ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সেঞ্চুরি

জাতীয় ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ মে ২৯ ১০:৪৩:০০
‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সেঞ্চুরি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্যে, তাদের অভিযানের সময় এবং মাদকের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দু’দলের গোলাগুলিতে তারা নিহত হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই চিহ্নিত মাদক কারবারি। প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৭ মে রাত থেকে এ ক’দিনে বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১০৮ জনের মৃত্যু হলো।

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা তুলে ধরা হলো;

ঢাকা

রাজধানীর দক্ষিণখানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সুমন ওরফে খুকু সুমন নিহত হয়েছেন।

সোমবার দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে দক্ষিণখান থানাধীন আশিয়ান সিটির বালু মাঠে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, সুমন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। দক্ষিণখান থানায় তার নামে ৫টি মাদকের মামলা রয়েছে। বন্দুযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

থানা সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশিয়ান সিটি মাঠের সামনে মাদক উদ্ধারে গেলে একদল মাদক ব্যসায়ী পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ সুমনকে উদ্ধার করে দক্ষিণখান থানার এসআই নান্নু ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বন্দুকযুদ্ধে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল আমিন ও কনস্টেবল সাখাওয়াত আহত হয়েছেন। তাদের কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ওয়ান শুটারগান ও ৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

যশোর

যশোরে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার মানিক ও মন্ডলগাতি এলাকার আসর আলী।

পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করার দাবি করেছে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কেএম আজমল হুদা জানান, মঙ্গলবার ভোরে যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, নিহত মানিক ও আসর আলী চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে ৬শ’পিস ইয়াবা, দুটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ৫টি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

কুমিল্লা

কুমিল্লার মুরাদনগরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ব নবীপুর ইউনিয়নের গুঞ্জর এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মুরাদনগরের কৈয়ার পাথর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে লিটন ওরফে কানা লিটন (৩৬) ও বাখরনগরের শহীদ মিয়ার ছেলে আবদুল বাতেন (৩৪)।

পুলিশের ভাষ্যে, নিহতরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।

মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মঞ্জুর আলম পরিবর্তন ডটকমকে জানান, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে রাতে উপজেলার পূর্ব নবীপুর ইউনিয়নের গুঞ্জর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়।

এ সময় পুলিশ ৫৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে লিটন ও বাতেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও ৪০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

বন্দুকযুদ্ধে মুরাদনগর থানার এসআই মোজাম্মেল, এএসআই রোকন ও এএসআই মাসুদুর রহমান আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ওসির ভাষ্যে, লিটন ও বাতেন মুরাদনগরসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। লিটনের বিরুদ্ধে ৭টি এবং বাতেনের বিরুদ্ধে ৮টি মাদক মামলা রয়েছে।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পু‌লি‌শের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার দিনগত রাত তিনটার দিকে দৌলতপুরের শিয়ালা মাঠে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার মৃত রেজাউল হকের ছেলে মোকাদ্দেস হোসেন (৩০) ও প্রাগপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে ফজলুর রহমান টাইটেল (৫০)।

দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, মাদকদ্রব্য কেনা-বেচার উদ্দেশ্যে একদল মাদক ব্যবসায়ী দৌলতপুরের শিয়ালা মাঠে অবস্থান করছে- এমন গোপন খবর পেয়ে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়।

উপ‌স্থি‌তি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে করে গুলি ছোড়ে। পু‌লিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে।

পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ মোকাদ্দেস ও ফজলুরকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে ১টি বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তলের ম্যাগজিন ও ২৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসির ভাষ্যে, নিহতরা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। বন্দুকযুদ্ধের সময় চার পু‌লিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় আনিসুর রহমান (৪০) নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি কলারোয়ার পাকুড়িয়া গ্রামের সুরত আলির ছেলে।

পুলিশের ভাষ্যে, ইয়াবা সম্রাট নামে পরিচিত আনিসুর রহমান মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেছেন।

তবে নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগমের দাবি, তার স্বামীকে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সোমবার রাত সোয়া ২টায় তার কাছে খবর আসে যে, দেয়াড়া ইউনিয়নের পিপলাপোলের মাঠে মাদক ভাগাভাগি নিয়ে দুটি বিবদমান গ্রুপ নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করছে।

তিনি জানান, এরপর খোরদো পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম একদল পুলিশ সদস্য নিয়ে সেখানে পৌঁছে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

ওসি জানান, কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনিসুর রহমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুটার গান জব্দ করা হয়েছে। আনিসুরের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলায় ১০টি মামলা রয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি।

এদিকে, নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, তার স্বামীকে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে সাদা পোশাকধারীরা তুলে আনার পর তিনি কলারোয়া থানা ও খোরদো পুলিশ ক্যাম্পে খোঁজ নিলে জানানো হয়, পুলিশ তাকে আটক করেনি।

তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কলারোয়ায় ও পরে সাতক্ষীরায় একটি সংবাদ সম্মেলন করার চেষ্টা করেন। রাতে কলারোয়া থানায় একটি জিডি করতে গেলে পুলিশ তাও নেয়নি। বলেছে একটু দেরি করতে। এরপরই নাজমা বেগম খবর পান, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রীর দাবির বিষয়ে ওসি জানান, এ সম্পর্কে তিনি আর কিছুই জানেন না।

তিনি আরও জানান, আনিসুরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হারুন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

হারুন হরিপুর উপজেলার শীতলপুর এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

পুলিশের দাবি, হারুন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে উপজেলার শীতলপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

উভয়পক্ষের গুলিবর্ষণের ফলে হারুন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।

হরিপুর থানার ওসি রুহুল কুদ্দুস জানান, হারুনের বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় মাদকবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় জনি মিয়া (৩০) নামে এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার আখাউড়া-আনোয়ারপুর সড়ক খালাজোড়া নামক স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

জনি আখাউড়া রেলওয়ে কলোনির পূর্ব পাশের বাগানবাড়ি এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে। তিনি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খাইয়ার গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।

পুলিশ বলছে, জনির বিরুদ্ধে মাদক, চোরাচালানী ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার মধ্যরাতে আখাউড়া খালাজোড়া নামক স্থানে আনোয়ারপুর রাস্তায় জনৈক কুদ্দুসের বাগান সংলগ্ন রাস্তার পাশে গোলাগুলির শব্দ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা এসে সনাক্ত করেন এটা জনি মিয়ার লাশ।

পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপগান, ১টি কার্তুজ, ২টি বড় ছোরা ও ১টি চাপাতি উদ্ধার হয়।

আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ আমিন জানান, ডাকাতির টাকা, মালামাল ভাগাভাগি ও মাদক ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে সহযোগী ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ীদের গোলাগুলিতে জনি নিহত হতে পারেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন করে নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গত ১৭ মে গভীর রাতে ৩ জন, ১৮ মে রাতে ৪ জন, ১৯ মে রাতে ৪ জন, ২০ মে রাতে ১৪ জন, ২১ মে রাতে ১১ জন, ২২ মে রাতে ৯ জন, ২৩ মে রাতে ৬ জন, ২৪ মে রাতে ১১ জন, ২৫ মে রাতে ১১, ২৬ মে রাতে ১১ ও ২৭ মে রাতে ১২ জনসহ মোট ১০৮ ‘মাদক কারবারি’ নিহত হন।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে