ঢাকা, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

মাসকাটে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু আলোচনা, আসছে সমঝোতা?

বিশ্ব ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৬ ১৮:৪৭:৩৫
মাসকাটে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু আলোচনা, আসছে সমঝোতা?

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাসকাটে শুরু হয়েছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু আলোচনা, টার্গেট নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।

ওমানের রাজধানী মাসকাটে আবারও মুখোমুখি হলো ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় দফার এই পরোক্ষ আলোচনায় মূল লক্ষ্য— ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি। আলোচনার শুরুতেই দুই দেশের কূটনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিশ্ব রাজনীতির বিশ্লেষকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, এই আলোচনা কি সত্যিই একটি নতুন সমঝোতার দুয়ার খুলবে?

আলোচনার সূচনা:

শনিবার দুপুরে ওমানের মাসকাটে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৃতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। ইরানি ও মার্কিন প্রতিনিধিদের পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে।

কূটনৈতিক প্রস্তুতি:

আলোচনার আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ও ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আল-বুসাঈদির মধ্যে দুই দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আলোচনার সময়সূচি ও কাঠামো নির্ধারণ করা হয়। ইরান স্পষ্ট করে জানায়, তাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত অতীতের অভিজ্ঞতা ও যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের ওপর নির্ভর করবে।

ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যু:

ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাঈল বাগাই জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আলোচনার বাইরে থাকবে। মেহর নিউজের বরাতে জানা গেছে, আলোচনার বিষয়বস্তু কেবল পারমাণবিক ইস্যু ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সীমিত।

ইরানের মনোভাব:

তেহরান বারবার বলছে, আলোচনায় অগ্রগতি নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের সদিচ্ছা, বাস্তববাদিতা ও আন্তরিকতার ওপর। এক তরফাভাবে চাপে ফেলার প্রচেষ্টা যে সফল হবে না, তা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে ইরান।

পটভূমি:

মাসকাটে এই তৃতীয় দফার আলোচনার আগে ওমান এবং রোমে পৃথকভাবে দুই দফা বৈঠক হয়। বর্তমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে, বিশেষ করে ইসরাইল-ইয়েমেন সংঘাত ও ইরানের বন্দর আব্বাসে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষাপটে।

সম্ভাব্য ফলাফল:

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যদি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো মানবিক ও আর্থিক খাতে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে— বিশেষ করে ইরানের তেল রপ্তানি ও ব্যাংকিং সেক্টরের ওপর। যদিও ২০১৫ সালের মতো বড় আকারের চুক্তি নয়, তবে একটি সীমিত, ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য সমঝোতা হতে পারে। সফল হলে উচ্চ পর্যায়ের টেকনিক্যাল বৈঠকের সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হবে।

আব্দুল সাত্তার/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ