ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

প্রায় সবগুলো ফেরি ত্রুটিপূর্ণ, ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশংকা!

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ মে ৩১ ২৩:৪১:১০
প্রায় সবগুলো ফেরি ত্রুটিপূর্ণ, ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশংকা!

গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুট। প্রতিদিন এ নৌরুট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার হাজারো যানবাহন ও লাখো মানুষ পারাপার হয়। অথচ এখানে দীর্ঘদিন ধরেই ফেরির সংকট চলছে। অবকাঠামো সমস্যাও রয়েছে ব্যাপক। এ নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি থাকলেও একমাত্র ভাষা শহীদ গোলাম মওলা ছাড়া বাকিগুলো জরাজীর্ণ, মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে আটকে থাকে মাঝনদীতে, নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ১৬টি ফেরির অনেক বয়স হয়ে গেছে। ফিট আছে মাত্র একটি। ত্রুটিপূর্ণ ফেরিগুলোকে মাঝে মধ্যেই পুনর্বাসন করাতে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৯ সালে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পাঁচটি রোরো (বড়) ফেরি বহরে যুক্ত হলে পারাপার স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে এই বড় ফেরিগুলো মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে ভাসমান কারখানায় মেরামতে থাকছে। মেরামতের কয়েক দিন পর আবার বিকল হচ্ছে। পরবর্তীতে যে ফেরিগুলো কেনা হয়েছে, সেগুলোও চলছে জোড়াতালি দিয়ে। এখন এ রুটের জন্য আরো কয়েকটি নতুন ফেরি কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মোহাম্মদ মোল্লা জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরিগুলো একেবারে বুড়ো হয়ে গেছে। সামান্য স্রোতের মধ্যেও চলতে পারে না। স্রোত এড়িয়ে অনেক পথ ঘুরে আসা-যাওয়া করতে হয়। এতে সময় লাগে বেশি। বিরূপ আবহাওয়ার সময় সব ফেরি বসে থাকে। কিছু ফেরির রাতে চলার সক্ষমতা নেই।

এদিকে গতকাল সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঈদে ঘাট পরিস্থিতি ভালো রাখতে আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম জানান, রুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি আছে, ঈদে বাড়তি গাড়ির চাপ সামাল দিতে আরো তিনটি ফেরি বহরে যুক্ত হবে। তবে সব ফেরিই প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ বছর আগে কেনা।

সুতরাং তিনটি ফেরি যুক্ত হলেও খুব একটা কাজে আসবে বলে মনে করছে না কেউ। কারণ গত বছর ঈদেও ১৯টি ফেরি ছিল। কিন্তু গাড়ির চাপে প্রথম দিনেই তিনটি রো রো ফেরি বিকল হয়ে যায়। এ বছর গাড়ির সংখ্যা আরো বেড়েছে।

এছাড়া রয়েছে ঘাট সংকট। দৌলতদিয়া প্রান্তে চারটি ঘাটের মধ্যে দুটি ব্যবহার করা যায় না। প্রতিটি ঘাটের র‌্যাম ও পন্টুনে সমস্যা। ফলে ফেরি ঘাটে ঠিকমতো ভিড়তে পারে না। তবে ঈদে নতুন দুটি ঘাটের জন্য ভাসমান পন্টুুন এনে রাখা হয়েছে বলে জানান সফিকুল ইসলাম।

এবার ঈদে ঘাটে চাঁদাবাজি ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি। যাত্রীপ্রতি ২৫ টাকার বেশি ভাড়া আদায় বা অসদুপায় অবলম্বন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শওকত আলী।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে