ঢাকা, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

MD. Razib Ali

Senior Reporter

শেয়ারবাজারে সুশাসন বাড়াতে কর ব্যবধান ১০% বাড়ানোর প্রস্তাব

শেয়ারবাজার ডেস্ক . ২৪আপডেট নিউজ
২০২৫ এপ্রিল ২৫ ১৮:১০:৩৯
শেয়ারবাজারে সুশাসন বাড়াতে কর ব্যবধান ১০% বাড়ানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নতুন প্রস্তাবের ফলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষিত হতে পারে

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি শেয়ারবাজারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন, লাভজনক এবং স্বচ্ছ কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার জন্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের সঙ্গে ব্যবধান ন্যূনতম ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

শেয়ারবাজারের নতুন সুযোগ:

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার বহুদিন ধরেই মৌলভিত্তিসম্পন্ন ও লাভজনক কোম্পানির অভাবে সংকুচিত হয়ে রয়েছে। ফলে এটি প্রাতিষ্ঠানিক এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারছে না। তবে বিএসইসির এই নতুন প্রস্তাব বাজারের গতিপথ বদলে দিতে পারে। প্রস্তাবিত নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার হবে ২২.৫ শতাংশ, যেখানে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার রয়েছে ২৭.৫ শতাংশ।

কেন প্রয়োজন এই পরিবর্তন?

এখন পর্যন্ত দেশের বহু লাভজনক দেশি এবং বহুজাতিক কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। এর প্রধান কারণ হিসেবে বিএসইসি চিহ্নিত করেছে করহার ব্যবধানের পার্থক্য। এই ব্যবধানটি কমানো হলে কোম্পানিগুলোর জন্য তালিকাভুক্তি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, যা বাজারে গভীরতা বাড়াতে সহায়ক হবে।

সুশাসন ও শেয়ারবাজারের আস্থার উন্নতি:

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলি সাধারণত সুশাসন মেনে চলে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করে। বিএসইসি মনে করছে, করহার ব্যবধানের পার্থক্য কমিয়ে এই সুশাসনকে আরও উৎসাহিত করা যাবে, যা অন্যান্য ভালো কোম্পানির জন্যও শেয়ারবাজারে আসার পথ সুগম করবে। এর ফলে, শুধু দেশি কোম্পানি নয়, বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহও বৃদ্ধি পাবে, যা বাজারকে আরও শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করে তুলবে।

আরও পড়ুন:

শেয়ারবাজারে তিন কোম্পানির ভিন্নচিত্র

অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমাতে সহায়ক:

বর্তমানে অধিকাংশ করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল, তবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান মূলধন সংগ্রহের সুযোগ পাবে, যা দেশের অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে। এর ফলে অর্থনীতির ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে।

বিএসইসি এই প্রস্তাবের মাধ্যমে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে আরও শক্তিশালী, গতিশীল এবং স্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে কাজ করছে। যদি এই প্রস্তাব কার্যকর হয়, তবে তা দেশের অর্থনৈতিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে এবং শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়াবে। এর পাশাপাশি এটি দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে আরও পরিচিত করে তুলবে।

মো: রাজিব আলী/

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ