ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

৯ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৯ ২১:৪৭:১৬
৯ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক কোম্পানি। কারো আয় বেড়েছে, কেউ আবার পড়েছে লোকসানে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্স—

ক্রাউন সিমেন্ট পিএলসি:

চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা। তবে প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সায়, যেখানে গত বছর এই সময়েই ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকা ৪৭ পয়সা।

তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ:

তৃতীয় প্রান্তিকে তাদের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২০ পয়সা, যা আগের বছরের ৮ পয়সার তুলনায় বেশ ভালো। তবে ৯ মাস শেষে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৭ পয়সা, যা গত বছরের ৫৪ পয়সার চেয়ে কিছুটা কম। এনএভিপিএস ছিল ৩১ টাকা ২৪ পয়সা।

এসিআই লিমিটেড:

জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এসিআই শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১২ পয়সা লোকসান করেছে। অথচ আগের বছর এই সময়ে তারা ১৩ পয়সা মুনাফা করেছিল। যদিও ৯ মাস শেষে তাদের ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ১১ পয়সা (আগের বছর ৭ টাকা ১৮ পয়সা)। এনএভিপিএস ৬৭ টাকা ১০ পয়সা।

হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস:

এক সময় লোকসানে থাকা এই কোম্পানিটি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এবার তৃতীয় প্রান্তিকে তারা ৩ পয়সা মুনাফা করেছে, যেখানে আগের বছর ছিল ৩১ পয়সা লোকসান। ৯ মাস শেষে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২৮ পয়সা (গত বছর ৩ পয়সা)। রি-ভ্যালুয়েশন পরবর্তী এনএভিপিএস ২৪ টাকা ৪৫ পয়সা।

এসিআই ফর্মুলেশনস:

তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কিছুটা কমলেও (১.৮৯ টাকা, আগের বছর ২.০৪ টাকা), পুরো ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৬৫ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় বেশ উন্নত (৬.৩৮ টাকা)। এনএভিপিএস ছিল ৭৫ টাকা ৫৯ পয়সা।

মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসি:

প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ২১ পয়সা, যা গত বছরের ২ টাকা ২৬ পয়সার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এনএভিপিএস পৌঁছেছে ৭৪ টাকা ৩৯ পয়সায়।

এটলাস বাংলাদেশ:

তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান কিছুটা কমেছে— এবার ২৭ পয়সা, যেখানে গত বছর ছিল ৪২ পয়সা। ৯ মাস শেষে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৮২ পয়সা, যা আগের বছরের ১ টাকা ৬১ পয়সা থেকে কিছুটা উন্নতি। এনএভিপিএস ১১৫ টাকা।

ওয়াটা কেমিক্যালস:

তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে— ২৫ পয়সা, আগের বছর ছিল ৪৭ পয়সা। ৯ মাস শেষে ইপিএস ৬৭ পয়সা, যা আগের বছরের ১ টাকা ১ পয়সা থেকে কম। এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৩ পয়সা।

কোহিনূর কেমিক্যাল:

এই কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তাদের ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৪৩ পয়সা, যা গত বছরের ৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে অনেক বেশি। এনএভিপিএস ছিল ৬০ টাকা ৫৭ পয়সা।

তৃতীয় প্রান্তিকের এই হিসাবগুলো বিনিয়োগকারীদের জন্য স্পষ্ট করে দেয়, কোন কোম্পানিগুলো স্থিতিশীল ও মুনাফার ধারায় আছে, আর কারা এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। বুদ্ধিমানের কাজ হবে বিশ্লেষণ করে, দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনাময় কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করা।

রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ