ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১

গ্রুপ বি এর ‘বিতর্কিত’ চ্যাম্পিয়ন স্পেন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ২৬ ১৬:৪৪:২২
গ্রুপ বি এর ‘বিতর্কিত’ চ্যাম্পিয়ন স্পেন

ওদিকে ইরান ড্র করায় সেই গোলটি আরও মহামূল্যবান হয়ে উঠেছে। কেননা ইরানের ড্রয়ের পর স্পেন হারের তালিকায় থাকলে বিদায়ই নিতো।

সোমবার কালিনিনগ্রাদে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে দুবার পিছিয়ে পড়েও মরক্কোর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে স্পেন। গোল ব্যবধানে পর্তুগালকে পেছনে ফেলে গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে দলটি। গ্রুপ ‘বি’তে দুই ড্র ও এক জয়ে ৫ পয়েন্ট তাদের। পর্তুগালেরও তাই। দ্বিতীয় রাউন্ডে স্বাগতিক রাশিয়াকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে ফার্নান্দো হিয়েরার দল। আর পর্তুগাল পাচ্ছে উরুগুয়েকে।

শুরুটা অদ্ভুতভাবেই হয় স্পেন-মরক্কো ম্যাচে। তিন মিনিট গড়াতে না গড়াতেই মাঠের খেলা ভুলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুদল। সেই ধাক্কা কাটতে না কাটতেই নিজেদের ভুলে মরক্কোকে গোল উপহার দেন স্পেনের তারকা ডিফেন্ডাররা!

ম্যাচের ১৪ মিনিটে মাঝমাঠে রামোসের দিকে বল বাড়িয়ে দেন পিকে। কিন্তু স্পেন অধিনায়ক যেন সেই পাস বুঝতেই পারলেন না। দ্বিধায় ভুগতে থাকেন। সেই ফাঁকে পিকে-রামোসের মধ্যখান থেকে বল নিয়ে মাঝমাঠ হতে ভোঁদৌড়ে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে পৌঁছে যান খালিদ বুতায়েব। ঠাণ্ডা মাথায় স্পেন গোলরক্ষক ডি গিয়াকে পরাস্ত করে ২০ বছর বাদে বিশ্বকাপে মরক্কোর প্রথম গোল আনেন!

গোল খেয়ে গা ঝারা দিয়ে উঠতে স্পেন সময় নিয়েছে মাত্র পাঁচ মিনিট। ১৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণে বুড়ো হাড়েরভেল্কি দেখান আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ডি-বক্সের বামপ্রান্ত দিয়ে মরক্কোর দুই খেলোয়াড়ের মাঝ বরাবর ব্যাকপাস করেন ইস্কোকে। জায়গামতই ছিলেন ইস্কো। ইনিয়েস্তার পাসে পাওয়া বল প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে খেলায় আনেন সমতা।

সমতায় থাকা ম্যাচে মরক্কোকে আবারও প্রায় এগিয়েই দিয়েছিলেন বুয়াতেব। ২৫ মিনিটে আবারও একা পেয়ে গিয়েছিলেন ডি গিয়াকে। তবে তাকে এবার আর গোল পেতে দেননি স্পেন গোলরক্ষক।

বিরতির ঠিক আগমূহূর্তে আবারও জাদু দেখান ইনিয়েস্তা। ডিয়েগো কস্তার দিকে বাড়িয়ে দেন আরেকটি রক্ষণভেদী পাস। কিন্তু স্পেন ফরোয়ার্ড সেই পাসে পা লাগাতে পারলেন না। তাতে সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুদল।

দ্বিতীয়ার্ধে দুদলের আকাশ-পাতাল তফাৎ। মরক্কো একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে, আর স্পেন যেন রক্ষণাত্মক এক দল। ৫০ মিনিটে বুতায়েবের আরেকটি চকিত আক্রমণ ফিরিয়ে দেন ডি গিয়া। এর ছয় মিনিট বাদে আমরাবাতের বুলেট গতির শট ফেরে ক্রসবারে লেগে।

ম্যাচে দ্বিতীয়বারের গা ঝারা দেয় স্পেন। তবে পরিণতি মরক্কোর মতো। ৬৩ মিনিটে কর্নার থেকে পিকের হেড বারের গায়ে বাতাস লাগিয়ে চলে যায় বাইরে।

আক্রমণের ধার বাড়াতে ৭৪ মিনিটে ইয়াগো আসপাস আর মার্কো আসেনসিওকে মাঠে নামান কোচ হিয়েরা। কিন্তু এরপরও ধুঁকতে থাকা লা রোজাদের জাগাতে পারেননি এ দুই ফরোয়ার্ড। উল্টো খেয়ে বসেন তাদের দ্বিতীয় গোলটি।

ম্যাচের ৮১ মিনিটে প্রথমবার কর্নার পায় মরক্কো। বদলি ফয়সাল ফজরের নেয়া সেই কর্নার থেকে দারুণ এক ক্ষিপ্র হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আরেক ‘বদলি’ ইউসুফ এল-নেয়সরি।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে কর্নার থেকে আসা বলে দারুণ এক ব্যাক হিলে স্পেনকে সমতাসূচক গোলটি এনে দেন ইয়াগো আসপাস। কিন্তু গোল করেই উদযাপন করতে গিয়ে দেখেন অফসাইডের পতাকা তুলে আছেন সাইড-রেফারি। মীমাংসা করতে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নেন মূল রেফারি। তাতে আসপাসের গোলটা স্পেনের পক্ষে দেন রেফারি। শুরু হয় বিতর্ক। তবে সেই গোলেই ২৩ ম্যাচের অপরাজিত দৌড় ২৪ ম্যাচ পর্যন্ত নিয়ে যায় স্প্যানিশরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে