ঢাকা, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

ডিএসইতে ১৪ খাতের লেনদেন কমলো: বড় ধাক্কা শেয়ারবাজারে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৬ ১৩:৩৭:১২
ডিএসইতে ১৪ খাতের লেনদেন কমলো: বড় ধাক্কা শেয়ারবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল ২০২৫) বড় ধাক্কা খেল শেয়ারবাজার। টাকার অঙ্কে ১৪টি খাতে লেনদেন কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে বাজারের সার্বিক গতি-প্রকৃতিতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে বিবিধ খাতে, যেখানে লেনদেন কমেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। পাশাপাশি সিমেন্ট ও ওষুধ-রসায়ন খাতেও দেখা গেছে বড় ধস।

কোন খাতে কত লেনদেন কমেছে?

সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার অঙ্কে লেনদেন কমার পরিমাণ নিচের টেবিলে তুলে ধরা হলো:

খাতলেনদেন কমার পরিমাণশতাংশ হারে কমেছে
বিবিধ ১৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৪৫.৪০%
সিমেন্ট ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা ৪৪.৩৯%
ওষুধ ও রসায়ন ২১ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৩৫.১৭%
ভ্রমণ ও অবকাশ ১ কোটি ৬৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা ৩৪.৬৬%
মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৭ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা ৩২.৮১%
লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৪ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ৩০.৭৮%
সেবা ও আবাসন ১ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা ২৬.৯০%
প্রকৌশল ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ১৯.৬৫%
আর্থিক ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা ১৮.৯৩%
কাগজ ও প্রকাশনা ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ১৬.৭৮%
তথ্য প্রযুক্তি ১ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ১৩.৬৪%
বস্ত্র ৩ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ১১.৫৮%
টেলিকমিউনিকেশন ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা ১১.২৩%
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ১ কোটি ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ২.৪০%

কোন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত?

বিবিধ খাত:

আরও পড়ুন:

অদৃশ্য চক্রের কবলে শেয়ারবাজার! বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর শঙ্কা

সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৭ খাতে

আগের সপ্তাহে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩১ কোটি ৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল, বিদায়ী সপ্তাহে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৬ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা, যা ৪৫.৪ শতাংশ হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়।

সিমেন্ট খাত:

বিদায়ী সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ১২ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। লেনদেন কমেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ।

ওষুধ ও রসায়ন খাত:

এখানেও দেখা গেছে উল্লেখযোগ্য পতন। লেনদেন কমেছে ৩৫ শতাংশ, প্রতিদিনের গড় লেনদেন কমে এসেছে ৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়।

বাজার বিশ্লেষণ:

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কিছুটা কমে গেছে। পাশাপাশি কোম্পানির মৌলিক তথ্য বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছেন। তাই বেশ কয়েকটি প্রধান খাতে লেনদেন কমে যাওয়ার প্রবণতা স্পষ্ট হয়েছে।

তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, সামনের সপ্তাহে যদি কোম্পানিগুলোর আয়-প্রকাশ ইতিবাচক হয় এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে, তবে লেনদেনের গতি ফের বাড়তে পারে।

ডিএসইতে চলমান এই ধস পরিস্থিতি সামাল দিতে বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন ও দূরদর্শী হতে হবে। পাশাপাশি বাজারে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ