ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

আজ ২৬ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৮ ২২:২২:৪৮
আজ ২৬ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শেয়ারবাজারের একাধিক তালিকাভুক্ত কোম্পানি। প্রকাশিত তথ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফলে বৈচিত্র্য দেখা গেছে। কেউ কেউ ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে, কেউ স্থিতিশীল অগ্রগতি বজায় রেখেছে, আবার কিছু কোম্পানি চাপে পড়েছে বা লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বিএসআরএম, ইনডেক্স এগ্রো, ইস্টার্ন হাউজিং ও এমজেএল বিডি তাদের আয় ও নিট সম্পদ মূল্যে শক্তিশালী অগ্রগতি দেখিয়েছে। অন্যদিকে সি পার্ল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ও প্রিমিয়ার সিমেন্টের আর্থিক ফলাফল বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুটা উদ্বেগের ইঙ্গিত বহন করছে।

আরও পড়ুন:

শেয়ারবাজারের ধ্বস: ৮ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা মূলধন হারানো

শেয়ারবাজার সংস্কারে ভবিষ্যতের রূপরেখা দিল টাস্কফোর্স

শেয়ারবাজারে আলোচনায় ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, বিএসইসির তদন্তের নির্দেশ

এই প্রতিবেদন বিশ্লেষণে কোম্পানিগুলোর বর্তমান আর্থিক অবস্থা, শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) তুলে ধরা হলো।

শক্ত অবস্থান পিপলস ইন্স্যুরেন্সের

পিপলস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৫) ৬৩ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে, যেখানে গত বছর ছিল ৫৪ পয়সা।শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৮ পয়সায়, আগের বছরের মাইনাস ১ টাকা ৩১ পয়সার বিপরীতে।৩১ মার্চ, ২০২৫ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৪৪ পয়সায়।

ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত ডেল্টা স্পিনার্সে

তৃতীয় প্রান্তিকে ডেল্টা স্পিনার্স ২ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় করেছে। আগের বছরের একই সময়ে ৯ পয়সা লোকসান করেছিল কোম্পানিটি।তবে তিন প্রান্তিক শেষে এখনো ১০ পয়সা লোকসানে রয়েছে, যদিও গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২৯ পয়সা।বর্তমানে কোম্পানিটির এনএভিপিএস ১২ টাকা ৪০ পয়সা।

স্থিতিশীল অগ্রগতিতে ইনডেক্স এগ্রো

তৃতীয় প্রান্তিকে ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ইপিএস করেছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যা আগের বছরের ১ টাকা ১৪ পয়সার চেয়ে বেশি।তিন প্রান্তিকে মোট ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৩২ পয়সা।এ সময়ে কোম্পানিটির এনএভিপিএস হয়েছে ৮৩ টাকা ৫৪ পয়সা।

শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন বিএসআরএমের

বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) তৃতীয় প্রান্তিকে ৭ টাকা ৫৭ পয়সা শেয়ারপ্রতি আয় করেছে, যেখানে আগের বছর ছিল ৪ টাকা ৯২ পয়সা।তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস পৌঁছেছে ১৪ টাকা ৩১ পয়সায়, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য।এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকা ৪৭ পয়সা, যা কোম্পানির শক্ত আর্থিক ভিত্তির ইঙ্গিত দেয়।

চাপে আলিফ ম্যানুফেকচারিং

তৃতীয় প্রান্তিকে আলিফ ম্যানুফেকচারিংয়ের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা, আগের বছরের ৯ পয়সার চেয়ে কিছুটা কম।তিন প্রান্তিকে ইপিএস কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ পয়সায়, যেখানে আগের বছর ছিল ২১ পয়সা।বর্তমানে এনএভিপিএস রয়েছে ১৫ টাকা ২৫ পয়সায়।

লুবরেফ বাংলাদেশ লিমিটেড:

লুবরেফের তৃতীয় প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল মাত্র ৩ পয়সা। এর মানে, কোম্পানিটি তুলনামূলকভাবে ভাল ফলাফল দেখিয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাব্যঞ্জক খবর রয়েছে। তবে, বছরজুড়ে তাদের ইপিএস কমে এসেছে ১১ পয়সায়, যেখানে আগের বছরে ছিল ২৮ পয়সা। এই পরিবর্তন অবশ্য কোম্পানির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৩৩ টাকা ৪৪ পয়সায় দাঁড়ানোর মাধ্যমে কিছুটা ইতিবাচক।

এডিএন টেলিকম লিমিটেড:

এডিএন টেলিকমের তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা, যা আগের বছরের ৫০ পয়সার চেয়ে কিছুটা বেশি। তার মানে, কোম্পানিটি গত বছরের তুলনায় আরও উন্নতি সাধন করেছে। ৯ মাসে তাদের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সায়, যা গত বছরের ১ টাকা ৭৯ পয়সার তুলনায় আরও শক্তিশালী। এই সময়ের মধ্যে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ৩২ টাকা ৪৩ পয়সা হয়েছে, যা কোম্পানির আর্থিক শক্তি নির্দেশ করছে।

সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড:

ভিন্ন রকম চিত্র দেখা গেছে সি পার্লে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৯ পয়সা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে লাভ ছিল ১ টাকা ২ পয়সা। ৯ মাসে তাদের লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সায়, যা আগের বছরের ৩ টাকা ৮২ পয়সার আয় থেকে যথেষ্ট পার্থক্য তৈরি করেছে। এই প্রান্তিকে তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৬ টাকা ৫৮ পয়সায় এসে ঠেকেছে।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড:

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২৯ পয়সা, যা আগের বছরের ১ টাকা ৩৫ পয়সার লাভ থেকে বিপরীত চিত্র। ৯ মাসে তাদের শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা, যা গত বছরের ৩ টাকা ৫৪ পয়সার লাভ থেকে উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা।

ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড:

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের তৃতীয় প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে তাদের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯৯ পয়সা, যা গত বছরের ৪ টাকা ৭০ পয়সার তুলনায় আরও শক্তিশালী। এই সময়ের মধ্যে তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৭১ পয়সা, যা কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিফলিত করছে।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন: লাভের গতি বেড়েছে

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। জানুয়ারি-মার্চ’২৫ প্রান্তিকে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৫ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ২০ পয়সা।

পুরো ৯ মাস শেষে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা, যা আগের বছরের ৮৩ পয়সার তুলনায় উল্লেখযোগ্য। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ২৩ পয়সায়।

শাশা ডেনিমস: ধীরগতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত

শাশা ডেনিমস লিমিটেডের আয় ধীরে ধীরে বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা, যেখানে গত বছর ছিল মাত্র ৩ পয়সা।

৯ মাস শেষে কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা, আগের বছরের তুলনায় (৯২ পয়সা) তা উল্লেখযোগ্য উন্নতি। এই সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৫৬ পয়সায়, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে।

একমি ল্যাবরেটরিজ: স্থিতিশীলতার ছাপ

একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড তাদের আগের বছরের অর্জন ধরে রেখেছে। জানুয়ারি-মার্চ’২৫ প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের বছরের ২ টাকা ৭৫ পয়সার তুলনায় সামান্য উন্নতি।

পুরো ৯ মাস শেষে ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ২৮ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ৮ টাকা ৫৩ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা ১১ পয়সা—যা এখনো বাজারে এক শক্তিশালী ভিত্তির প্রতীক।

এমজেএল বিডি: ইপিএসে সামান্য চাপ, তবে বার্ষিক অগ্রগতি

এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসির তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কিছুটা কমে হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা (আগের বছর ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা)। তবে পুরো ৯ মাস শেষে কোম্পানিটি ভালো অগ্রগতি দেখিয়েছে—ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা ৯ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ৬ টাকা ৫৫ পয়সা।শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্যও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা ৬৫ পয়সায়।

প্রিমিয়ার সিমেন্টের আয়ে বড় ধাক্কা, তৃতীয় প্রান্তিকের চিত্র উদ্বেগজনক

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে প্রিমিয়ার সিমেন্টের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩১ পয়সা। অথচ আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে প্রায় ৮৮ শতাংশ, যা কোম্পানিটির আর্থিক চাপের স্পষ্ট প্রতিফলন।

তিন প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬৭ পয়সা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫ টাকা ১৯ পয়সা। ৯ মাসে প্রায় ৮৭ শতাংশ আয় কমে যাওয়া কোম্পানিটির ব্যবসায়িক পরিবেশের চ্যালেঞ্জকেই সামনে নিয়ে আসছে।

এদিকে, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ৮৯ পয়সা। নিট সম্পদ মূল্য অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল থাকলেও আয় কমার প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের মাঝে উদ্বেগ বাড়াতে পারে।

সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড

সিলকো ফার্মার তৃতীয় প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময় ছিল ১৬ পয়সা। তবে, বছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ পয়সা হয়েছে, আগের বছর ছিল ৩৯ পয়সা। সিলকোর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১ পয়সা, যা কোম্পানির稳থের প্রমাণ।

স্যালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড

স্যালভো কেমিক্যালের তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ছিল ১৭ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ছিল ৬৬ পয়সা। তবে, বছরের প্রথম ৯ মাসে ইপিএস ৩৯ পয়সায় চলে এসেছে, যা গত বছরের ১ টাকা ৯৭ পয়সার তুলনায় অনেক কম। স্যালভোর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১৬ টাকা ৩৪ পয়সা, যা তার দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।

ইনটেক লিমিটেড

ইনটেকের তৃতীয় প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি লোকসান ১১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা। তবে, ৯ মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৯ পয়সা, যেখানে গত বছর ছিল ২৮ পয়সা। এই পরিস্থিতি কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, কিন্তু নিট দায় ৩৫ পয়সা কোম্পানির কঠিন সময়ের সঙ্গী।

এস্কয়ার নিট কম্পোজিট পিএলসি

এস্কয়ার নিটের তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ৯ পয়সা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা লোকসান। তিন প্রান্তিকের মোট ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৯ পয়সা, যা গত বছর ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা লোকসান। কোম্পানির ক্যাশফ্লো বৃদ্ধি পেয়ে ২ টাকা ৮৫ পয়সা হয়েছে, যা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রতীক।

সোনারগাঁও টেক্সটাইলস লিমিটেড

সোনারগাঁও টেক্সটাইলসের তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস ২২ পয়সা, যা গত বছর ছিল ২০ পয়সা। ৯ মাসে কোম্পানির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ পয়সা, যা গত বছরের ৫ পয়সা লোকসান থেকে উন্নত। যদিও ক্যাশফ্লো কিছুটা কমে ৮ পয়সা হয়েছে, তবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৯ টাকা ২৩ পয়সা, যা কোম্পানির স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে।

জেএমআই সিরিঞ্জেসেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড

জেএমআই সিরিঞ্জের তৃতীয় প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি লোকসান ২ পয়সা, যেখানে গত বছর ছিল ৩৬ পয়সা আয়। ৯ মাসে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৫০ পয়সা। ক্যাশফ্লো কিছুটা কমে ২ টাকা ৬৭ পয়সা হয়েছে, তবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ৮৭ টাকা ৪৪ পয়সা, যা কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা জানান দেয়।

কেঅ্যান্ডকিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড

কেঅ্যান্ডকিউয়ের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫) ফলাফল গত বছরের তুলনায় বেশ ভালো। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা।

একই সময়ে, ৯ মাসে (জুলাই ২০২৪ – মার্চ ২০২৫) শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৬৯ পয়সা, যা গত বছরের ২ টাকা ৪৫ পয়সার চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

কোম্পানির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো এই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৩১ পয়সা, গত বছর ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা।বর্তমানে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৫১ পয়সা।

দ্য পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড

দ্য পেনিনসুলা চিটাগংয়ের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫) কিছুটা দুর্বল ফলাফল দেখিয়েছে। এই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ পয়সা, যা গত বছর ছিল ২৫ পয়সা। তবে, ৯ মাসে (জুলাই ২০২৪ – মার্চ ২০২৫) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৪০ পয়সা, গত বছরের ৩৬ পয়সার তুলনায় সামান্য বাড়তি।কোম্পানির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৫ পয়সা, গত বছর একই সময়ে ছিল -৪৫ পয়সা।

বর্তমানে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৮৭ পয়সা।

আমান কটন ফাইবার্স লিমিটেড

আমান কটন ফাইবার্সের তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফলও মিশ্র। জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৮ পয়সা, গত বছর ছিল ৬ পয়সা। তবে, ৯ মাসে (জুলাই ২০২৪ – মার্চ ২০২৫) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ৫ পয়সা, যা গত বছরের লোকসান থেকে বেশ উন্নতি দেখিয়েছে।কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৩৩ টাকা ৩৮ পয়সা।

যমুনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড

যমুনা অয়েলের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫) ফলাফল উজ্জ্বল। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৭৩ পয়সা, যা গত বছর ছিল ৮ টাকা ১৪ পয়সা।

৯ মাসে (জুলাই ২০২৪ – মার্চ ২০২৫) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৬৫ পয়সা, গত বছরের ২৬ টাকা ৬০ পয়সার তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৮৮ টাকা ২৬ পয়সা, যা গত বছর ছিল ১৬ টাকা ৬৬ পয়সা।

এছাড়া, কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ২৫৫ টাকা ৬৯ পয়সা।

সমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড

সমরিতা হাসপাতালের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫) ফলাফল সন্তোষজনক। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩০ পয়সা, যা গত বছর ছিল ২ পয়সা।৯ মাসে (জুলাই ২০২৪ – মার্চ ২০২৫) কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় ৯০ পয়সা, গত বছর ছিল ৯২ পয়সা।

কোম্পানির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা, গত বছর ছিল ২ টাকা ৩৪ পয়সা।

বর্তমানে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৪৮ টাকা ৬৭ পয়সা।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ