ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

শেয়ারবাজারের ৫ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৮ ২০:২০:০০
শেয়ারবাজারের ৫ কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ: কার লাভ, কার ক্ষতি?

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শেয়ারবাজারে তৃতীয় প্রান্তিক ফলাফল: লুবরেফ, এডিএন টেলিকম, সি পার্ল, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ও ইস্টার্ন হাউজিংয়ের আর্থিক অগ্রগতি

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেশ কিছু কোম্পানি গত ৩১ মার্চ, ২০২৫ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এবার এক নজরে দেখে নেয়া যাক, এই কোম্পানিগুলোর আর্থিক ফলাফল কী ধরনের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

লুবরেফ বাংলাদেশ লিমিটেড:

লুবরেফের তৃতীয় প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ পয়সা, যা আগের বছর ছিল মাত্র ৩ পয়সা। এর মানে, কোম্পানিটি তুলনামূলকভাবে ভাল ফলাফল দেখিয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাব্যঞ্জক খবর রয়েছে। তবে, বছরজুড়ে তাদের ইপিএস কমে এসেছে ১১ পয়সায়, যেখানে আগের বছরে ছিল ২৮ পয়সা। এই পরিবর্তন অবশ্য কোম্পানির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ৩৩ টাকা ৪৪ পয়সায় দাঁড়ানোর মাধ্যমে কিছুটা ইতিবাচক।

এডিএন টেলিকম লিমিটেড:

এডিএন টেলিকমের তৃতীয় প্রান্তিকের ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা, যা আগের বছরের ৫০ পয়সার চেয়ে কিছুটা বেশি। তার মানে, কোম্পানিটি গত বছরের তুলনায় আরও উন্নতি সাধন করেছে। ৯ মাসে তাদের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সায়, যা গত বছরের ১ টাকা ৭৯ পয়সার তুলনায় আরও শক্তিশালী। এই সময়ের মধ্যে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ৩২ টাকা ৪৩ পয়সা হয়েছে, যা কোম্পানির আর্থিক শক্তি নির্দেশ করছে।

সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড:

ভিন্ন রকম চিত্র দেখা গেছে সি পার্লে। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৯ পয়সা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে লাভ ছিল ১ টাকা ২ পয়সা। ৯ মাসে তাদের লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সায়, যা আগের বছরের ৩ টাকা ৮২ পয়সার আয় থেকে যথেষ্ট পার্থক্য তৈরি করেছে। এই প্রান্তিকে তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ১৬ টাকা ৫৮ পয়সায় এসে ঠেকেছে।

আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড:

আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের তৃতীয় প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ১ টাকা ২৯ পয়সা, যা আগের বছরের ১ টাকা ৩৫ পয়সার লাভ থেকে বিপরীত চিত্র। ৯ মাসে তাদের শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা, যা গত বছরের ৩ টাকা ৫৪ পয়সার লাভ থেকে উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্কবার্তা।

ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড:

ইস্টার্ন হাউজিংয়ের তৃতীয় প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে তাদের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯৯ পয়সা, যা গত বছরের ৪ টাকা ৭০ পয়সার তুলনায় আরও শক্তিশালী। এই সময়ের মধ্যে তাদের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৭১ পয়সা, যা কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিফলিত করছে।

এই তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফলগুলো শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কোম্পানি যথেষ্ট উন্নতি করেছে, কিছু আবার আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তবে, সকল কোম্পানি তাদের আগামী দিনগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং বাজারের প্রতিক্রিয়া সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

রাজিব/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ