ভাগ্নের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করলেন গোবিন্দ

সম্প্রতি, এ প্রশ্নের উত্তরে গোবিন্দর স্ত্রী সুনীত আহুজা জানিয়েছেন যে কীভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাগ্নে ক্রুষ্ণা অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী কাশ্মিরা শাহর সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। সুনীতার কথায়, ক্রুষ্ণা (ক্রুষ্ণ অভিষেক একজন কমেডিয়ান) পরিচিতি পেয়েছে তাঁর মামা গোবিন্দর জন্য। ও যথেষ্ঠ খ্যাতিও পেয়েছে।

আর ক্রুষ্ণা আমাদের সঙ্গেই দীর্ঘদিন থাকত, আমরা ওকে যথেষ্ঠ ভালোবাসতাম, অথচ ও আমাদের বিরুদ্ধেই পিছনে কথা বলে, সমালোচনা করে বেড়ায়। আমাদের পিছন থেকে আমাদেরকেই ছুরি মারছে। তাই ক্রুষ্ণা ও তাঁর স্ত্রী কাশ্মিরার সঙ্গে আমরা সব সম্পর্ক ছেদ করছি।

আর এবার আমি কখনওই ওদের সঙ্গে নিজের থেকে সম্পর্ক ঠিক করে নিতে যাব না। দু’বছর আগে আমিই উদ্যোগ নিয়ে ওদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ঠিক করে নিয়েছিলাম, কিন্তু আমি বোকামো করেছি। গোবিন্দই সেসময় ঠিকই বলেছিল, তবুও আমিই এগিয়েছিলাম, কিন্তু আর না।

সুনীতা আহুজাকে ক্রুষ্ণা অভিষেক ও কাশ্মিরা শাহর জমজ সন্তানের প্রথম জন্মদিনে (৩ জুন) উপস্থিত না থাকা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ওই সময় আমি আর গোবিন্দ লন্ডনে ছিলাম। যদিও এটাই জন্মদিন পার্টিতে না থাকার কারণ নয়, আমাদের নিমন্ত্রণও কর হয় নি, আর তাছাড়া নিমন্ত্রণ করলেও আমরা যেতাম না। এমনকি আমি ওর দুই সন্তানকে দেখিও নি।

প্রকাশ্যে মামী সুনীতা আহুজার কথার উত্তর দিয়েছেন ভাগ্নে ক্রুষ্ণা অভিষেকও। তিনি বলেন, যদি উনি (সুনীতা আহুজা) ভেবে থাকেন যে আমি গোবিন্দর নামে বলিউডে ক্যারিয়ার বানিয়েছি, তাহলে সেটা ভুল। গোবিন্দর তো আরও ভাগ্নে, ভাগ্নী আছে তাঁরা তাহলে কোথায় গেল?

বলিউডে কেন ক্যারিয়ার বানাতে পারল না? এটা যদি উনি (সুনীতা আহুজা) দাবি করেন যে মামার নামে আমার ক্যারিয়ার হয়েছে তাহলে এটা খুবই আশ্চর্যজনক! তবে হ্যাঁ ব্যক্তিগত স্তরে তাঁরা আমায় অনেক সাহায্য করেছে এটা ঠিক। যখন আমা অল্প বয়স ছিল তখন মামা (গোবিন্দ) আমায় টাকা পয়সাও দিয়েছে। তবে ক্যারিয়ার আমি পরিশ্রম করেই তৈরি করেছি।

তিনি বলেন, আমার খুবই খারাপ লাগছে, কারণ আমি তাঁদের ( মামা গোবিন্দ ও মামী সুনীতা) খুবই ভালোবাসতাম ও শ্রদ্ধা করতাম। আমি ওদের বাড়িতে ৬ বছর থেকেছি এটাও ঠিক। সেসময় সুনীতা মামী আমাকে নিজের সন্তানের মতোই দেখেছে। তবে তাঁরা যদি আর আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক না করে নিতে চায়, তো সেটাও ঠিক আছে। অসুবিধা নেই। আমার সন্তানের জন্মদিনের সময় ওনারা ( মামা গোবিন্দ ও মামী সুনীতা) লন্ডনে ছিলেন, আমি বুঝলাম যে ওনারা ( মামা গোবিন্দা ও মামী সুনীতা) আমার বাচ্চাদের জন্মদিনে থাকতে চায় না তাই সেসময় লন্ডন ট্রিপের পরিকল্পনা করেছে।

তাছাড়া আমি খুব দুঃখ পেয়েছিলাম যখন রায়ান ( ক্রুষ্ণা অভিষেকের ছেলে) হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর লড়াই করছিল তখনও ওনারা ( মামা গোবিন্দা ও মামী সুনীতা) আমার বাচ্চাকে একবারও দেখতেও যাননি। এটাও তো মানতে হবে আমার মা-ই মামা (গোবিন্দা) কে মনুষ করেছেন, আর সেটা তিনিও জানেন।

প্রসঙ্গত, যখন ক্রুষ্ণা অভিষেকে জমজ সন্তানের বাবা হওয়ার খবরে ভাগ্নেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মামা গোবিন্দ। তিনি বলেছিলেন,আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ক্রুষ্ণার সন্তানরা যেন ভালো থাকে। আমি ক্রুষ্ণাকে জিজ্ঞেস করলাম বাচ্চারা কোথায় আছে। ও আমায় বলল তারা হাসপাতালে, তাদের বাড়ি আনা হলে আমি তোমায় জানাব।