ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

বিএসইসি: ৫ ব্রোকার-মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৮ ০০:০১:১৩
বিএসইসি: ৫ ব্রোকার-মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএসইসি’র পরিদর্শন: শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা আনতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারের কার্যক্রমের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি, বিএসইসি দেশজুড়ে শেয়ারবাজারের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান—চারটি ব্রোকারেজ হাউস এবং একটি মার্চেন্ট ব্যাংক—পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হলো, মানিলন্ডারিং (অর্থ পাচার) এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং এসব আইনি বিধিমালার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা। বিএসইসি মনে করে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা ও নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে।

ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যেগুলো পরিদর্শন করা হবে:

রাজ্জাক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর ১৮৪)

স্কাইস সিকিউরিটিজ লিমিটেড (সিএসই ট্রেক নম্বর ৮৪)

শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (ডিএসই ট্রেক নম্বর ৩)

চিটাগাং ক্যাপিটাল লিমিটেড (সিএসই ট্রেক নম্বর ৬)

গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড (মার্চেন্ট ব্যাংক)

বিএসইসি এই পরিদর্শন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর এএমএল/সিএফটি (অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং/কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং) সিস্টেম চেক করবে। পরিদর্শনের সময় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিসিএ ঘাটতি, মার্জিন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা, নেগেটিভ ইক্যুইটি এবং বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের পরিমাণ পর্যালোচনা করা হবে। এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করা হবে।

নির্দেশিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব:

রাজ্জাক সিকিউরিটিজ: সুলতানা পারভীন (বিএসইসি), জামশেদুল ইসলাম (ডিএসই)

স্কাইস সিকিউরিটিজ: মো. আশরাফুল হাসান, মো. মাহমুদুল হাসান

শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট: রুবেল হোসেন (বিএসইসি), মো. আল আমিন (ডিএসই)

চিটাগাং ক্যাপিটাল: মোহাম্মদ নুরুজ্জামান (বিএসইসি), আলী আহসান

গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল: মোহাম্মদ নুরুজ্জামান (বিএসইসি), আশরাফুল হাসান

কেন এই পদক্ষেপ?

বিএসইসি জানাচ্ছে, এই পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হলো, শেয়ারবাজারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়নের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহিত করা। ২০১৯ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা অনুযায়ী, বাজারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এএমএল/সিএফটি সিস্টেম কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এই পরিদর্শন কার্যক্রম বাজারে স্বচ্ছতা আনতে এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিচালিত হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, শেয়ারবাজারের সকল প্রতিষ্ঠান আইনি দিক থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুরক্ষিত রয়েছে।

বিএসইসি’র এই পরিদর্শন উদ্যোগ শেয়ারবাজারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একে কেন্দ্র করে, সকল শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আরও দায়িত্বশীলভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং আইনি বিধিমালা মেনে চলতে হবে। আশা করা যাচ্ছে, এই পদক্ষেপগুলো শেয়ারবাজারে একটি নতুন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে আরও দৃঢ় করবে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ