ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

টেস্ট ক্রিকেটের উত্তাপ টের পেলো আফগানিস্তান

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ১৪ ২১:০২:৫৭
টেস্ট ক্রিকেটের উত্তাপ টের পেলো আফগানিস্তান

টেস্ট ক্রিকেটের ময়দানটা যে সহজ নয়, তা টের পেয়ে গেছেন মুজিব উর রহমানও। কোনো দেশের অভিষেক টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার এখন তিনি। অভিষেকের দিন মুজিব বোলিং করেছেন মোট ১৪ ওভার। এতে ৬৯ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন একটি উইকেট।

রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের প্রথম দিন আসলে আফগানিস্তানের প্রথম দিনের প্রতীকী রূপ হয়েই থাকলো। এ দিন আফগানিস্তানের বোলাররা ৭৮ ওভারে দিয়েছেন ৩৪৭ রান। অর্থাৎ ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা রান তুলেছেন গড়ে প্রায় সাড়ে চার করে।

আফগানিস্তানের অভিষেক টেস্টের টস জিতেন তাদের প্রতিপক্ষ ভারতের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতেই যেনো ওয়ানডে স্টাইলে খেলতে থাকেন শেখর ধাওয়ান। একটু ধীরে হলেও, টেস্ট মেজাজের দ্রুত রান করতে থাকেন মুরালি বিজয়ও।

প্রথম জুটিতে এ দুজন যোগ করেন ১৬৮ রান। অর্থাৎ একটা উইকেট পেতেই রীতিমত ঘাম ছুটে যায় আফগানিস্তানের। এর মধ্যে প্রথম সেশনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন শেখর ধাওয়ান। এই কীর্তি আছে খুবই অল্পসংখ্যক ব্যাটসম্যানের। প্রথম ভারতীয় হিসেবে সেখানে নিজের নাম তুলেন ধাওয়ান।

একবিংশ শতাব্দীতে তিনি ছাড়া এই কীর্তি আছে কেবল ডেভিড ওয়ার্নারের। আগের শতাব্দীতে এটি করে দেখিয়েছেন মোট চারজন ব্যাটসম্যান। তারা হলেন ভিক্টোর ট্রাম্পার, চার্লস ম্যাকার্টনি, ডন ব্রাডম্যান ও মাজিদ খান।

ধাওয়ানের পর সেঞ্চুরি করেছেন তার ওপেনিং সঙ্গী মুরালি বিজয়ও। এ দুজনের সেঞ্চুরিতে চড়ে প্রথম দিনেই বিশাল রানের পুঁজি পেয়ে গেছে স্বাগতিক ভারত। তিন নম্বরে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করেন লোকেশ রাহুল। এর পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা অবশ্য তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি।

আফগানিস্তানের হয়ে প্রথম টেস্ট উইকেট পান ইয়ামিন আহমাদজাঈ। সেঞ্চুরিয়ান শেখর ধাওয়ানকে মোহাম্মদ নবির ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ২৮০ রানে গিয়ে দ্বিতীয় উইকেট ফেলে আফগানিস্তান। এবার ওফাদার এলবিডব্লিউ করেন মুরালি বিজয়কে।

বল হাতে এতোদিন আফগানিস্তানের টেস্ট-সম্পদ হিসেবে নিজেদের সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করে এলেও রশিদ খান বা মুজিব উর রহমান দেশের প্রথম টেস্ট উইকেটের কীর্তি লাভ করতে পারেননি। এমন কি দ্বিতীয়টিও জুটেনি তাদের ভাগ্যে। প্রথম দুই উইকেট পান দুই পেসার।

২৮৪ রানে তৃতীয় উইকেট হিসেবে আহমাদজাঈ তুলে নেন লোকেশ রাহুলকে। যা তার দ্বিতীয় শিকার। রশিদ খান প্রথম উইকেট পান ভারতীয় অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেকে এলবিডব্লিউ করে। আর মুজিবের প্রথম শিকার চেতেশ্বর পুজারা। মোহাম্মদ নবির ক্যাচে তার উইকেটটি পান মুজিব। ভারত প্রথম দিনে হারায় আরো একটি উইকেট। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর এই প্রথম ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া দিনেশ কার্তিক বিদায় নেন রান আউটের ফাঁদে পড়ে।

ব্যাঙ্গালুরু টেস্টে জয় পরাজয়ের চেয়েও দর্শকদের বেশি নজর আফগানিস্তানের পারফর্মের দিকে। তাতে যদি তারা খুব একটা উজ্জ্বলতা ছড়াতে নাও পারেন, তারপরও তাদের টেস্ট জাতি হিসেবে উত্তরণটা মোটেও বিবর্ণ হবে না। আফগানিস্তান যদি এক সেশন বা এর চেয়েও কম সময়ের জন্য ভারতকে একটু আধটু অস্বস্তিতে ফেলতে পারে, সেটাই বরং তাদের জন্য গর্বের এক উপলক্ষ্য হয়ে থাকবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে