ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন

খেলা ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ জুন ০৩ ১৪:২৬:১০
ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন

যাদেরকে বলা হত ‘কিংস অব ফুটবল’। বিশ্বকাপের আগে বেশ ভালো সময়ই পার করছিল ইংলিশরা।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ৩০ ম্যাচে ২৩ জয়,৩ ড্র ও মাত্র ৪ টি হার ছিল তাদের।এছাড়া বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে অবশিষ্ট ইউরোপ একদাশকে ৬-১ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র একেবারে আনাড়ি একটা দল।

তখন পর্যন্ত সেখানে ফুটবল সংস্কৃতিই গড়ে উঠেনি। তাদের ফুটবল টিমটাও পুরোপুরি পেশাদার ছিল না। অর্থাৎ ফুটবল খেলাই তাদের পেশা ছিল না,শখের বশে ফুটবল খেলত আর জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্যত্র কাজ করত। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওই টিমের তিনজন খেলোয়াড় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকই ছিলেন না।

ম্যাচ শুরুর আগের দিন থেকেই জয়-পরাজয় নিয়ে কোন আলোচনাই ছিল না। বরং আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল ইংল্যান্ড কতগুলো গোল করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সেসময়ের কোচ জেফরি সংবাদ সম্মেলনে বলেই দিয়েছিলেন, তার দলের কোন সুযোগই নেই। ইংলিশ দৈনিক ডেইলি এক্সপ্রেস লিখেছিল,ম্যাচ শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নামের পাশে তিনটি গোল লিখে দিলে ভালো হতো।

২৩ জুন বেলো হরিজেন্তের মাঠে প্রায় ১০ হাজার দর্শক ইংল্যান্ডের গোল উৎসব দেখার আশায় নিয়ে এসেছিল। সেই আশায় গুড়ে বালি। পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ড একটি গোলও করতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের ৩৮ মিনিটে একটি গোল হজম করে ইংলিশরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন জো গাইতেনস, যিনি ছিলেন হাইতির নাগরিক। ইংল্যান্ডের এমন হারে অবাক হয়ে যায় পুরো ফুটবল বিশ্ব, স্বব্ধ হয়ে যায় ইংলিশরা। এই ম্যাচের ফলাফলকে ফুটবল বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঘটন বলা হয়। শুধুমাত্র এই ম্যাচটিকে নিয়ে জিওফ্রি ডাগলস একটি বই লিখেন।বইটির নাম “দ্যা গেইম অব দেয়ার লাইভস”। পরবর্তীতে এই বইটি অবলম্বনে একটি “দ্যা মিরাকল ম্যাচ” নামে একটি মুভিও নির্মাণ করা হয়।

এরকম কিছু ম্যাচের জন্যই বোধ হয় খেলাটিকে ” দ্যা বিউটিফুল গেইম”ও বলা হয়।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে