
Alamin Islam
Senior Reporter
লালমনিরহাটসহ সাত বিমানবন্দর চালু, কপালে চিন্তার ভাঁজ ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেবিচকের উদ্যোগে বিমানবন্দর চালু, ভারতের ভূরাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন আলোচনা
বাংলাদেশের বিমান চলাচল খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। দেশের সাতটি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর পুনরায় সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে বগুড়া, লালমনিরহাট এবং শমশেরনগর বিমানবন্দর রয়েছে। এসব বিমানবন্দর চালু হলে দেশের পর্যটন খাতের উন্নতি ঘটবে, সড়ক ও রেলপথে চাপ কমবে এবং অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তাছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
বগুড়া বিমানবন্দর: প্রথমে চালু হবে
এখন থেকে প্রায় তিন দশক আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া বগুড়া বিমানবন্দরটি আবারও সচল হতে যাচ্ছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে বগুড়া বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার জন্য কাজ শুরু হবে। বর্তমানে বিমানবন্দরের অবকাঠামো সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে এবং এটি বাণিজ্যিকভাবে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে চালু হতে পারে। এর ফলে, বগুড়া এবং আশেপাশের অঞ্চলে পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
লালমনিরহাট বিমানবন্দর: দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম
লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত। ১৯৩১ সালে ব্রিটিশরা এই বিমানবন্দরটি নির্মাণ করেছিল, এবং এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল। বিমানবন্দরটির রানওয়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু হলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলসহ ভারতের পূর্বাঞ্চল, নেপাল ও ভুটানসহ অন্যান্য দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ আরো সহজ হবে। তবে, ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে, ভারতের আপত্তি থাকতে পারে। তবে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে এবং ভূরাজনীতিতে আরও শক্তিশালী অবস্থান নেবে।
শমশেরনগর বিমানবন্দর: আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্যের হাব
মৌলভী বাজারের শমশেরনগর বিমানবন্দরটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত। ১৯৭৫ সালে এটি বিমান বাহিনীর একটি ইউনিট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। বর্তমানে এই বিমানবন্দরটি স্থানীয় পর্যায়ে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান এবং হেলিকপ্টার চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। শমশেরনগর বিমানবন্দর চালু হলে, নেপাল এবং ভুটানও এই উদ্যোগে সমর্থন দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল ও ভুটানসহ পাঁচটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে আঞ্চলিক একটি হাব হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
অর্থনীতির শক্তিশালী ভিত্তি
এই উদ্যোগের ফলে শুধু বিমান চলাচল সহজ হবে না, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পর্যটন খাতও চাঙ্গা হবে। এসব বিমানবন্দর চালু হলে সড়ক ও রেলপথে চাপ কমবে, ব্যবসায়িক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের মধ্যে চলাচল আরও সুবিধাজনক হবে। গুগল ট্রেন্ডস এবং অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এসব উদ্যোগ সম্পর্কে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, যা দেশের সার্বিক উন্নতিতে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের এই উদ্যোগ শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে পারে, যা দেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে বাংলাদেশ উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে—এটাই সময়ের দাবি।
আল-আমিন ইসলাম/
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল বিএসইসি
- সিলেটে ক্রিকেট মাঠে শোকের ছায়া: বিসিবি কর্মকর্তার অকাল মৃত্যু
- সোনার বাজার: বাংলাদেশে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম
- দেশের বাজারে ইতিহাস গড়ে কমলো সোনার দাম, জেনেনিন বাজার মূল্য
- বাংলাদেশ স্কোয়াডে দুই পরিবর্তন, আসছে এক চেনা মুখ ও এক নতুন নাম
- শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল বিএসইসি
- বাঁচাও শেয়ারবাজার’: বিনিয়োগকারীদের গর্জনে কাঁপলো মতিঝিল
- বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দার মারা গেছেন
- মার্জিন রুলস ১৯৯৯-এ বড় পরিবর্তন: পুঁজিবাজারের নতুন দিগন্ত
- রিয়াল বনাম বার্সা ফাইনাল: কখন, কোথায়, কিভাবে দেখবেন আজ রাতে
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২১ এপ্রিল ২০২৫)
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
- সিলেটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে: উত্তেজনা চলছেই
- শ্রীলঙ্কার ‘না’ বলে দেওয়া, ভারতের সেতু স্বপ্ন স্থগিত
- দুই কোম্পানিতে শেয়ারবাজার ডুবেছে : আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা