পিঠ খোলা ব্লাউজে কেউ উত্তেজিত হলে দায় আমার না’

পরিচালক সৌকর্য ঘোষালের ‘রেনবো জেলি’ দিয়ে দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরেছেন শ্রীলেখা। সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমাটিতে শ্রীলেখার অভিনয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত।

ভারতীয় ওই গণমাধ্যমের সাক্ষাতকারে শ্রীলেখা আরো বলেন, শুধু স্ট্র্যাপলেস পরে, ক্লিভেজ, পেট, কোমর দেখানোটা যদি সেক্সি মনে হয় কারো তাহলে তার আরো একটু পড়াশোনা করা উচিত। আমি অ্যাভারেজের থেকে একটু বেশি শিক্ষিত।তিনি বলেন, দেখুন, আমার কমফর্টের (স্বাচ্ছন্দ্য) জন্য পিঠ খোলা ব্লাউজ পরি। সেটা দেখে যদি কেউ উত্তেজিত হয় তার দায় আমার নেই। আমার যা ইচ্ছে আমি পরব।

শ্রীলেখার ভাষ্যমতে, শুনুন, কারো যদি কোনো খুঁত থাকে সেটা মেকআপ বা কস্টিউমে ঢেকে দেয়াই উচিত। যিনি আমাকে প্রেজেন্ট করছেন, তিনি তো ভাল অভিনেত্রীকে প্রেজেন্ট করছেন, ভাল ভাবে প্রেজেন্ট করবেন। নাকি, এমন ভবে প্রেজেন্ট করবেন যাতে তার খুঁতগুলো প্রকট হয়?

বর্তমানে সিনেমা সংশ্লিষ্ট কাজে নিজের ব্যস্ততা কমে আসা প্রসঙ্গে শ্রীলেখা বলেন, আগের চেয়ে প্রস্তাব তো কম আসে, সেটা একটা কারণ। আর আমি নিজের খিদেটাও কমিয়ে ফেলেছি। এভাবেই বলেছেন এই অভিনেত্রী।

শ্রীলেখা মিত্র এও বলেন, আমাকে নাকি লোকজন ভয় পায়, এমনটাই শুনেছি। এটা বলে তিনি প্রশ্ন রাখেন- আমাকে দেখে কি রাগী মনে হয়? জানি না। ফোন করে কাউকে মনে করাই না। কি জানি, আমার যদি কোনো প্রেমিক বা গডফাদার, কোনো পুরুষ মানুষ থাকত, তা হলে বোধহয় আরো সহজ হতো। আমার আর কিছুতেই কিছু যায় আসে না।

ওয়েব সিরিজ ‘দুপুর ঠাকুরপো’র সেকেন্ড সিজনের কাজের কথা ছিল শ্রীলেখার। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।

এ প্রসঙ্গ তুলে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, কাজের জন্য আমার বাড়িতে এসে কথা বলে গেল। টাকা-পয়সা ঠিক হয়ে গেল। তার পর হঠাৎ জানতে পারলাম করছি না। আমাকে ওরা লুক টেস্টে মশারির মতো শাড়ি পরতে দিয়েছিল জানেন?

বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা নিয়ে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, একটা স্ক্রিপ্ট নিয়ে কথা চলছে। তবে এখনই কিছু বলতে পারব না। বড়-মেজ-সেজ-ছোট ডিরেক্টরের কথা বলব না আমি। তবে খুবই ভাল একজন ডিরেক্টরের ছবি এটুকু বলতে পারি।