে গত ৩ জুলাই শিহাব উদ্দীন তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে জানতে পারেন, তার স্ত্রী মেরিনা চতুর্থ স্বামী নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরের রুহুল আমীনের সঙ্গে সংসার শুরু করেছেন।

শিহাব উদ্দীন তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে ধার দেয়া দুই লাখ টাকা ফেরত চান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মেরিনাসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে বেঁধে রেখে মারধর এবং আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।

এরপর শিহাব উদ্দীন কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে জয়পুরহাট ‘গ’ অঞ্চল আমলী আদালতে প্রতারক স্ত্রী মেরিনা, তার বড় ভাই মোফা, ভাবি আয়শা, বড় বোন বেলী, ভাগনি জুলেখা ও ভাতিজা বউ পরীসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মেরিনার একাধিক মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে