ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

মির্জা ফখরুল কি বিএনপি ছাড়ছেন?

রাজনীতি ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০১৮ মে ২৭ ১৭:২৯:২৮
মির্জা ফখরুল কি বিএনপি ছাড়ছেন?

আর এই গুঞ্জনের সূত্রপাত হয়, রাজনৈতিক দলের ইফতার পার্টিতে বিএনপি মহাসচিব এবং অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্য থেকে। ওই ইফতার পার্টির আয়োজক ছিলো বিএনপি। সেখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অধ্যাপক চৌধুরীকে জাতির অভিভাবক এবং ‘উজ্জ্বল নক্ষত্র’ বলেন।

অধ্যাপক বি. চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে আওয়ামী লীগ আর বিএনপির বাইরে তৃতীয় শক্তির উত্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন ‘আমি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বাইরে রাজনীতিতে একটি তৃতীয় শক্তির কথা বলেছি।’

এনিয়ে কয়েকদিন বিএনপিতে ক্ষোভ অসন্তোষ থাকলেও পরে তা স্তিমিত হয়ে যায়। ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারতো। কিন্তু গত দুই দিনে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একাধিক টেলি আলাপ এবং সাক্ষাতের পর এই গুঞ্জন আরও বেড়েছে।

অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি এবং ড.কামাল হোসেন একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছি যেখানে আমরা জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছি। আমরা সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহবান জানিয়েছি।’ অধ্যাপক চৌধুরী বলেন ‘

বাংলাদেশে এখন একটি জাতীয় শক্তি অত্যন্ত জরুরী। আর এই জাতীয় শক্তিতে আওয়ামী লীগ বিএনপি যে কেউ আসতে পারে।’ তবে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তৃতীয় শক্তিতে যোগ দেবেন কিনা, সেব্যাপারে এখনই কোন মন্তব্য

করতে রাজি হননি এই প্রবীণ রাজনীতিবীদ। তবে, অধ্যাপক চৌধুরী স্বীকার করেছেন যে, বিএনপির মহাসচিব একজন নমনীয়, মার্জিত মানুষ। তার সংগে নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।

বিএনপির একাধিক নেতার সংগে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানান যে, অধ্যাপক বদরুজ্জোদা চৌধুরীর সংগে মির্জা ফখরুলের সম্পর্ক পুরনো। তারা বলেন, মির্জা ফখরুল যে তৃতীয় ধারায় যেতে পারেন তার অনেকগুলো ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে।

একজন নেতা বললেন, বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর মির্জা ফখরুল ড: কামাল হোসেনের চেম্বারে গিয়ে তাঁর সংগে সাক্ষাত করেন। সে সময় বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, এতিম খানা দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে কথা বলতেই সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঐ মামলায় ড: কামাল হোসেন এখন পর্যন্ত সম্পৃক্ত হননি।

আরেক নেতা জানালেন, মির্জা ফখরুল অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ড: কামাল সেখানে ছুটে যান। বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার পর ২০ দলীয় জোটের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিবের অনাগ্রহ দৃশ্যমান। তিনি নিজেই সমন্বয়কের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। জামাতের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিবের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা সকলেই জানে বলেও বিএনপির অনেক নেতা জানিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বললেন, বেগম জিয়া দণ্ডিত হবার পর দায়িত্ব নেন মির্জা ফখরুল। দায়িত্ব নিয়েই তিনি সংস্কারপন্থীদের সামনে আনেন। লে. জে. অবসরপ্রাপ্ত মাহবুব কিংবা মেজর (অব.) হাফিজের মতো সংস্কারপন্থীদের তিনি কাছে টেনে নিয়েছেন।

আর এইসব কিছু যোগ করলে দেখা যায়, বিএনপিতে থেকেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলাদা। তাঁর কথাবার্তাও ড: কামাল হোসেনদের ঘরানার। তিনি নিজেও জানেন, বিএনপি পাল্টে ফেলার ক্ষমতা তাঁর নেই। তাই কি তিনি নিজেই চলে যাবেন তৃতীয় ধারায়?

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



রে