ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশের 'আতঙ্ক' রশিদের বলটা ফেললেই হয়!

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ০৪ ২০:৪৯:৫১
বাংলাদেশের 'আতঙ্ক' রশিদের বলটা ফেললেই হয়!

বাংলাদেশকে ৪৫ রানে হারানো ম্যাচে রশিদ শুধু সেরা খেলোয়াড়ই হয়েছেন তা নয়, দারুণ এক মাইলফলকও গড়েছেন। অজন্তা মেন্ডিসের পর ইমরান তাহিরের সঙ্গে টি-টুয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্রততম ৫০ উইকেট শিকারি হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন। ৩১ ম্যাচে এই মাইলফলক রশিদের। সময়ের হিসেবে অবশ্য রশিদেরটিই দ্রুততম। রেকর্ড। মোহাম্মদ নবীর পর দ্বিতীয় আফগান হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে ৫০ উইকেট হলো রশিদের। অথচ এদিন ১১তম ওভারে আক্রমণে আসেন রশিদ। সেটিও আবার আইপিএল খেলে লর্ডস ঘুরে দেরাদুনে এসেই। আফগান সেনসেশন অবশ্য বলে দিলেন, কোথায় বা কখন বল করতে হবে এসব তার কাছে কোনো বিষয় নয়।

বাংলাদেশের বিপক্ষে রোববারের দাপুটে জয় নিয়ে রশিদ বলেন, ‘শুরু থেকে যদি বলি, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। ওপেনার, মিডল অর্ডার, এটা পরিপূর্ণ একটি দলীয় প্রচেষ্টা। আমরা তিন বিভাগেই নজর দিয়েছিলাম। আমরা ঠিক করেছিলাম এই সিরিজে ফিল্ডিংয়ে আমাদের উন্নতি করতে হবে এবং আমাদের সেরাটা খেলতে হবে।’

নিজের দারুণ পারফম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে ১৯ বছর বয়সী বলেন, ‘শেষ দুই বছর আমার জন্য দারুণ কেটেছে। যখন জাতীয় দলে সুযোগ পাই তখন থেকে যে সাফল্য পাচ্ছি এটিই আসলে আমার স্বপ্ন ছিল। আমি শুধু আমার সেরা দিয়ে উপভোগ করতে চেয়েছি। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক।’

তবে দ্রুততম সময়ে ৫০ উইকেটের উইকেটের কথা নাকি তার জানাই ছিল না, ‘আমি জানতাম না দ্রুততম ৫০ উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমি মাত্রই শুনলাম মাইলফলকের জন্য মাত্র ১ উইকেট প্রয়োজন ছিল আমার। আমি খুবই খুশি। যে কোনো অর্জনই আমার জন্য সুখের।’

সম্প্রতি খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন রশিদ। দেড় মাস আইপিএলে ব্যস্ত ছিলেন। তার আগে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দেশকে দিয়েছেন নেতৃত্ব। আইপিএল সেটি শেষ করেই লর্ডসে উড়ে যান বিশ্বএকাদশের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি চ্যারিটি ম্যাচ খেলতে। যে ম্যাচ শেষ করেই দিল্লি হয়ে আবার ভারতের দেরাদুনে। এমন ব্যস্ত সিডিউলের পরও রোববার তার পারফরম্যান্সে এতোটুকু ঘাটতি নেই। এই লেগি অবশ্য এখানে পেশাদারিত্বের কথা মনে করিয়ে দিলেন, ‘এটা একটু কঠিন। কিন্তু একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপনাকে এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। এবং এসবের জন্য তৈরি থাকতে হবে।’

রশিদ আসলে এই ব্যপারটাকেও উপভোগ করেন, ‘শেষ দুই তিন বছরে আমি অনেক অনেক ভ্রমণ করেছি। আমি এখন এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। আমি এখন শুধু উপভোগ করি। যুক্তরাজ্য, ভারত বা যে কোনো জায়গা এটি কোনো বিষয় নয়।’ নিজের ফিটনেসের ব্যপারেও দারুণ সচেতন তিনি, ‘আমি শুধু সামনে এগিয়ে যেতে চাই এবং ভালো করতে চাই। ফিটনেস নিয়ে এখানে প্রশ্ন আসে। আমি ফিট থাকতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি এবং সঠিক কাজগুলো করি।’

ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতে অধিনায়কের সেরা অস্ত্র এখন রশিদ। হোক সেটি আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বা জাতীয় দল। রশিদের কাছে নাকি কোথায় কখন বল করতে হবে সেটি বড় ব্যপার নয়, ‘আমি আইপিএলে শেষ বছর ডেথ ওভারগুলোতে বল করেছি এবং এ বছরও সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। যে কারণে আমি চাপের মাঝে বোলিং করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এবং সেটি উপভোগও করি। আমি সব সময় অধিনায়ককে বলি, কোথায় আমি বল করবো সেটি কোনো বিষয় নয়। ঠিক জায়গায় বল করাটা এবং স্কিলটা প্রয়োগ করা আমার কাজ।’

১৪ জুন ১২তম দেশ হিসেবে অভিষেক টেস্ট খেলকে আফগানিস্তান। যা নিয়ে অনেক দিন ধরেই তৈরি হচ্ছে দেশটি। রশিদ অবশ্য টেস্টে জন্য নিজেকে আলাদা করে তৈরি করার কিছু দেখছেন না, ‘টেস্টের জন্য বিশেষ কিছুর প্রয়োজন নেই। শেষ দুই-তিন মাসে আমি যেমন করেছি সেটিই করার চেষ্টা করবো। টেস্ট, ওয়ানডে অথবা টি-টুয়েন্ট সেটি কোনো বিষয় নয়। আসল জিনিসগুলোই করতে হবে।’

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে