ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

খুদে শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় ১৫০০ কোটি টাকা

অর্থনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ১৯ ২১:৪৫:১০
খুদে শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় ১৫০০ কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের মার্চ ২০১৮ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্কুল শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাসে উৎসাহিত করতে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। মাত্র ১০০ টাকা জমা করে নিজের নামে হিসাব খুলতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হচ্ছে, তেমনি বাণিজ্যিক ব্যাংকেরও আমানতের পাল্লাও ভারি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে সঞ্চিত টাকা বিনিয়োগ হয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

এদিকে স্কুল ব্যাংকিংয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি ব্যাংক। এ ছাড়া গ্রামের তুলনায় শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের এ কার্যক্রমে আগ্রহ বেশি।

স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত মার্চ পর্যন্ত খোলা ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৮০৬টি স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে খোলা হয়েছে ৯ লাখ ৯৩৬টি। যা মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের ৬১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এসব হিসাবের বিপরীতে প্রায় এক হাজার ২৩০ কোটি টাকা আমানত রাখা আছে। যা এ খাতের মোট আমানতের ৮৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। যেখানে স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় খোলা সবগুলো হিসাবে জমা আছে এক হাজার ৪৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে ২৯.২৮ শতাংশ স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হলেও ওই হিসাবগুলোতে আমানতের স্থিতি ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ ছাড়া স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় খোলা হিসাব সংখ্যার দিক দিয়ে শহরাঞ্চলে ৬১ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং জমাকৃত আমানত ৭৬ দশমিক ২০ শতাংশ। আবার মোট হিসাবগুলোর মধ্যে ছাত্রদের হিসাব সংখ্যা ৫৮ শতাংশ এবং জমাকৃত অর্থের দিক দিয়ে ছাত্রদের আমানত ৫৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

জানা গেছে, কার্যরত ৫৭টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে মোট ৫৬টি ব্যাংকই স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হিসাব সংখ্যার দিক দিয়ে স্কুল ব্যাংকিংয়ে শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। এ ব্যাংকে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৮৪১টি। যা মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের ১৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে জমাকৃত অর্থের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এ ব্যাংকে খোলা স্কুল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে মোট ৪১২ কোটি টাকা জমা আছে যা এ খাতের মোট আমানতের ২৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের অন্যতম পদক্ষেপ স্কুল ব্যাংকিং। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ বছরের কম বয়সের শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সেবা ও আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করার পাশাপাশি সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদেরকে দেশের আর্থিক সেবার আওতায় নিয়ে আসা স্কুল ব্যাংকিংয়ের লক্ষ্য। স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২ নভেম্বর ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) সার্কুলার লেটার নং-১২ এর মাধ্যমে সব তফসিলি ব্যাংককে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে ২৮ অক্টোবর ২০১৩ অন্য একটি সার্কুলারের মাধ্যমে স্কুল ব্যাংকিংয়ের পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা জারি করা হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে