ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১১ হাজার ভোল্ট যার কাছে নস্যি: বিস্ময়কর এক বিদ্যুৎ বালকের কাহিনী!

২০১৮ মে ২৭ ১১:৫৩:৩৫
১১ হাজার ভোল্ট যার কাছে নস্যি: বিস্ময়কর এক বিদ্যুৎ বালকের কাহিনী!

আমরা ছোট বেলায় শুনেছি এমন দুএক জনের কথা যারা কাঠের ওপর দাঁড়িয়ে বা পঞ্চ জাতীয় কোনো কিছু পরে বিদ্যুতের তার ধরতে বা তার ধরে কাজ করতে পারেন। কিন্তু আজ আপনাদের সামনে যে কাহিনী তুলে ধরা হবে সেটি একটি বিস্ময়কর কাহিনী। কারণ ভারতের এক যুবক ১১ হাজার ভোল্টের তার ধরে থাকতে পারেন।

ঘটনা প্রথম জানা জানি হয় যখন বিদ্যুতের লাইনে উঠে তার ধরে জ্যান্ত দাঁড়িয়ে থাকেন ওই যুবক। কারণ বিদ্যুতের খুঁটি বেয়ে উপরে ওঠা দেখে সবাই হতভম্ভ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ওই যুবকের মা ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। অনুনয়-বিনয় করতে থাকেন ‘দিপক নেমে আয়, নেমে আয়’। পড়শীরা যখন চোখ ছানাবড়া করে বার বার দিপককে অনুরোধ জানিয়ে যাচ্ছিল। বিদ্যুতের তার জড়িয়ে ধরার ঘটনা দেখে সবার মনে প্রশ্ন এসেছে ১৬ বছরের বালকের কী এমন হলো যে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আত্মহত্যা করতে হবে? সে কি কাওকে ভালবাসে? নাকি মায়ের ওপর তার রাগ?- এমন অনেক প্রশ্ন তখন নিচে জড়ো হওয়া মানুষদের মুখে মুখে শোভা পাচ্ছিল। কিন্তু দেখা গেলো সে খুটি বেয়ে উপরে উঠে গেলো এবং ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার ধরে নাড়াচাড়াও করতে লাগলো।

এতো উচ্চ ভোল্টেজের তারের ৫ মিটার দূরেও যদি কেও দাঁড়ায় তাহলে তার আর বেঁচে থাকার কথা নয়। এক ঝটকায় পগার পার হওয়ার কথা। কিন্তু দিপকের কিচ্ছু হচ্ছে না। বরং সে হাসছে। তাহলে কি তারে বিদ্যুৎ নেই? কিন্তু না, বিদ্যুৎ তো আছে। কিন্তু দিপকের কিছু হচ্ছে না কেনো? খুঁটির নিচে জড়ো হওয়া শত শত মানুষ বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান।

বিস্মিত হবারই মতোই ঘটনা। নিজের শরীরের ভেতর দিয়ে দিপক ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে পারেন। আবার তাতে তার সামান্য ক্ষতিও হয় না। দিপক শুধু ১১ হাজার ভোল্টই নয়, একসঙ্গে ৫শ’ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয় যে তারের মাধ্যমে তাও প্রতিরোধ করতে পারেন দিপক। শুধু তাই নয়, বিদ্যুতের যেকোন মোটা তার বিদ্যুৎ থাকা অবস্থাতেই সে জিহ্বায় লাগাতে পারে। গায়ের সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ লাগিয়ে দিপকের শরীরে বাল্ব ছোয়ালে তা জ্বলে ওঠে এমনও দেখা গেছে। ১১০, ২২০, ৪৪০ ভোল্ট দিপকের কাছে তুচ্ছ ব্যাপার।

এই বিস্ময় বিদ্যুৎ বালক দিপকের বাড়ি ভারতের হরিয়ানায়। নিজের শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহের এই আশ্চর্য শক্তির পেছনে চেষ্টা সাধনার কোন রকম ইতিহাসও নেই তার। তার পরিবারের কথায় এটা ঐশ্বরিক একটি দান। তিন বছর আগে একদিন অসাবধানতাবশত তার শরীরে বিদ্যুতের তারের ছোয়া লাগার পর, সে নিজের শরীরের এই আশ্চর্য ক্ষমতার কথা আবিষ্কার করেন।

এই বিস্ময়কর বিদ্যুৎ বালক দিপক বর্তমানে স্কুলে পড়ে। স্কুলের শিক্ষকরা তার এই ঘটনার জানার পর তাকে চিকিৎসকের কাছে যাবার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকরা দিপকের রক্তের অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। কিন্তু অস্বাভাবিক কিছুই খুঁজে পাননি তারা। বরং তার এই আশ্চর্য শক্তির কথা জানতে পেরে তার সঙ্গে সেলফি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ



রে