ট্র্যাজিক হিরো হয়ে রইলেন সালাহ?

দুই ম্যাচ ও টুর্নামেন্টের মধ্যে কোন মিল নেই। তবে একজন খেলোয়াড় দুই ম্যাচেই ট্র্যাজেডির সাক্ষী হয়ে রইলেন। তিনি আর কেউ নয়, মোহামেদ সালাহ। দুই ম্যাচেই পরাজয়ের সাক্ষী হয়ে রইলেন সময়ের আলোচিত এই ২৬ বছর বয়সী তারকা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফাইনালে নেমেছিল সালাহ'র দল লিভারপুল। ম্যাচে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোসের সাথে বল দখলের লড়াইয়ে পড়ে গিয়ে কাঁধে মারাত্মক আঘাত পান এই ফরোয়ার্ড। ৩০ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দল হেরে যায় ৩-১ গোলে।

এই ইনজুরির কারণেই বিশ্বকাপে মিশরের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। সেই ম্যাচ উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে যায় তার দল। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখতে মঙ্গলবার রাশিয়ার বিপক্ষে জয় নিদেনপক্ষে ড্র প্রয়োজন ছিল মিশরের। ইনজুরি থেকে ফিরে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিষেক হয় তার। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ছিল ম্যাচটি।

দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করেন সালাহ। ১৯৯০ এর বিশ্বকাপের পর এই আসরে কোন মিশরীয়র প্রথম গোল এটি। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। রাশিয়া ৩-১ গোলে এগিয়ে। তাদের জন্যও এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথ সহজ করার ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই হেরে যায় মিশর। গোল করেও দেশের নায়ক হতে পারলেন না সালাহ। হয়ে রইলেন এক ট্র্যাজেডির সাক্ষী।

কাগজ-কলমের হিসেবে মিশরের এখনও সুযোগ রয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার। উরুগুয়ে যদি নিজেরদের শেষ দুই ম্যাচে সৌদি আরব ও রাশিয়ার বিপক্ষে হেরে যায় এবং মিশর যদি সৌদি আরবকে হারাতে পারে তবে তাদের সামনে একটা সুযোগ থাকবে। তবে সৌদি আরব এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র দুইটিতে, সেগুলোও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে।

হেরেছে ১০ ম্যাচে। তাদের কাছে এতটা আশা করা বেশিই হবে। তাছাড়া বুধবার এই দলটির বিপক্ষে উরুগুয়ে ম্যাচ না হারলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের ও রাশিয়ার শেষ ষোলতে ওঠা। তাই মিশরের স্বপ্নকে দুরাশাই বলতে হয়। লিভারপুলের হয়ে গত মৌসুমে ৪৪ গোল, মিশরের হয়ে ৫৮ ম্যাচে ৩৪ গোল- এত অর্জনের পরও ট্র্যাজিক হিরো হয়েই থাকতে হবে সালাহ'র?

গুগল নিউজে ফলো করুন