ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

রাজনীতিতে কে কার আত্মীয় আসল সত্যিটা জানলে অবাকি হবেন!

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ০৯ ১২:৪৬:৪১
রাজনীতিতে কে কার আত্মীয় আসল সত্যিটা জানলে অবাকি হবেন!

রাজনীতির এই অঙ্গনে এমন কয়েকজন নেতার মধ্যে ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক’ নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন। এদের মধ্যে আবার অনেকেই আছেন যারা ‘ঘনিষ্ঠ আত্মীয়’। কেউ কেউ আবার লতায়-পাতায় আত্মীয়।

‘বঙ্গবন্ধুর’ বড় মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার’ একমাত্র মেয়ে ‘সায়মা ওয়াজেদ’ (পুতুল)। তার স্বামী ‘খন্দকার মাশরুর হোসেন’ (মিতু) বর্তমান সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ‘ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের’ ছেলে।

যার ফলে প্রধানমন্ত্রী ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন। আবার পুতুলের দাদা শ্বশুর খন্দকার নুরুল হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ফুফাতো ভাই। এদিকে খন্দকার মোশাররফের ছোট ভাই খন্দকার মোহতাশিম হোসেন হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান।

শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ননদের স্বামী হলেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. হাবিব মিল্লাত মুন্না।

আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় বোনের নাতনি হলেন আওয়ামী লীগ সরকারের হুইপ গাইবান্ধা-২ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব আরা গিনি।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক আত্মীয় হলেন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমান হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার খালা শাশুড়ি। সে হিসেবে জিল্লুর রহমান হলেন শেখ হাসিনার তালই।

আবার জিল্লুর রহমান ও আইভী রহমানের সন্তান হলেন- ভৈরব-কুলিয়ারচর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ‘নাজমুল হাসান পাপন’।

বঙ্গবন্ধুর বোন আছিয়া বেগমের দুই ছেলে হলেন শেখ ফজলুল হক মণি ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সম্পর্কে তারা শেখ হাসিনার আপন ফুফাতো ভাই।

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে শহীদ হন। তার ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধুর আরেক ভাগনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম হলেন সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য।

শেখ সেলিমের বোনের স্বামী হলেন বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা ও এরশাদ সরকারের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত নাজিউর রহমান মঞ্জুর। যিনি পরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটে যোগ দেন।

মঞ্জুর সম্পর্কে শেখ হাসিনার ফুফাতো বোনের স্বামী। আবার মঞ্জুরের দুই ছেলে বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ ও ড. আশিকুর রহমান শান্ত। বর্তমানে তারা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয়। শেখ হাসিনা সম্পর্কে তাদের খালা।

বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের। তার ছেলে হলেন বাগেরহাট-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি শেখ হেলাল। তার মেয়ের জামাই হলেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।

শেখ সেলিম ব্যারিস্টার পার্থের মামা ও শেখ হেলাল পার্থের শ্বশুর। আবার শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ মণি ও শেখ সেলিমের আরেক ছোট বোনের জামাই হলেন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। আর শেখ সেলিমের ভায়রা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।

আবার শেখ সেলিমের ছেলে বিয়ে করেছেন বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মেয়েকে। টুকু ছাত্র জীবনে বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহপাঠি ছিলেন।

শেখ সেলিমের আরেক ছেলে বিয়ে করেছেন আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের মেয়েকে। এই মুসা বিন শমসেরের ছেলে ববি হাজ্জাজ হলেন এরশাদের সাবেক মুখপাত্র ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা।

বঙ্গবন্ধুর বড় বোনের জামাই হলেন আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবদুর রব সেরনিয়াবাত। সেরনিয়াবাতের ছেলে হলেন জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ বরিশাল-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।

শেখ হাসিনা ও হাসানাত আবদুল্লাহ পরস্পরের মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আবার হাসানাত আবদুল্লাহর ছোট বোনের দেবর হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।

তিনি সম্পর্কে শেখ হাসিনার বেয়াই। আবার হাসানাত আবদুল্লাহর সম্পর্কে চাচাতো ভাই হলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শেখ হাসিনার আরেক ফুফাতো ভাই হলেন মাদারীপুরের সাবেক এমপি প্রয়াত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী। ইলিয়াস চৌধুরীর বড় ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের এমপি।

ইলিয়াস চৌধুরীর ছোট ছেলে মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র এমপি। সে হিসেবে লিটন ও নিক্সন চৌধুরী সম্পর্কে শেখ হাসিনার ভাতিজা।

শেখ হাসিনার সম্পর্কে আরেক ফুফাতো ভাই হলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি বাহাউদ্দিন নাছিম।

শেখ হাসিনার চাচা সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের বেয়াই হলেন বিএনপির দীর্ঘ সময়ের মহাসচিব এবং ওয়ান ইলেভেনের সংস্কারপন্থি শীর্ষ নেতা প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়া।

মান্নান ভূঁইয়ার ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয়েছে শেখ কবিরের মেয়ের। সে হিসেবে শেখ হাসিনার সম্পর্কে তালই হলেন মান্নান ভূঁইয়া।

বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন রয়েছে ফরিদপুরের বিখ্যাত লাল মিয়া-মোহন মিয়া পরিবারের। ফরিদপুরের আবাদ আল্লা জহিরউদ্দিন লাল মিয়ার পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের।

বঙ্গবন্ধুর ফুফাতো বোন মোসাম্মাৎ বেগমের মেয়েকে বিয়ে করেছেন লাল মিয়ার বড় ছেলে চৌধুরী মমতাজ হোসেন রাজা মিয়া। বঙ্গবন্ধুর ফুফাতো ভগ্নিপতি গোলাম গফুর চৌধুরী ছিলেন ফরিদপুরের খ্যাতিমান আইনজীবী।

সেই সঙ্গে শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের সঙ্গে দ্বিমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে এ লাল মিয়া-মোহন মিয়া পরিবারের। পুতুলের শ্বশুর খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন বোন বিয়ে করেছেন পাকিস্তান আমলের ডাকসাইটের নেতা মন্ত্রী মরহুম ইউসুফ আলী চৌধুরী। তিনি মোহন মিয়ার ছেলে।

এছাড়া শেখ হাসিনার সম্পর্কে ফুফা হলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। তার স্ত্রী প্রয়াত ফিরোজা হোসেন সম্পর্কে শেখ হাসিনার ফুফু।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব প্রয়াত শেখ শহীদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার খালাতো ভাই। শেখ শহীদুল ইসলাম ছিলেন এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী। শেখ হাসিনার দূরসম্পর্কের ফুফা হলেন লে. জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান বীরবিক্রম।

প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পারিবারিক সম্পর্ক পুরানো। দু’জনের নানাবাড়িই জলপাইগুড়ি এলাকায়। পুরানো সম্পর্কে তারা পরস্পরের দূরসম্পর্কীয় খালাতো ভাই-বোন।

জিয়া পরিবারের দুই সন্তান তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো।

তারেক রহমানের শ্বশুর হলেন বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সাবেক প্রধান মাহবুব আলী খান। জিয়াউর রহমানের বড় ভাই রেজাউর রহমান নৌ-বাহিনীতে মাহবুব আলী খানের সহকর্মী ছিলেন।

সে সুবাদে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে মাহবুব আলী খানের সম্পর্ক ছিল। তারেক রহমানের শ্বশুর মাহবুব আলী খান ছিলেন ‘জাগদল’ সদস্য ও জিয়া সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।

১৯৮২ সালে দেশে সামরিক আইন জারিকালে অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত হন এবং পরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন।

তারেক রহমানের জেঠা শ্বশুর হলেন মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ও পরে জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী।

তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের খালু হলেন ফরিদপুরের বিখ্যাত খন্দকার পরিবারের সন্তান হিরু মিয়া। আর হিরু মিয়া হলেন বঙ্গবন্ধুর ফুফাতো ভাই এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের চাচাতো দাদা শ্বশুর।

আবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব আইরিন খান হলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের আপন জেঠাতো বোন।

খালেদা জিয়ার বড় বোন প্রয়াত খুরশিদ জাহান হক ছিলেন বিএনপি সরকারের মন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার দুই ভাগনে। ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি। আরেক ভাগনে সাইফুল ইসলাম ডিউক সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। খালেদা জিয়ার ভাই প্রয়াত মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দার ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন।

ওয়ান ইলেভেনের ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ে আলোচিত সেনাকর্মকর্তা লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী সম্পর্কে সাঈদ এস্কান্দার ভায়রা ভাই।

আবার সাঈদ এস্কান্দারের বেয়াই হলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও হোটেল রাজমণি ঈশা খাঁর মালিক আহসান উল্লাহ মণি। সাঈদ এস্কান্দারের ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন মণি।

বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদার বড় ভাই দারা কবির বিয়ে করেছেন জিয়াউর রহমানের খালাতো বোন আতিকা শিরিনকে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে দীর্ঘ সময়ের প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান লে. জেনারেল (অব.) হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার আপন ভাই গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী।

এরশাদের আরেক ভাই প্রয়াত মোজাম্মেল হোসেন লালু ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। এরশাদের ভাতিজা হলেন রংপুর-১ আসনের এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ।

এরশাদের বোন মেরিনা রহমান সাবেক এমপি এবং ভগ্নিপতি প্রয়াত ড. আসাদুর রহমান রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। আবার এরশাদের সম্পর্কে মামা ছিলেন বঙ্গবন্ধু, জিয়া ও এরশাদ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রিয়াজউদ্দিন আহমেদ ভোলা মিয়া।

সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের সহধর্মিণী রওশন এরশাদ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১০ম সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী।

এরশাদের শ্যালক হলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি কূটনীতিক মহিউদ্দিন আহমেদ। তার শ্বশুর হলেন বিএনপির প্রথমদিকের অন্যতম শীর্ষ নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া।

যাদু মিয়ার মেয়ে মুক্তি রহমানকে বিয়ে করেছেন এরশাদের শ্যালক মহিউদ্দিন আহমেদ। সে হিসেবে এরশাদ এবং ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি পরস্পরের আত্মীয়। আবার রওশন এরশাদের বড় বোন মমতা ওয়াহাব ছিলেন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী।

বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারার সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বিএনপির প্রথম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

বি. চৌধুরীর ছেলে হলেন বিএনপি সরকারের সাবেক এমপি ও বর্তমানে বিকল্পধারার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী। বি. চৌধুরীর শ্যালিকা হলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি পান্না কায়সার।

বি. চৌধুরী হলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের ভায়রা ভাই। শহীদুল্লাহ কায়সার ও জহির রায়হানের কাজিন হলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার কবির।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদের মেয়ের ভাসুর হলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর।

আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিন আহমেদের আপন ভাতিজা হলেন কৌতুক অভিনেতা টেলিসামাদ। আর টেলিসামাদের শ্বশুরের পরিবার হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রাণকেন্দ্র।

টেলিসামাদের স্ত্রীর বড় ভাই হলেন মো. মহিউদ্দিন। যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বডিগার্ড ও সাবেক এমপি। অন্যজন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুজ্জামান।

বিএনপি সরকারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির স্বল্পকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। তার সম্পর্কে ভাগনে হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জিল্লুর রহমানের সঙ্গে দূরসম্পর্কীয় আত্মীয় হলেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী মে. জেনারেল (অব.) মীর শওকত আলী বীরউত্তম।

মীর শওকতের আপন ফুফাতো ভাই হলেন ভোলার চরফ্যাশন আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত জাফরউল্লাহ চৌধুরী।

আমার মনে হয় রাজনীতির ইতিহাসে পৃথিবীর আর কোন দেশের রাজনীতিতেই আত্মীয়তার এতো দীর্ঘ সূত্রতা নেই! সেই হিসেবে আমরা বাংলাদেশের জন্য নোবেল একটা দাবি করতেই পারি। বিডি২৪লাইভ

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে