ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১

আরো সহজভাবে বুঝে নিন ফুটবল নিয়মাবলি

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ২০ ১৬:৫৮:৩০
আরো সহজভাবে বুঝে নিন ফুটবল নিয়মাবলি

অফসাইডসমর্থকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তর্ক বাধে যে জিনিসটি নিয়ে, সেটি হলো ‘অফসাইড’। সত্যি বলতে, অফসাইডের নিয়মটি খুবই সহজ। বল পাস দেওয়ার সময় এক দলের কোনো খেলোয়াড় যদি প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের তৈরি করা সমান্তরাল রেখার আগে চলে যায়, তখন সেটি অফসাইড হিসেবে ধরা হয়। সোজা কথায়, আক্রমণে যাওয়া কোনো খেলোয়াড় বল ছাড়া কোনো ডিফেন্ডারের আগে যেতে পারবেন না। বল নিয়ে ডিফেন্ডারকে পার হতে হবে, নয়তো বল পাস পাওয়ার সময় ডিফেন্ডারের সমান্তরালে অথবা পেছনে থাকতে হবে। অন্যথায় সেটি অফসাইড বিবেচিত হবে।

ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত হ্যান্ডবলএটি এমন এক ব্যাপার, যা নিয়ে ফুটবলের অনুসারীদের মধ্যে তর্ক বাধবেই। সবাই জানি, ডি-বক্সের ভেতর গোলরক্ষক ছাড়া অন্য খেলোয়াড়ের হাত ব্যবহার করার নিয়ম নেই। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ডিফেন্ডারের হাতে বল লেগে গেছে অথচ রেফারি পেনাল্টি না দিয়ে খেলা চালিয়েই যাচ্ছেন! সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, এটি অনিচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল। অনিচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল দুভাবে হতে পারে। ডিফেন্ড করার সময় হাত শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় কিংবা হাত পেছন দিকে থাকা অবস্থায় যদি হাতে বল লাগে, সেটি অনিচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল হিসেবে গণ্য হয়। এ ছাড়া বৈধ ট্যাকল করার পর যদি বল হাতে লাগে, সে ক্ষেত্রেও সেটি অনিচ্ছাকৃত। বাকি সব হ্যান্ডবলের ক্ষেত্রে রেফারি পেনাল্টি দিতে পারেন।

অ্যাডভান্টেজ রুলঅনেক সময় দেখা যায়, ফাউল করার পরেও রেফারি নিজের দুই হাত সামনের দিকে প্রসারিত করার মাধ্যমে খেলা চালিয়ে যান। এটিকে বলা হয় ‘অ্যাডভান্টেজ’। আক্রমণ করার সময় যখন কোনো একজন খেলোয়াড়কে ফাউল করা হয় এবং সেই ফাউল করার পরেও বল তাঁর কিংবা তাঁর দলের দখলে থাকে, তখন রেফারি খেলা না থামিয়ে অ্যাডভান্টেজ রুল প্রয়োগ করতে পারেন। ফাউলটি যদি হলুদ কার্ড দেখানোর মতো বিপজ্জনক হয়, তখন বল খেলার বাইরে যাওয়ার পর রেফারি কার্ড দেখাতে পারেন। ফাউলটি লাল কার্ড দেখানোর মতো বিপজ্জনক হলে অ্যাডভান্টেজ রুল প্রয়োগ হবে না, সঙ্গে সঙ্গে খেলা থামিয়ে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখাবেন।

ডি-বক্সে ইনডাইরেক্ট ফ্রি কিকগোলকিপার যদি নিজের দলের কোনো খেলোয়াড় থেকে হেড ছাড়া পায়ে দেওয়া পাস হাত দিয়ে ধরেন, তখন রেফারি ইনডাইরেক্ট ফ্রি কিকের নির্দেশ দেন। গোলকিপার যে স্থানে বল ধরেন, সেই স্থান থেকেই ফ্রি কিকটি নেওয়া হয়। ডিফেন্ডিং দলের সব খেলোয়াড় গোলপোস্ট ঘিরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান, ফ্রি কিকটি নিতে হয় দুটি স্পর্শে। একজন বলটি সামান্য ঠেলে দেন অথবা বলে পা ছোঁয়ান, অপর একজন খেলোয়াড় গোলপোস্টে শট নেন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে