ঢাকা, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

টানা খেলার মধ্যে থাকলে সামনে আরো ভাল খেলবে মেয়েরা

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ০৯ ২০:৫৬:৪৮
টানা খেলার মধ্যে থাকলে সামনে আরো ভাল খেলবে মেয়েরা

জেসি শুধু একজন ক্রিকেটারই নন, একইসঙ্গে ধারাভাষ্যকার ও সংগঠক। ক্রিকেটের বিভিন্ন অলিগলিতে হেঁটে হয়ে উঠেছেন বিশেষজ্ঞদের একজন। তার মতে, টানা খেলার মধ্যে থাকার ছন্দ ও অভিজ্ঞতার প্রতিফলন সালমা-রুমানাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এবারের এশিয়া কাপে।

চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে জেসি বলেন, ‘মেয়েদের ম্যাচ বাড়ায় একটা প্রভাব ছিল। সাউথ আফ্রিকায় অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছে মেয়েরা। লম্বা সময় সেখানে থেকে কঠিন কন্ডিশনে খেলেছে। যত খেলবে ততই ভাল খেলবে। মেয়েরা ভারত থেকে এসে জাতীয় লিগ খেলল, এরপর সাউথ আফ্রিকা গেল। তারপর এশিয়া কাপ। এসময়টায় মেয়েরা বাড়িতে যাওয়ারও সময় পায়নি। এভাবে ব্যস্ত রাখা গেলে ভবিষ্যতেও এই দল সাফল্য বয়ে আনবে দেশের জন্য।’

‘টানা খেলার মধ্যে থাকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি ম্যাচ খেলবেন তত পরিপক্ব হবেন। ব্যাটসম্যানদের জন্য অভিজ্ঞতা খুব প্রয়োজন। রুমানা, পিংকি (ফারজানা), শামীমা এরা কিন্তু প্রায় ৮-১০ বছর ধরে খেলছে। এখন এসে ভাল করছে। দলকে জেতাচ্ছে,’যোগ করেন জেসি।

এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারত প্রথমবার হেরেছে সালমা-বাহিনীর কাছে। বিশ্বকাপ রানার্সআপ দলকে হারানো যাবে-এটি ছিল কল্পনাতীত। কুয়ালামপুরে সেই কাজটি করেছেন রুমানা-সালমারা। তার আগে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হারিয়েছে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে। শেষ দুই ম্যাচে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াকে বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে রোববারের ফাইনালের অপেক্ষায় টিম টাইগ্রেস। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, যাদের বিপক্ষে লিগপর্বে এসেছিল ৭ উইকেটের জয়। শনিবার সকালে ভারত পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশের আগেই কাটে ফাইনালের টিকিট।

ফাইনালে কী হবে সেটি জানতে একটি দিনের অপেক্ষা। তবে যে ফলই আসুক ফাইনালে ওঠার আনন্দ জেসির কাছে সীমাহীন, ‘ভাল লাগার শেষ নেই। ভারত-পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে আমরা ফাইনাল খেলছি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কারা ফাইনালে উঠবে সেটি নিয়ে অপেক্ষা ছিল। তবে আমরা কিন্তু আগেই ফাইনাল মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলেছিলাম। ফাইনালে কী হবে জানি না। যেতে পেরেছি এটাই আনন্দের, গর্বের।’

এশিয়ার দলগুলোর জন্য সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত। আইসিসি র‌্যাংঙ্কিংয়েও তাদের অবস্থান শীর্ষ সারিতে (চার নম্বর)। যে ভারতের সঙ্গে ব্যাটিং করতে চিন্তায় পড়তে হতো, তাদের বিপক্ষে সাবলীলভাবে ১৪১ রান তাড়া করে জিতেছে রুমানা-শামীমা-ফারজানাদের ব্যাটে। অথচ একটা সময় ভারতের পেসারদের সামনে ব্যাট হাতে দাঁড়ানোই ছিল সাহসিকতার ব্যাপার।

স্মৃতি হাতড়ে জেসি বলেন, ‘আগে ভারতের কাছে দাঁড়াতেই পারতাম না আমরা। ২০০৮ সালের কথা বলছি। দ্রুতগতির পেসার ঝুলন গোস্বামী যখন বল করতো আমি তখন ননস্ট্রাইকে। স্ট্রাইংকিং প্রান্তে ব্যাটসম্যান যাচ্ছে আসছে। আর এখন কী সুন্দরভাবে ঝুলনকে রিভার্স-সুইপ করে চার মারছে রুমানা!’

সূত্র : চ্যানেল আই।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে